Anju Alwar: ভারতের 'সীমা হায়দার', প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে ২ সন্তানের মা

পাকিস্তানি সীমা হায়দারের মামলা নিয়ে বর্তামনে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। এদিকে, রাজস্থানের ভিওয়াড়ি থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে অঞ্জু, যিনি ভিওয়াদি জেলায় অবস্থিত হোন্ডা মোটরসে কাজ করেন, তিনি তার স্বামী এবং সন্তানদের ছেড়ে পাকিস্তানি 'প্রেমিকার' সঙ্গে দেখা করতে সেদেশে গিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই অঞ্জু ও তার 'বয়ফ্রেন্ড'কে নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে।

Advertisement
 ভারতের 'সীমা হায়দার', প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে ২ সন্তানের মা প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে পাকিস্তানে গেলেন ২ সন্তানের মা

পাকিস্তানি সীমা হায়দারের মামলা নিয়ে বর্তামনে প্রচুর আলোচনা হচ্ছে। এদিকে, রাজস্থানের ভিওয়াড়ি থেকে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। জানা যাচ্ছে যে অঞ্জু, যিনি ভিওয়াদি জেলায় অবস্থিত হোন্ডা মোটরসে কাজ করেন, তিনি তার স্বামী এবং সন্তানদের ছেড়ে  পাকিস্তানি 'প্রেমিকার' সঙ্গে  দেখা করতে সেদেশে গিয়েছেন। বিষয়টি সামনে আসতেই অঞ্জু ও তার 'বয়ফ্রেন্ড'কে নিয়ে নানা ধরনের কথাবার্তা হচ্ছে।  তার পাকিস্তানি বন্ধু নাসরুল্লাহর সাথে দেখা করতে ২১ জুলাই ভিওয়াদি থেকে সেখানে পৌঁছেছিলেন অঞ্জু। রিববার বিকেল ৪টে নাগাদ বিষয়টি জানানো হয়। অঞ্জু নিজেই পাকিস্তান থেকে  রাজস্থান তকে  (Rajasthan Tak) পুরো বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এবং  সত্যতা জানিয়েছেন।  

এই ঘটনায় বিস্মিত অঞ্জুর স্বামী অরবিন্দ, কেন ও কীভাবে তাঁর স্ত্রী পাকিস্তানে গিয়েছেন তা তিনি জানেন না।  তিনি Rajasthan Tak-কে বলেন যে তিনি ক্রমাগত অঞ্জুর  সঙ্গে  কথা বলছেন এবং তিনি শীঘ্রই ফিরে আসার কথা বলছেন। এই বিষয়ে পাকিস্তানে উপস্থিত অঞ্জুর সঙ্গে বিশেষ কথোপকথন করেছে রাজস্থান তক। Rajasthan Tak-এর কাছে পাকিস্তানে থাকার বিষয়টি অঞ্জু নিজেও স্বীকার করেছেন।

 

 

কী বললেন অঞ্জু?
প্রশ্ন- অঞ্জু তুমি এখন কোথায়?

অঞ্জু- হ্যাঁ, আমি পাকিস্তানে আছি। পেশোয়ারের আগে দির আপার এলাকা, এটি মানালির মতো পাহাড়ি এলাকা, সেখানে আমি খুবই নিরাপদে আছি।

প্রশ্ন- আপনি কি আপনার স্বামীকে পাকিস্তানে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন?
অঞ্জু- না, আমি কাউকে কিছু বলিনি। আমি তাকে জয়পুরে যেতে বলেছিলাম।

প্রশ্ন- পাকিস্তানে গেলেন কেন ?
অঞ্জু- আমি এখানে বেড়াতে এসেছি। আমি সব আইনি ফরম্যাট অনুসরণ করেছি। সব কিছুর প্ল্যানিং ও রেডি করে আমি এসেছি, এ ছাড়া এখানে একটা বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়েছে।

প্রশ্ন- কীভাবে ভিওয়াড়ি থেকে পাকিস্তানে পৌঁছালে?
অঞ্জু – আমি ওয়াঘা সীমান্ত থেকে পাকিস্তানে পৌঁছেছি। সবার আগে ভিওয়াড়ি থেকে দিল্লি, দিল্লি থেকে অমৃতসর পৌঁছলাম। এরপর ওয়াঘা সীমান্ত থেকে পাকিস্তানে পৌঁছেছি।

Advertisement

প্রশ্ন- আপনি কার সঙ্গে  পাকিস্তানে থাকেন?
অঞ্জু – পাকিস্তানে আমার এক বন্ধু আছে, আমি তার পরিবারের সঙ্গে  অনেক দিন ধরে কথা বলছি। আমরা দুই বছর আগে বন্ধু হয়েছিলাম। এখানে একটি বিয়ে ছিল, আমি সেখানে উপস্থিত হতে এসেছি এবং জায়গাটি ভাল, তাই আমি দেখার পরিকল্পনা করেছি। আমার কাছে সেরকম কিছু নেই। সীমা হায়দারের সঙ্গে আমাকে তুলনা করা ভুল। আমি ফিরে আসব, এবং আমি এখানে একেবারে নিরাপদ।

প্রশ্ন- ফিরে আসার পরিকল্পনা কী?
অঞ্জু – আমার তেমন কিছু নেই, আমি ২-৪ দিনের মধ্যে ফিরছি।

প্রশ্ন- আপনি কি নাসরুল্লাহর সঙ্গে  সম্পর্কে জড়াতে সেখানে গেছেন?
অঞ্জু- তেমন কিছু না। মিডিয়া বাড়াবাড়ি করছে। আমার সীমা হায়দারের মতো কিছু নই।

 

প্রশ্ন- পাকিস্তানের নাসরুল্লাহর সঙ্গে  আপনি কীভাবে বন্ধুত্ব করলেন ?
অঞ্জু- আমাদের বন্ধুত্ব হয়েছিল ২০২০ সালে। কাজের সূত্রে ফেসবুক ব্যবহার শুরু করলাম। এ সময় নাসরুল্লাহর সঙ্গে আমার আলাপ শুরু হয়। আগে এটি ফেসবুকের মাধ্যমে হত, পরে নম্বর আদান-প্রদানহয় এবং হোয়াটসঅ্যাপে কথোপকথন শুরু হয়। আমি নাসরুল্লাহকে দুই-তিন বছর ধরে চিনি। আমি প্রথম দিনেই আমার বোন এবং মাকে এটি বলেছিলাম।

প্রশ্ন- আপনার সন্তানদের সঙ্গে কোনো কথা হয়েছে?
অঞ্জু- হ্যাঁ, আমি প্রতিনিয়ত বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলছি।

প্রশ্ন- আপনি কি স্বামীর থেকে আলাদা হতে চান?
অঞ্জু- হ্যাঁ, আইডিয়াটা এরকম কিছু একটা। কারণ শুরু থেকেই আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক নেই। বাকিটা আমার বাধ্যবাধকতা  ছিল যে আমি তার সাথে থাকতাম। সেজন্য আমি আমার ভাই ও বোনকে আমার কাছে রেখেছি। আমি তাদের সঙ্গে  কাজ করতাম এবং বাচ্চাদের লেখাপড়া করাতাম। এর মধ্যে আমি গুরুগ্রামেও কাজ করেছি। আমার এমন কোনো উদ্দেশ্য নেই যে আমি এখানে নাসরুল্লাহকে বিয়ে করব। এখন  দেখা করার উদ্দেশ্যে এসেছি। আমি ভারতে এসে আমার স্বামীকে ছাড়া আমার সন্তানদের নিয়ে থাকতে চাই। বর্তমানে আমি আমার স্বামীর সঙ্গে থাকতাম।

প্রশ্ন- আপনি কত দিনের ছুটিতে গেছেন?
অঞ্জু – আমি কোম্পানি থেকে ১০ দিনের ছুটিতে এখানে বেড়াতে এসেছি। যদিও আমি কোম্পানিকে বলেছি আমার সময় লাগলে অন্য কাউকে নিয়োগ করতে পারেন।

প্রশ্ন – আপনি কি ভারতে ফিরে এসে আপনার পরিবারের সঙ্গে  থাকতে চান?
অঞ্জু – আমার এখন কোন পরিকল্পনা নেই, আমি তাড়াতাড়ি ফিরে আসব। ভবিষ্যতে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জানাব।

পুরো বিষয়টি এরকম
গত রবিবার বিকেলে  খবর আসে ভিওয়াড়ির এক বিবাহিত মহিলা, যার নাম অঞ্জু, পাকিস্তানে চলে গিয়েছেন। ঘটনাটিকে পাকিস্তানের সীমা হায়দারের প্রেমের গল্পের মতো দেখা হচ্ছিল। ওই খ্রিস্টান মহিলার বয়স ৩৬ বছর। তিনি দুই সন্তানের মা। ফাদারের  মাধ্যমে দুজনেই ২০০৭ সালে বিয়ে করেন। তারপর থেকে দুজনেই ভিওয়াড়িতে থাকতেন। প্রায় এক বছর আগে ওই মহিলার পাসপোর্ট তৈরি হয়েছিল।

POST A COMMENT
Advertisement