scorecardresearch
 

How to get a Gun License: বাড়িতে পিস্তল-রিভলভার রাখতে চান? কীভাবে লাইসেন্স-কত খরচ, রইল বিস্তারিত

আমাদের দেশে অনেক লোকের কাছে ব্যক্তিগত পিস্তল আছে, আপনিও যদি পিস্তল রাখতে চান, তবে লাইসেন্স পেতে হবে। প্রশাসন আপনাকে সেই লাইসেন্স দেবে। যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের বয়স ২১ বছর বা তার বেশি হলে তবেই তিনি লাইসেন্স পেতে পারেন।

Advertisement
বাড়িতে পিস্তল-রিভলভার রাখতে চান? কীভাবে লাইসেন্স-কত খরচ, রইল বিস্তারিত বাড়িতে পিস্তল-রিভলভার রাখতে চান? কীভাবে লাইসেন্স-কত খরচ, রইল বিস্তারিত
হাইলাইটস
  • আপনাকে বলতে হবে আপনি আপনার লাইসেন্সে কী ধরনের অস্ত্র রাখতে চান
  • যেসব অস্ত্র নিষিদ্ধ সেগুলো রাখার লাইসেন্স পাওয়া যাবে না

আমাদের দেশে অনেক লোকের কাছে ব্যক্তিগত পিস্তল আছে, আপনিও যদি পিস্তল রাখতে চান, তবে লাইসেন্স পেতে হবে। প্রশাসন আপনাকে সেই লাইসেন্স দেবে। যে কোনও ভারতীয় নাগরিকের বয়স ২১ বছর বা তার বেশি হলে তবেই তিনি লাইসেন্স পেতে পারেন। ২০১৯ সালের সংশোধিত অস্ত্র আইনের অধীনে যে কোনও ব্যক্তি জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র কিনতে পারেন। আপনার বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর ফৌজদারি মামলা নথিভুক্ত থাকলে লাইসেন্স দেওয়া হবে না। বন্দুকের লাইসেন্স পেতে হলে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় শর্ত হল বন্দুকের প্রয়োজনের কারণ জানাতে হবে। কার কাছ থেকে এবং কেন আপনার জীবন বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে সেটা জানাতে হবে।

নিয়মানুযায়ী খেলোয়াড়রাও অস্ত্রের লাইসেন্স নেন শুটিংয়ের জন্য। প্রকৃতপক্ষে, বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষমতা রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরের হাতে। বিভিন্ন রাজ্যে, ডিএম অর্থাৎ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা কালেক্টর, কমিশনার বা এই পদমর্যাদার অন্যান্য অফিসাররা লাইসেন্স ইস্যু করেন। তবে এই প্রক্রিয়ায় থানা এবং স্থানীয় তথ্য ইউনিট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বন্দুকের লাইসেন্স পেতে হলে সবার আগে একটি নির্ধারিত ফরম্যাটে আবেদন করতে হবে। দেশের অনেক রাজ্যেও এই প্রক্রিয়া অনলাইনে রয়েছে। লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় আপনাকে বলতে হবে আপনি আপনার লাইসেন্সে কী ধরনের অস্ত্র রাখতে চান। যেমন ছোট অস্ত্র যেমন পিস্তল, রিভলভার বা বড় বন্দুক যেমন রাইফেল, সিঙ্গেল ব্যারেল বা ডাবল ব্যারেল। যেসব অস্ত্র নিষিদ্ধ সেগুলো রাখার লাইসেন্স পাওয়া যাবে না।

এটি সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া

দিল্লি পুলিশের প্রাক্তন ডিসিপি এলএন রাও বলেছেন যে লাইসেন্স পেতে আপনাকে প্রথমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা কমিশনারের অফিসে উপস্থিত অস্ত্র লাইসেন্স বিভাগে আবেদন জমা দিতে হবে। এরপর এই ফর্মের একটি কপি এসএসপি অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আবেদনকারী যেখানে থাকেন সেই থানায় ফর্মের একটি কপি পাঠানো হয়। আবেদনকারীর কোনও অপরাধমূলক ইতিহাস আছে কি না তা নিশ্চিত করতে ফর্মের একটি অংশ জেলা ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোতে পাঠানো হয়।

Advertisement

কোনও ফৌজদারি মামলা থাকা উচিত নয়

থানা এবং ডিসিআরবি-র রিপোর্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অফিসে পাঠান এসএসপি, যার পরে একটি ইন্টারভিউয়ের পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বন্দুকের লাইসেন্সের আদেশ জারি করেন। প্রয়োজনে বা সন্দেহ হলে তদন্তও করে গোয়েন্দা বিভাগ। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে এটি সম্পূর্ণরূপে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বিবেচনার উপর নির্ভর করে যে আপনাকে লাইসেন্স ইস্যু করবেন কি না। পরিচয় প্রমাণ এবং ঠিকানার প্রমাণ, চিকিৎসা শংসাপত্র, বয়সের শংসাপত্র (আপনার বয়স ২১ বছর বা তার বেশি), চরিত্রের শংসাপত্র (আপনার বিরুদ্ধে কোনও গুরুতর ফৌজদারি মামলা থাকা উচিত নয়) এবং আইটিআর ইত্যাদি দিতে হবে।

ডিএম-এর সুপারিশে অস্ত্র পাওয়া যায়

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সুপারিশের পরে, এরপর আপনি যে অস্ত্রের জন্য আবেদন করেছিলেন সেই অস্ত্র কিনতে পারবেন। সরকারি অনুমোদিত দোকান থেকে বন্দুক কেনা যাবে। লাইসেন্সকৃত অস্ত্র ও তার বিবরণও থানায় পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে। বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়ার পাশাপাশি এক বছরে আপনাকে কতটি গুলি দেওয়া হবে তাও নির্ধারণ করা হয়। আপনি কোথায় গুলি খরচ করেছেন তার একটি রেকর্ড রাখতে হবে এবং আপনাকে সে সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে, তবেই আপনাকে আবার নতুন গুলি দেওয়া হবে। কোনও লাইসেন্সধারী আতঙ্ক সৃষ্টি করতে গুলি চালালে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বা তাকে জেলে যেতেও হতে পারে। এসব শর্ত না মানলে লাইসেন্স বাতিল করা হয় এবং অস্ত্রও সংরক্ষণ করা হয়।

লাইসেন্স রিনিউ হয় ৫ বছরে

আগে বন্দুকের লাইসেন্স পাওয়া যেত তিন বছরের জন্য, যার মেয়াদ এখন বাড়িয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। এই সময়ের পর অর্থাৎ বৈধতার মেয়াদ শেষ হলে লাইসেন্সটি আবার রিনিউ করতে হবে। এর জন্য লাইসেন্সধারীর পুনরায় যাচাইয়ের পরে লাইসেন্স ফি নেওয়া হবে।

Advertisement