scorecardresearch
 

স্ত্রী'র কাছ থেকে পালাতে ভুয়ো করোনা পজিটিভ রিপোর্ট বানাল স্বামী

স্ত্রীয়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে স্বামী বানালো ভুয়া করোনা রিপোর্ট। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রায় একমাস পালিয়ে থাকার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীর তৎপরতাতেই। ভুয়া রিপোর্ট বানানোর অভিযোগে উল্টে পুলিশ খুঁজছে তাঁকে।

Advertisement
এই ল্যাবের নামেই ভুয়ো রিপোর্ট বানিয়েছিল এজাজ এই ল্যাবের নামেই ভুয়ো রিপোর্ট বানিয়েছিল এজাজ
হাইলাইটস
  • ফটোশফ করে অন্যের রিপোর্ট নিজের নামে চালান অভিযুক্ত
  • স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না, তাই পালানোর সিদ্ধান্ত নেন
  • ভুয়া রিপোর্ট বানানোর অভিযোগে পুলিশ খুঁজছে

স্ত্রী্য়ের কাছ থেকে পালাতে ভুয়া করোনা রিপোর্ট বানালো স্বামী

স্ত্রীয়ের কাছ থেকে দূরে থাকতে স্বামী বানালো ভুয়া করোনা রিপোর্ট। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। প্রায় একমাস পালিয়ে থাকার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে স্ত্রীর তৎপরতাতেই। ভুয়া রিপোর্ট বানানোর অভিযোগে উল্টে পুলিশ খুঁজছে তাঁকে।

হাতিয়ার করোনা

মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের ছোট গোয়ালটুলি থানার পাশে সেন্ট্রাল ল্যাব এলাকার ঘটনা। স্থানীয় ইন্দোরের প্লাইউড ব্যবসায়ীর ছেলে ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রীয়ের থেকে কিছুদিন অব্যাহতি চেয়েছিলেন। তাই শেষমেষ করোনাকে হাতিয়ার করাই শ্রেয় বলে মনে করলেন। বাইরে থেকে ঘুরে এসে করোনার ভুয়া পজিটিভ রিপোর্ট বানিয়ে পাঠিয়ে দিলেন বাড়িতে। সরাসরি স্ত্রীকে জানিয়ে দিলেন তিনি কোভিড সেন্টারে ভর্তি আছেন।

এক মাস বাড়ি না ফেরায় সন্দেহ স্ত্রীর

এ পর্যন্ত ঠিক ছিল। তবে এক মাসের বেশি সময় হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাড়ি না ফেরায় স্ত্রীর সন্দেহ হয়। মহিলা নিজের বাবাকে ওই রিপোর্ট যাচাই করতে দেন। ওই ব্যক্তির শ্বশুর, জামাইয়ের করোনা রিপোর্ট নিয়ে সংশ্লিষ্ট ল্যাবে গিয়ে খোঁজখবর শুরু করেন। খোঁজ নিতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। জানতে পারেন ওই রিপোর্ট সম্পূর্ণ ভুয়া। এবার তাদের ল্যাবের নামে ভুয়া রিপোর্ট বের করার অভিযোগে মালিক ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ভালে ছিল না

ইন্দোরের ছোট গোয়ালটুলি থানার পাশে সেন্ট্রাল লাইন এলাকার এই ঘটনা। পুলিশের মতে, ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি মাসে প্লাইউড ব্যবসায়ী এজাজ আহমেদ এর বিয়ে হয়েছিল। তার শারীরিক দুর্বলতার কারণে স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক সম্পর্ক ব্যাহত হচ্ছিল। এই কারণেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। তাই স্বামী, স্ত্রীর কাছ থেকে দূরে থাকতে চাইছিলেন।

ফটোশপ করে অন্যের রিপোর্ট নিজের বলে চালান এজাজ

এরপরই এজাজ আহমেদ ২৫ মে একটি ফটোশপ অ্যাপ ডাউনলোড করে তাতে ইন্দোরের সেন্ট্রাল ল্যাবের ১ কোভিড পজিটিভ ব্যক্তির রিপোর্ট নিয়ে তাতে নিজের নাম বসিয়ে ভুয়া প্রিন্ট আউট বের করেন। যা দেখিয়ে তিনি এক মাস অন্য জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন।

Advertisement

পুলিশ খুঁজছে অভিযুক্তকে

ইন্দোরের এসপি জয়বীর সিং ভাদুরিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে না ফেরাতেই স্ত্রীর সন্দেহ হয়। তার ওপর বাড়িতে থাকার সময় কোনও রকম লক্ষণ ছিল না। তাই সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। খোঁজখবর করতেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। মালিক বিনীতা কোঠারি শুক্রবার এজাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু এখনও পাওয়া যায়নি। তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে পুলিশ ও পরিবার সকলেই।

Advertisement