 অনুপ্রবেশকারীদের বাইরে বের করে ছাড়ব
অনুপ্রবেশকারীদের বাইরে বের করে ছাড়ব'ভারতে থাকা সব অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে ছাড়ব,' সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ১৫০তম জন্মদিবস উপলক্ষে বক্তৃতা দেওয়ার সময় এমনটাই ঘোষণা করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন একতা দিবসে তিনি বলেন, 'আজ অনুপ্রবেশকারীদের জন্য দেশের সুরক্ষা অনেক বড় প্রশ্নের মুখে রয়েছে। দেশের ভিতরে দশকের পর দশক অনুপ্রবেশকারীরা এসেছে। তারা ডোমোগ্রাফির ভারসাম্য বদলে দেয়। দেশের একতাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। কিন্তু পুরনো সরকার এত বড় সমস্যার দিকে চোখ বন্ধ করে ছিল। ভোট ব্যাঙ্কের জন্য রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা বিপদের মুখে ছিল।'
তিনি আরও দাবি করেন, 'প্রথমবার দেশ এই বড় বিপদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হয়েছে... আজ যখন এই বিষয়টা নিয়ে আমরা কাজ করছি, তখন কিছু লোক দেশের বদলে নিজের স্বার্থকে উপরে রাখছেন। এই সব মানুষ রাজনৈতিক লড়াই লড়ছে। এদের মনে হয়, দেশের একতা একবার ভেঙেছে, আগেও ভাঙতে থাকবে। কিন্তু এরা জানে না দেশের সুরক্ষা বিপদে পড়লে, সব ব্যক্তি বিপদে পড়বে। তাই আমি আজ রাষ্ট্রীয় একতা দিবসে নতুন করে সংকল্প নিচ্ছি, ভারতে থাকা সব অনুপ্রবেশকারীদের তাড়িয়ে ছাড়ব।'
আর পশ্চিমবঙ্গ সহ ১২ রাজ্যে SIR ঘোষণার আবহেই বিরাট প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা বিরাট তাৎপর্য বহন করে বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
তিনি আরও বলেন...
এ দিন বক্তব্যের শুরুতে তিনি বলেন, 'দেশবাসীকে সর্দার বল্লভভাই জন্মদিনের এবং রাষ্ট্রীয় একতা দিবসের অনেক অনেক অভিনন্দন। সর্দার প্যাটেল মনে করতেন, ইতিহাস তৈরি করার জন্য বেশি সময় নষ্ট করবে না। আমাদের পরিশ্রম করা উচিত। এটা ওনার জীবনেই দেখা যায়। সর্দার সাহেব যেই নীতি তৈরি করেছেন, যেই নির্ণয় নিয়েছেন, তাতে নতুন ইতিহাস তৈরি করেছেন। নতুন ইতিহাস বানিয়েছেন। স্বাধীনতার পর অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন... এই জন্য সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন রাষ্ট্রীয় একতা দিবস হিসাবে পালন করা হয়... আজ কোটি কোটি মানুষ একতার শপথ নিয়েছেন। এমন কাজ করব যাতে একতা বাড়ে। দেশের একতা ভেঙে যেতে পারে, এমন কাজ করা চলবে না। সব দেশবাসীকে এমন কাজের থেকে দূরে থাকতে হবে।'
তিনি দাবি করেন, সর্দার প্যাটেলের দেখানো পথে চলেনি সেই সময়ের সরকার। তাই কাশ্মীর সমস্যা থেকে শুরু করে উত্তরপূর্বে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নকশালবাদ, মাওবাদ দেশের একতা ভাঙার চেষ্টা করেছে। হিংসা এবং রক্তপাত বেড়েছে।
কাশ্মীর প্রসঙ্গে কী জানান?
মোদী নিজের বক্তব্যে জানান, সর্দার চেয়েছিলেন কাশ্মীরও ভারতের সঙ্গে জুড়ে যাক। কিন্তু নেহেরু তাঁর ইচ্ছের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। যার ফলে কাশ্মীরকে আলাদা বিধানে ভাগ করে দেওয়া হয়। কংগ্রেসের সেই ভুলের কারণে দেশ জ্বলেছে। কাশ্মীরের একটা অংশ চলে গিয়েছে পাকিস্থানের দখলে। পাকিস্তান জঙ্গিদের হাওয়া দিচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস জঙ্গিদের সামনে মাথা নিচু করে ছিল। আজ আর্টিকেল ৩৭০ ভেঙে কাশ্মীর দেশের মূল ধারার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। পাকিস্তান দেখেছে যে জঙ্গিদের সামনে সামনে ভারত ঝুঁকবে না। অপারেশন সিঁদুরে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে জবাব। এটা ভারতের শত্রুদের কাছে একটা ইঙ্গিতও বটে।
রাষ্ট্রীয় সুরক্ষায় এসেছে সাফল্য
মোদী জানান, গত ১১ বছরে দেশ থেকে মাওবাদ ও নকশালবাদকে মুছে ফেলার কাজ চলেছে। ২০১৪ সালের আগে হাল এমন ছিল যে নকশালবাদী ও মাওবাদী এলাকায় পুলিশ নিজের কাজ করতে পারত না। স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়া হতো। এই সরকার আসার এদের বিরুদ্ধে লড়াই হয়েছে। পুরো দেশকে জানাচ্ছি, মাওবাদ এবং নকশালবাদ থেকে পুরো মুক্ত দেওয়া হবে।