দিল্লি বিস্ফোরণদিল্লি বিস্ফোরণের পর কেটে গিয়েছে ২ দিন। যদিও এখনও পুরোদমে চলছে তদন্ত। দিল্লি পুলিশ এবং অন্যান্য তদন্তকারী দল প্রমাণ খুঁজে চলেছেন। এমনকী বিস্ফোরণে মৃতদের দেহাংশ খোঁজার কাজও চলছে পুরোদমে। আর সেই কাজটা করতে গিয়ে ৩০০ মিটার দূরের এক দোকানের টিনের শেডে একটি ক্ষতবিক্ষত হাত খুঁজে পেলেন তদন্তকারীরা। তারা মনে করছেন, এই হাতটি বিস্ফোরণে মৃতদের মধ্যে কারও একজনের।
এই ক্ষতবিক্ষত হাতটি পাওয়া গিয়েছে একটি দোকানের ছাদের উপর। দোকানটি নিউ রাজপত রাই মার্কেটে অবস্থিত। হাতটিকে একদম ছিন্নবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। দিল্লি পুলিশ গোটা মার্কেটে তল্লাশি চালানোর সময় এই হাতটি খুঁজে পায়। আর সেটা পাওয়ার পর আরও একটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তদন্তকারীরা। এই হাতটা কার, সেটা এখন তাদের মিলিয়ে দেখতে হবে। আর সেটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ।
আসলে দিল্লির লাজপত রাই মার্কেট ইলেকট্রনিক্স জিনিসের জন্য বিখ্যাত। এটি লালকেল্লার বিপরীতে দিল্লির চাঁদনি চক এলাকায় অবস্থিত। এই মার্কেটে ঘড়ি, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স জিনিস এবং গ্যাজেট পাওয়া যায়। যার ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। তারা এখান থেকে হোলসেল মূলে জিনিস কিনে নিয়ে যান।
এই মার্কেটে রয়েছে শয়ে শয়ে দোকান। ছোট ছোট গলির এপাশে-ওপাশে দোকানের সারি। এখানে কম দামে ভাল মানের জিনিস পাওয়া যায়।
মাথায় রাখতে হবে, এই মার্কেটটি লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের একবারে অদূরে অবস্থিত। হেঁটে কয়েক মিনিটে এখানে পৌঁছে যাওয়া যায়। আর ১০ নভেম্বরের পর থেকেই এই মার্কেট বন্ধ হয়েছিল। তবে বর্তমানে মার্কেটটি আবার স্বাভাবিক হচ্ছে। পাশাপাশি পুলিশও চালাচ্ছে তল্লাশি। সেখানেই একটা দোকানের ছাদে মিলল ক্ষতবিক্ষত হাত।
বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
দিল্লি বিস্ফোরণে মৃত্যের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। ইতিমধ্যেই ১৩-তে পৌঁছে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা। মৃতদের মধ্যে ৯ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাদবাকি ৩ জনকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।
যতদূর খবর, এই ব্লাস্টটি হয়েছে একটি আই২০ গাড়ি থেকে। সেই গাড়িতে তখন ছিল ডাঃ উমর মহম্মদ। তার দেহের অংশ সংগ্রহ করেছিল পুলিশ। হয়েছিল ডিএনএ টেস্ট। সেই ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। তাতে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে যে গাড়িতে ছিল উমরই।
পুলিশ ও গোয়েন্দারা এখনও চালাচ্ছে তল্লাশি। তারা আসল মাস্টারমাইন্ডকে খোঁজার চেষ্টা করছে।