বেনামি সম্পত্তির মামলায় এবার কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্গা গান্ধীর স্বামী রবার্ট বঢরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করল আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এই মামলায় আয়কর বিভাগ রবার্ট বঢরাকে নোটিস পাঠায়, কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। এরপরেই রবার্টের দফতের সোজা হাজির হলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেই সঙ্গে তার বয়ানও রেকর্ড করা হচ্ছে।
আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির সুখদেব বিহার অফিসে এদিন হানা দেন আয়কর আধিকারিকরা। সেখানেই রবার্ট বঢরার বয়ান নথিভুক্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, বিকানির ও ফরিদাবাদের জমি কেলেঙ্কারির বিষয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামীকে এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
অভিযোগ , রবার্ট বঢরার ফার্ম সানলাইট হসপিটালিটি রাজস্থানের বিকানেরে একটি জমি কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, বঢরারর মালিকানাধীন স্কাইলাইট হসপিটালিটি ৬৯.৫৫ হেক্টর জমি ৭২ লক্ষ টাকায় কিনেছিল। পরে এই জমি এ্যালিগেনি ফিনলেস নামে একটি সংস্থাকে ৫.১৫ কোটি টাকায় বিক্রি করে দেন রবার্ট। অর্থাৎ জমি বিক্রি করে তিনি লাভ করেন ৪.৪৩ কোটি টাকা লাভ করেন।
ব্যবসায়ী রবার্ট বঢরার পরিচয় তিনি কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর জামাই এবং কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর স্বামী। নোটিস পাঠানোর পরেও আয়ক দফতরে হাজিরা না দেওয়ার জন্য করোনার মহামারীর পরিস্থিতিকে যুক্তি দেখিয়েছেন রবার্ট। এদিকে আয়কর ছাড়াও এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের মামলার তদন্ত করছে। রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে আগে লন্ডন ভিত্তিক সম্পত্তি কেনার ও অর্থ পাচারের অভিযোগ ওঠে । ভাদ্রার বিরুদ্ধে ব্রায়ানস্টন স্কয়ারে ১.৯ মিলিয়ন পাউন্ডের একটি বাড়ি কেনার অভিযোগ রয়েছে। বর্তামনে আগাম জামিনে রয়েছেন রবার্ট বঢরা।
জমি তদন্তে এর আগে রবার্টকে ইডি দফতরে হাজিরা দিতে দেখা গিয়েছে। একবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিজে রবার্টকে ইডি দফতের পৌঁছে দিয়ে আসেন। রবার্টের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, লন্ডনে অন্তত ৯টি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে তাঁর। যার মধ্যে রয়েছে ৩টি ভিলা। এই সবই কেনা হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে। যেসময়ে ক্ষমতায় ছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার।