India attacks Pakistan in UN: 'সন্ত্রাসবাদী ও সাধারণ নাগরিকের মধ্যে ফারাক নেই', রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা ভারতের

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আয়না তুলে ধরল ভারত। তাদের মিথ্যাচার ফাঁস করা হল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ধর্মোপদেশের পর, ভারত উপযুক্ত জবাব দেয়। বলে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা নাগরিক এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে পার্থক্য করে না। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় তাদের (পাকিস্তানের) অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান।

Advertisement
'সন্ত্রাসবাদী ও সাধারণ নাগরিকের মধ্যে ফারাক নেই', রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা ভারতেররাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তীব্র ভর্ৎসনা ভারতের

রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মঞ্চে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে আয়না তুলে ধরল ভারত। তাদের মিথ্যাচার ফাঁস করা হল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের ধর্মোপদেশের পর, ভারত উপযুক্ত জবাব দেয়। বলে, পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা নাগরিক এবং সন্ত্রাসবাদীদের মধ্যে পার্থক্য করে না। সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনায় তাদের (পাকিস্তানের) অংশগ্রহণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান।

রাষ্ট্রসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি, রাষ্ট্রদূত হরিশ পুরী, 'সশস্ত্র সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা' নিয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে বক্তব্য রাখেন। পাকিস্তানকে আয়না দেখিয়ে রাষ্ট্রদূত পুরী বলেন, 'অনেক বিষয়ে পাকিস্তানের প্রতিনিধির ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দিতে আমি বাধ্য হচ্ছি।' প্রথমত, ভারত কয়েক দশক ধরে তার সীমান্তে পাকিস্তানের সমর্থনে সন্ত্রাসবাদী হামলার মুখোমুখি হয়েছে। 

'পাকিস্তানের নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার নেই'
তিনি বলেন, 'এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য অপমানজনক যে, যে দেশ সন্ত্রাসবাদী এবং নাগরিকদের মধ্যে কোনও পার্থক্য করে না, তারা তার নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায়ও অংশগ্রহণ করে। নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলার তাদের কোনও অধিকারই নেই।'

সম্প্রতি একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এই মাসের শুরুতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতীয় সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে নিশানা করছে। 

তিনি বলেন, 'হামলায় ২০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।' গুরুদ্বার, মন্দির এবং স্কুল সহ উপাসনালয়, সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং হাসপাতালগুলিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়েছে। এই ধরনের কাজ করার পর এখানে এসে প্রচার করা নিছক ভণ্ডামি।

'পাকিস্তানের মদদপুষ্ট হামলার যন্ত্রণা ভোগ করেছে ভারত'
তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে হরিশ বলেন, ভারত কয়েক দশক ধরে তাদের সীমান্তে পাকিস্তান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী হামলার শিকার হয়েছে। 

তিনি বলেন, 'মুম্বইয়ে ২৬/১১-এর ভয়াবহ হামলা থেকে শুরু করে ২০২৫ সালের এপ্রিলে পহেলগাঁওতে নিরীহ পর্যটকদের নৃশংস গণহত্যা পর্যন্ত বিস্তৃত। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদের শিকার মূলত সাধারণ নাগরিক। কারণ এর তাদের লক্ষ্য আমাদের সমৃদ্ধি, অগ্রগতি এবং মনোবলের উপর আক্রমণ করা। এমন একটি দেশের জন্য, এমনকি তার নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করাও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি অপমান।'

Advertisement

তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করার জন্য পাকিস্তান বারবার সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করেছে।

আরও বলেন, 'আমরা সম্প্রতি দেখেছি যে, অপারেশন সিঁদুরে নিহত সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে ঊর্ধ্বতন সরকারি, পুলিশ এবং সামরিক কর্মকর্তারা শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। পাকিস্তান এমন একটি দেশ যারা সন্ত্রাসবাদী এবং সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে পার্থক্য করে না, নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার কোনও অধিকার তাদের নেই।'

POST A COMMENT
Advertisement