India-Canada Tension: ভারত এবং কানাডার মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে, বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে, এখানে কানাডিয়ান কূটনীতিকের সংখ্যা বেশি। ভারত বলেছে যে, তারা ভারতে তার কূটনৈতিক উপস্থিতিতে সমতা নিশ্চিত করার বিষয়ে কানাডার সঙ্গে আলোচনা করছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার বলেছেন যে, আমরা ভারতে কানাডার কূটনৈতিক উপস্থিতিতে সমতা চেয়েছি এবং এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর জুন মাসে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের সম্ভাব্য জড়িত থাকার অভিযোগের পর ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কে গুরুতর উত্তেজনার শুরু হয়। দুই সপ্তাহ আগে নয়াদিল্লি অটোয়াকে ভারতে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।
ভারত কানাডার ওই অভিযোগগুলিকে অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অটোয়ার একজন ভারতীয় কর্মকর্তাকে এই বিষয়ে বহিষ্কারের প্রতিশোধ হিসেবে কানাডার একজন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।
দুই দিন আগে, ব্রিটিশ সংবাদপত্র ফিন্যান্সিয়াল টাইমস তাদের একটি প্রতিবেদনে বলেছিল যে ভারত কানাডাকে ১০ অক্টোবর পর্যন্ত একটি আল্টিমেটাম দিয়েছে এবং তাদের ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নিতে বলেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত কড়া সুরে বলেছে যে, এই কূটনীতিকরা যদি নির্ধারিত সময়ের পরেও ভারতে থাকেন, তাহলে তাদের সমস্ত নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হবে।
#WATCH | MEA Spokesperson Arindam Bagchi says, "In the UK, there was a protest on 2nd October, and we certainly have taken up our concerns on the security of diplomats and premises there with the UK authorities. And this has been an ongoing thing. The issue is about security,… pic.twitter.com/TwMKozqcPi
— ANI (@ANI) October 5, 2023
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছেন যে, ২ অক্টোবর ব্রিটেনে একটি প্রতিবাদ হয়েছিল এবং আমরা অবশ্যই সেখানে কূটনীতিক এবং সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে ব্রিটেনের কর্তৃপক্ষকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। এই বিষয়ে বিস্তারিত কথাবার্তা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে যাতে আমাদের কূটনীতিকরা স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ভারত বর্তমানে দুটি বিষয়ে মনোযোগ দিচ্ছে। প্রথমত কানাডায় এমন পরিবেশ থাকা উচিত যেখানে ভারতীয় কূটনীতিকরা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেন। দ্বিতীয় কূটনৈতিক সক্ষমতার ক্ষেত্রে সমতা অর্জন করা।