২০২০ সালের মে মাসে করোনা পরিস্থিতির মাঝেই ভারত-চিন সীমান্তের গালওয়ান ভ্যালি অশান্ত হয়েছিল সেনা সংঘর্ষে। প্যানগং টিএসও-এর উত্তর দিক থেকে ৮ কিলোমিটার এগিয়ে এসেছিল চিনা সেনা বাহিনী। ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে যে ফিঙ্গার ৮-কে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণের এলাকা (এলএসি) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। চিনারা ফিঙ্গার ৮-এ শিবির স্থাপন করেছিল এবং ফিঙ্গার ৫ এবং ৮ এর মধ্যে দুর্গও বানিয়েছিল এমনটাই জানান হয়।
সংঘর্ষের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছিল?
২০২০ সালের ১৫ জুন ভারত ও চীন সেনাবাহিনী পেট্রোল পয়েন্ট ১৪ এর কাছে গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের ফলে ২০ জন ভারতীয় সেনা এবং অজ্ঞাতসংখ্যক চাইনিজ সেনা নিহত হওয়ার খবর জানা যায়। জুলাইয়ের গোড়ার দিকে, দুই দেশের কূটনৈতিক ও সামরিক-স্তরের বৈঠকে একটি চুক্তির পরে চিন পূর্ব লাদাখের গোগড়া এবং হট স্প্রিংসে মুখোমুখি সাইটগুলি থেকে তার সেনা প্রত্যাহার করে।
জুলাইয়ে লাদাখ সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চিনকে স্পষ্ট বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলেন সম্প্রসারণের যুগ শেষ। ভারত তাঁদের শত্রুদের সশস্ত্রভাবেই জবাব দেবে। এরপর একাধিকবার সেনা সরানোর বৈঠক হলেও ৩১ আগস্ট ফের সীমান্তে গুলি ছোঁড়ার ঘটনা ঘটেনি। পরবর্তী আলোচনায় দেখা গেছে, উভয় পক্ষই সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর বিষয়ে কোন সমঝোতায় পৌঁছাতে পারছে না। উভয় পক্ষই সামরিক এবং কূটনৈতিক চ্যানেলগুলির মাধ্যমে সংলাপ এবং যোগাযোগ বজায় রাখতে চেষ্টা করছে।
যদিও এখনও কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা যায়নি। এখনও লাদাখ সীমান্তে দুই দেশেরই সেনা মজুত করা রয়েছে।