২ কোটি ভারতীয়ের চাকরি যাবেবড় সঙ্কটের দিন আসছে। যেতে পারে প্রায় ২ কোটি চাকরি। আর এটা আমরা বলছি না। বরং এই কথাটা বলছেন মার্সেলস ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজার্সের প্রতিষ্ঠাতা সৌরভ মুখার্জী। তিনি সতর্ক করে জানিয়েছেন, এখনই যদি নীতিনির্ধারকরা কোনও ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সামনের দিনে খুব খারাপ সময় আসতে চলেছে।
কেন যেতে পারে চাকরি?
সৌরভবাবু জানিয়ে রেখেছেন যে, শুধু রিসেশনের জন্য চাকরি যাবে না। বরং কর্পোরেট অপারেশন, এআই এবং বিশ্বব্যাপী ব্যবসার পরিবেশের জন্য চাকরি যাবে। তিনি একটি সাম্প্রতিক পডকাস্টে তিনি ভারতের হোয়াইট কলার জবের এক করুণ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'আমরা চাকরির দুনিয়ায় বিরাট উথাল-পাথাল হতে দেখছি। বিশেষত, আইটি, ব্যাঙ্কিং এবং মিডিয়ার চাকরি গিগ চাকরির মাধ্যমে রিপ্লেস হয়ে যাবে।'
বহু বছরের জন্য বিপদে থাকবে ভারত
প্রসঙ্গত, এখনও খুব একটা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে না ভারতের চাকরির বাজার। তবে আগামি ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যে এটা ভারতে প্রভাব ফেলবে। এই সময়ের মধ্যে অনেক চাকরি হারিয়ে যাবে। ভারত হয়ে যাবে একটা গিগ ইকোনমি। আর সেটা শুধু ফুড ডেলিভারি বা রাইডের মধ্যেই থাকবে না। বরং একটা বড় অংশের চাকরি গিগ শ্রমিকরা (স্থায়ী কর্মী নয়) করবেন বলে মনে করছেন তিনি।
মানুষের বিকল্প এআই
তিনি আরও জানান, দেশের অর্থনীতি ধীর হয়ে যাওয়াটা এখন শুধু সমস্যার বিষয় নয়। বরং, বর্তমানে অনেক সংস্থা সরাসরি এআই ব্যবহার করছে। এআই ব্যবহারের খরচ কম। পাশাপাশি বেশি কাজ করে। যার ফলে মানুষের বিকল্প হিসাবে সংস্থারা এআই-কে ব্যবহার করছে। এক্ষেত্রে মিডিয়া থেকে শুরু করে আইটি এবং ব্যাঙ্কে শুরু হয়ে গিয়েছে এআই-এর ব্যবহার।
শুধু তাই নয়, এখন বিজ্ঞাপনও হয়ে গিয়েছে এআই নির্ভর। বিজ্ঞাপনে যেই মডেলটা থাকে, সেটাও এআই। মানুষ হারিয়ে যেতে বসেছে।
লোন নেওয়ার প্রবণতা বিপদ বাড়াচ্ছে
মুখার্জী মনে করেন, হোম লোন বাদ দিয়েও ভারতীয় পরিবারের ৩৩ থেকে ৩৪ শতাংশ ঋণ রয়েছে। আর এটা বিশ্বে সবথেকে বেশি। এর ফলেও মানুষের মধ্যে স্ট্রেস বাড়ছে। লোন শোধ করার চিন্তা নিচ্ছে পিছু।
তিনি আরও যা বলেন
এ দিকে ভারতের উপর আমেরিকাও শুল্ক চাপিয়ে দিয়েছে। আর সেই শুল্ক যদি তুলে না নেওয়া হয়, তার ফলেও সমস্যা তৈরি করতে পারে। এমনকী সামনের বড়দিনের মধ্যে যেতে পারে ২ কোটি চাকরি।
তাই এখন থেকে সাবধান হতে হবে। চেষ্টা করতে হবে নিজেকে আপস্কিল রাখার। তাহলেই পরিস্থিতি সামলে নিতে পারবেন না।