দেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত দেশে মোট সক্রিয় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৭৫৮ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬৩ জন। তবে একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,৮১৮ জন রোগী।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। কর্নাটকে ৬৩ বছরের এক বৃদ্ধ, যাঁর আগে থেকেই একাধিক শারীরিক সমস্যা ছিল, তাঁর মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণে। কেরলে মারা গিয়েছেন ২৪ বছরের এক তরুণী।
সর্বাধিক করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির তালিকা:
কেরলে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি—১৪০০। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র (৪৮৫), দিল্লি (৪৩৬), গুজরাট (৩২০), পশ্চিমবঙ্গ (২৮৭), কর্নাটক (২৩৮), তামিলনাড়ু (১৯৯) ও উত্তরপ্রদেশ (১৪৯)।
২৪ ঘণ্টায় কোন রাজ্যে কতজন আক্রান্ত হলেন?
পশ্চিমবঙ্গ – ৮২
কেরল – ৬৪
দিল্লি – ৬১
গুজরাট – ৫৫
উত্তরপ্রদেশ – ৩২
মহারাষ্ট্র – ১৮
তামিলনাড়ু – ১৪
অন্ধ্রপ্রদেশ – ৬
পুদুচেরি – ৪
হরিয়ানা – ৪
কর্নাটক – ৪
মধ্যপ্রদেশ – ৩
অসম – ৩
সিকিম – ৩
ওড়িশা – ২
গোয়া – ২
রাজস্থান – ২
পঞ্জাব – ১
উত্তরাখণ্ড – ১
সক্রিয় করোনা রোগী রাজ্যভিত্তিক সংখ্যা:
কেরল – ১৪০০
মহারাষ্ট্র – ৪৮৫
দিল্লি – ৪৩৬
কর্নাটক – ২৩৮
পশ্চিমবঙ্গ – ২৮৭
তামিলনাড়ু – ১৯৯
উত্তরপ্রদেশ – ১৪৯
গুজরাট – ৩২০
পুদুচেরি – ৪৫
রাজস্থান – ৬২
হরিয়ানা – ৩০
অন্ধ্রপ্রদেশ – ২৩
মধ্যপ্রদেশ – ১৯
পঞ্জাব – ৬
জম্মু-কাশ্মীর – ৬
ঝাড়খণ্ড – ৬
শনিবার দেশে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩,০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৫টি নতুন সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছিল। তখন ৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ২২ মে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫৭। ২৬ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১,০১০। শনিবার তা পৌঁছয় ৩,৩৯৫-এ।
দেশে কোভিড পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। অধিকাংশ সংক্রমণ মৃদু প্রকৃতির। বেশিরভাগ রোগী বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ICMR-এর ডাঃ রাজীব বেহলের বক্তব্য অনুযায়ী:
দেশের পশ্চিম ও দক্ষিণাঞ্চলের নমুনাগুলির জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা গিয়েছে, এই সংক্রমণের পিছনে থাকা ভ্যারিয়েন্টগুলি মারাত্মক নয়। ওমিক্রনের বিভিন্ন সাবভ্যারিয়েন্টই বর্তমানে সংক্রমণের জন্য দায়ী। পাওয়া গিয়েছে চারটি সাবভ্যারিয়েন্ট— LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1। এর মধ্যে প্রথম তিনটি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ক্ষেত্রে মিলেছে।
ডাঃ বেহল জানিয়েছেন, 'এখনই আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই। তবে সতর্ক থাকতে হবে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।'
সতর্কতা জরুরি হলেও আপাতত চিন্তার কিছু নেই, জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।