আমেরিকা শুল্ক চাপানোর পর পুতিনকে ফোন করেছিলেন মোদী। জানতে চেয়েছিলেন ইউক্রেন নিয়ে প্ল্যান। এমনটাই সম্প্রতি বলেছেন Nato প্রধান মার্ক রুট। যদিও তাঁর এই দাবিকে অসতর্ক হয়ে করা অনুমানভিত্তিক মন্তব্য বলে উড়িয়ে দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে NATO প্রধানের এই মন্তব্যকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, 'এই বিষয় নিয়ে মোদী ও পুতিনের মধ্যে কোনও কথা হয়নি।' তাঁর আরও বক্তব্য, 'আমরা এতবড় সংগঠনের নেতার কাছ থেকে আরও দায়িত্বপূর্ণ মন্তব্য আশা করি। এগুলি একবারেই অসতর্ক হয়ে করা অনুমানভিত্তিক বক্তব্য।'
এর আগে NATO প্রধান মার্ক রুটে ভারতের উপর চাপানো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁর মতে, ইউএস প্রেসিডেন্টের এই কর্মকাণ্ডের জন্য ইতিমধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধে প্রভাব পড়েছে।
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এর পাশাপাশি রুট জানান, ট্রাম্প শুল্ক বসানোর পরই মোদী ফোন করেন পুতিনকে। ফোনে ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার প্ল্যান সম্পর্কে জানাতে চান।
যদিও ভারতের বিদেশমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই দাবি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বরং আগামিদিনে NATO প্রধান যাতে আরও দায়িত্ববান হয়ে বক্তব্য রাখেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্ক বেড়েই চলেছে
ভারতের বিভিন্ন পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক এমনিতেই বসিয়ে রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটার পিছনে দুটি কারণ রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। প্রথমত, ভারত নাকি আমেরিকার নানা পণ্যে বিরাট শুল্ক চাপায়। তাই তিনিও ভারতের পণ্যে ফিরতি ২৫ ট্যাক্স বসালেন। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া থেকে তেল কেনার কারণেও আলাদা করে বসানো হয় ২৫ শতাংশ ট্যাক্স। তাতে নাকি ইউক্রেন যুদ্ধে লাগাম টানা সম্ভব হবে। আর এ সবের ফলে ভারতীয় পণ্যে মোট ট্যারিফ দাঁড়ায় ৫০ শতাংশ।
সেখানেই থেমে না থেকে আবার নতুন করে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রোডাক্টের উপরও ট্যাক্স বসিয়েছেন তিনি। যাতে আদতে সমস্যায় পড়বে ভারতীয় ওষুধপ্রস্তুতকারী সংস্থা। এছাড়া কিছুদিন আগে এইচ১বি ভিসার নিয়মেও বড়সড় বদল এনে ভারতীয় শ্রমিকদের বিপদে ফেলতে চেয়েছেন ট্রাম্প। যার ফলে ইতিমধ্যেই সমস্যায় পড়েছে একাধিক ভারতীয় সংস্থা। শেয়ারবাজারের টলমল অবস্থা। টানা ৫ দিন পড়েছে সেনসেক্স, নিফটি। বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাচ্ছে ভারতের মার্কেট থেকে। তাই সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। এখন সকলেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত ও আমেরিকার বাণিজ্য চুক্তির দিকে। কারণ, তাহলেই যে একমাত্র এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব।