অবশেষে দেশে এসে পৌঁছল অ্যাপাচে হেলিকপ্টার। মঙ্গলবার প্রথম ব্যাচের ৩টি এমন অ্যাটাকিং হেলিকপ্টার আনা হল উত্তরপ্রদেশের হিন্দন এয়ারবেসে। আমেরিকার একটি ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফ্টে ভারতে আনা হয়েছে এগুলি।
মাইলস্টোন মুহূর্ত
ভারতীয় সেনার অ্যাভিয়েশন কর্পসের হাতে তুলে দেওয়ার আগে অ্যাসেম্বল করা হবে এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলিকে। এরপর যোধপুরের এয়ারবেসে রাখা হবে হেলিকপ্টারগুলিকে। এই নিয়ে ভারতীয় সেনায় অন্তর্ভুক্ত হল ২৫টি অ্যাপাচে। আমেরিকার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী বাকি ৩টি কপ্টার চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে।
ভারতীয় সেনার কাছে এটি মাইলস্টোন মুহূর্ত। এই হেলিকপ্টারগুলি ভারতীয় সেনাকে ধারে-ভারে, বহরে আরও শক্তিশালী করে তুলবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। ২০২০ সালে ৬টি অ্যাপাচে এএইচ-৬৪ই হেলিকপ্টার কেনার জন্য মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ভারতীয় সেনা। ১০০ কোটি টাকার ওই চুক্তি মোতাবেক ২০২৪ সালের মে বা জুনেই তিনটি কপ্টার পাওয়ার কথা। কিন্তু সেই তারিখ পিছিয়ে হয় ডিসেম্বর। তারপরও ডেলিভারি হয়নি। এরপর অ্যাপাচে হেলিকপ্টারের প্রথম ব্যাচ চলতি বছরের মে মাসে আসবে বলে জানানো হয়। কিন্তু সেটাও হয়নি।
কী ক্ষমতা অ্যাপাচের?
> বিশ্বে মোট ১৭টি দেশ এই কপ্টার ব্যবহার করে। এই মুহূর্তে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে রয়েছে ২২টি অ্যাপাচে হেলিকপ্টার।
> প্রতিপক্ষের ট্যাঙ্ক ধ্বংসে এর জুড়ি মেলা ভার। সর্বোচ্চ ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় ৩০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় উড়তে সক্ষম এই কপ্টার। নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানে শত্রুঘাঁটিতে।
> রাতের অন্ধকারে ও খারাপ আবহাওয়াতেও শত্রুকে ধ্বংস করতে সক্ষম। অ্যাপাচে কপ্টারের এই নতুন সংস্করণ একসঙ্গে ১২৮টি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে পারে।
> দু’মিনিটে ১,২০০ রাউন্ড গুলি ছোড়া যায়।
> প্রয়োজনে মিনিটে ২৮০০ ফুট উচ্চতায় উঠে যেতে পারে আমেরিকায় তৈরি এই কপ্টার।
> ড্রোন নিয়ন্ত্রণ ও ডেটা লিঙ্ক করার ক্ষমতা এই কপ্টারকে আরও বেশি অত্যাধুনিক ক্ষমতাসম্পন্ন করে তোলে। তাই অ্যাপাচি হেলিকপ্টারগুলোকে ‘ট্যাঙ্ক কিলার’ নাম দেওয়া হয়েছে।