scorecardresearch
 

রেকর্ড গরমের অ্যালার্ট এ বছর, শরীরে কী প্রভাব? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

এবার ভয়াবহ তাপ, জেনে নিন কী প্রভাব পড়বে স্বাস্থ্য, নির্বাচন, নদী ও ফসলের ওপর। সাধারণত, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ মাত্র ৪ থেকে ৮ দিন স্থায়ী হয়। কিন্তু এবার জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার দেশের ২৩টি রাজ্যে ১০ থেকে ২০ দিন তাপপ্রবাহ ও তাপপ্রবাহ দেখা যাবে। গত বছর, ৩১ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত দীর্ঘতম সময়ের তাপপ্রবাহ এবং তাপপ্রবাহের রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে। শুধু দিনেই নয় রাতেও পারদ আকাশ ছুঁবে।

Advertisement
Heatwave Alert Heatwave Alert

গ্রীষ্ম তার আগমনের আগেই ট্রেলার দেখিয়েছে। এবার রাজস্থান, গুজরাত, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং ওড়িশায় এই মাসে অর্থাৎ এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ ২০ দিন স্থায়ী হবে। ভয়াবহ তাপপ্রবাহের মুখোমুখি হতে হবে। এর পরে, জুনের মধ্যে, সারা দেশের প্রায় ৮৫% আগুনে পুড়ে যাবে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬০%।

জুনের পরও তাৎক্ষণিক ত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ লা নিনা আসতে সময় লাগবে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশের অধিকাংশ এলাকা প্রচণ্ড গরমের মুখে পড়বে। মানে তাপপ্রবাহ। এ কারণে তাপমাত্রার পারদ স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। তাপপ্রবাহ বৃদ্ধির কারণ এল নিনো। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটি তার সবচেয়ে বিপজ্জনক রূপ দেখাবে। এল নিনো শেষ হচ্ছে জুনে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহ থেকে দেশের অনেক রাজ্যে তাপমাত্রা ২ থেকে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়বে। রাজস্থান, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়ে এর বেশি প্রভাব দেখা যাবে। এই সময়ের মধ্যে, একটি তীব্র তাপপ্রবাহ 20 দিন স্থায়ী হতে পারে। তার মানে ভয়ানক গরমের জন্য প্রস্তুত।

আরও পড়ুন

 

এবার তাপপ্রবাহের রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে

সাধারণত, এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ মাত্র ৪ থেকে ৮ দিন স্থায়ী হয়। কিন্তু এবার জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার দেশের ২৩টি রাজ্যে ১০ থেকে ২০ দিন তাপপ্রবাহ ও তাপপ্রবাহ দেখা যাবে। গত বছর, ৩১ মে থেকে ২০ জুন পর্যন্ত দীর্ঘতম সময়ের তাপপ্রবাহ এবং তাপপ্রবাহের রেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভাঙতে পারে। শুধু দিনেই নয় রাতেও পারদ আকাশ ছুঁবে।

ঝলসে যাবে দক্ষিণ-মধ্য ও পূর্ব ভারত

এপ্রিল, মে এবং জুন এই তিন মাসে ভারতের দক্ষিণ, মধ্য ও পূর্বাঞ্চল ভয়াবহ তাপ সহ্য করে। এপ্রিলে স্বাভাবিক তাপপ্রবাহ কিছুটা বেশি থাকবে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ ভারতে বেশি দেখা যাবে। এ ছাড়া উত্তর-পশ্চিম মধ্য ভারত এবং পূর্ব ও সমভূমি অঞ্চলের কিছু অংশ।

Advertisement

 

আমরা যদি প্রাক-বর্ষা বৃষ্টির কথা বলি, তাহলে এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। তবে মে-জুন মাসে পরিস্থিতি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। সব মিলিয়ে এবার গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রাক-বর্ষা বৃষ্টি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হবে। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বড় অংশ গরম থেকে রেহাই পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।

মানুষের স্বাস্থ্য আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে

তাপপ্রবাহ মানুষের স্বাস্থ্যের ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে। বিশেষ করে বৃদ্ধ ও শিশুদের ওপর। বা যাদের শারীরিক কোনো না কোনো সমস্যা আছে। অথবা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা আছে। হিট স্ট্রোক, তাপ ক্লান্তি এবং ডিহাইড্রেশনের আরও ঘটনা থাকবে। পাওয়ার গ্রিডেও সমস্যা দেখা দেবে। বিদ্যুৎ খরচ বাড়লে লোড বাড়বে।

নির্বাচনেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে

সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নির্বাচনের সময়ই উত্তাপ ভয়াবহ হবে। মানে ১৯শে এপ্রিল থেকে ১লা জুন পর্যন্ত। এই সময়ই হবে যখন কোটি কোটি ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে আসবে। এ প্রসঙ্গে ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেছেন, নির্বাচনের সময় গরমের কারণে সমস্যা হবে। এ জন্য সরকার প্রস্তুতি নেবে। যাতে ভোটের সময় জনগণকে কোনো সমস্যায় পড়তে না হয়।

 

ফসল কি গরম সহ্য করতে পারবে নাকি?

আবহাওয়া অধিদফতরের মহাপরিচালক মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র বলেছেন যে গম প্রচণ্ড গরমে প্রভাবিত হবে না। মধ্যপ্রদেশে তাপমাত্রা বর্তমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। পরের সপ্তাহে ৪২-এ পৌঁছাবে। এখানে ৯০ শতাংশ গম কাটা হয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং ইউপিতেও তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির উপরে। তাই ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম। ২০২২ সালে, তাপপ্রবাহ গম ফসলের ক্ষতি করেছিল।

নদীতেও ভয়াবহ প্রভাব, জলের সংকট দেখা দেবে

গঙ্গা, গোদাবরী, নর্মদাসহ দেশের প্রধান ১২টি নদীতে জল গত বছরের তুলনায় কম। দক্ষিণ ভারতের ১৩টি নদীতে জল নেই। এবার খুব গরম হতে চলেছে। যতদিন বৃষ্টি হবে, দেশে জল নিয়ে হাহাকার থাকবে। অধিকাংশ নদী অববাহিকায় ৪০ শতাংশেরও কম জলের মজুত দেখা গেছে।

Advertisement