আর একটা জঙ্গি হামলা হলেই যুদ্ধ, পাকিস্তানকে আল্টিমেটাম ভারতের: সূত্র

অল আউট অ্যাকশনে ভারত। আর একটিও জঙ্গি হামলা হলে তাকে যুদ্ধ হিসেবে ধরা হবে। এবং তার যথাযথ প্রত্যাঘাতও হবে। শনিবার এমনই বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সরকারি সূত্র মারফত এই খবর পাওয়া গিয়েছে। পাকিস্তান মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ফের ভারতে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে তা কোনওমতেই হাল্কা ভাবে নেওয়া হবে না, তা স্পষ্ট করে দিল নয়াদিল্লি। 

গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওতে নৃশংস জঙ্গি হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। নির্বিচারে হত্যা করা হয় ২৬ জন পর্যটককে। ঘটনার পর থেকেই বদলার আগুনে ফুঁসছিল গোটা দেশ। জঙ্গিরা যে পাক মদতপুষ্ট তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছিল। এর ঠিক ১৪ দিনের মাথায় গত ৭ মে মধ্যরাতে ক্যালকুলেটেড এয়ার স্ট্রাইক করে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করে ভারতীয় সেনা। তিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটি, জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। নিকেশ হয় প্রায় শতাধিক জঙ্গি। 

এরপর থেকেই পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন শুরু করে। নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় গোলাবর্ষণ চালাতে থাকে পাক সেনা। মিসাইল, ড্রোন নিয়ে টার্গেট করা হয় ভারতের সেনা ঘাঁটিগুলি। তবে ভারতের অত্যাধুনিক এবং দুর্ভেদ্য এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সামনে কার্যত কুপোকাত হয়ে যায় পাকিস্তানের সেনা। দিশাহারা পাকিস্তান ঢাল বানাতে শুরু করেছে যাত্রীবাহী বিমানকে। স্কুল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভারত কড়া জবাব দিয়েছে পাকিস্তানকে। 

 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, কোনও জঙ্গিকে রেয়াত করা হবে না এবং তাদের মদতদাতাদেরও ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। সেইমত অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারতীয় সেনাবাহিনী মাজা ভেঙে দিয়েছে পাকিস্তানের। 

শনিবার সকালেই পাকিস্তানের লাগাতার কাপুরুষোচিত হামলার চেষ্টা নিয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকও। এরপর বিকেলে পাকিস্তানকে আল্টিমেটাম দিয়ে ভারত সরকার জানিয়েছে, আর একটিও জঙ্গি কার্যকলাপ যুদ্ধের সমান হিসেবে ধরে উপযুক্ত প্রত্যাঘাত করা হবে। 

'অ্যাক্ট অফ টেরর'-এর অর্থ কী? 
আন্তর্জাতিক আইনে বলা আছে, কোনও দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মনোভাব থেকে সশস্ত্র হামলা কিংবা যুদ্ধ করলে তাকে 'অ্যাক্ট অফ টেরর' ঘোষণা করা হতে পারে। কোনও দেশ অপর দেশের বিরুদ্ধে 'অ্যাক্ট অফ টেরর' ঘোষণা করলে বুঝতে হবে সেই দেশটি যুদ্ধ পরিস্থিতি আশঙ্কা করছে এবং প্রয়োজনে আত্মরক্ষার্থে প্রত্যাঘাতের জন্যও প্রস্তুত থাকবে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের চার্টার আর্টিকেল ২(৪) অনুযায়ী, কোনও দেশ একে অপরের সীমান্ত লঙ্ঘন কিংবা রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করবে না। তবে এই চার্টারেরই আর্টিকেল ৫১ দেশগুলিকে আত্মরক্ষার অধিকারও দিয়েছে।