Pahalgam Terror Attack 2025 Sindhu River Dispute: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ক্ষোভে ফুঁসছে ভারত। ২৬ জন নিরীহ প্রাণের বিনিময়ে বদলার ডাক দিয়েছে দিল্লি। সেই আবহে সিন্ধু জলচুক্তি নিয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত, যা আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তানে। ইসলামাবাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, "ভারত একতরফাভাবে সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করতে পারবে না, কারণ এর গ্যারান্টর বিশ্বব্যাংক।" পাশাপাশি তিনি সতর্ক করেন, "যদি ভারত কোনও চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধের জন্য তৈরি।"
এর আগেও পাকিস্তান সিন্ধু জল ইস্যুতে এমন হুমকি দিয়েছে। বিলাওয়াল ভুট্টো প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন, "সিন্ধু নদী ছিল, আছে এবং থাকবে পাকিস্তানের। আমাদের জল নিয়ে কেউ টানাটানি করলে, সেই নদী রক্তে লাল হবে।"
সিন্ধু জলচুক্তি বিতর্কের পেছনের কারণ কী?
১৯৬০ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল ঐতিহাসিক সিন্ধু জলচুক্তি, যার মাধ্যমে সিন্ধু নদী ও তার উপনদীগুলির জলবণ্টনের নিয়ম নির্ধারিত হয়। বিশ্বব্যাংক ছিল এই চুক্তির মধ্যস্থতাকারী। এতদিন ধরে টিকে থাকা এই চুক্তি বর্তমানে প্রশ্নের মুখে, কারণ জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলায় ভারতীয় জনমনে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে।
পহেলগাঁও হামলা: নতুন করে জেগে ওঠা ক্ষোভ
২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগাঁওতে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন নিরীহ পর্যটক। গুরুতর আহত হন আরও ১৭ জন। জানা গিয়েছে, হামলাকারীরা ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে নিরীহ মানুষদের নিশানা করেছিল। এই নির্মম ঘটনায় ভারত তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে। তারই অংশ হিসেবে সিন্ধু জলচুক্তি পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাকিস্তানের আতঙ্ক ও বিশ্বব্যাংকের আশ্রয়
ভারতের কড়া অবস্থানের পর পাকিস্তান চরম চাপে। তারা বিশ্বব্যাংকের গ্যারান্টির দোহাই দিয়ে নিজেদের অবস্থান মজবুত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ভারতের বার্তা স্পষ্ট— আর কোনো রকম সন্ত্রাস মেনে নেওয়া হবে না। প্রত্যেক হামলার উপযুক্ত জবাব এবার দেওয়া হবে।