Mock Drill in Bengal: পাকিস্তান সাবধান! দেশজুড়ে রেড সাইরেন বেজে উঠবে, বাংলার কোথায় কোথায় মক ড্রিল?

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার রয়েছে। আর এর মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলিতে দেশব্যাপী সিভিল ডিফেন্স মহড়ার ঘোষণা করেছে।

Advertisement
পাকিস্তান সাবধান! দেশজুড়ে রেড সাইরেন বেজে উঠবে, বাংলার কোথায় কোথায় মক ড্রিল?বাংলার কোথায় কোথায় মহড়া হবে?

গত ২২  এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি  হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার রয়েছে। আর এর মাঝেই কেন্দ্রীয় সরকার ৭ মে দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের অন্যান্য  রাজ্যগুলিতে দেশব্যাপী সিভিল ডিফেন্স  মহড়ার ঘোষণা করেছে। 

বুধবার দেশব্যাপী এই মহড়া তিনটি বিভাগে মোট ২৫৯টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। ৭ মে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার সাইরেন বাজবে, যেখানে অসামরিক নাগরিকদের  যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষার জন্য প্রস্তুত করার লক্ষ্যে মক ড্রিলগুলিতে অংশ নেবেন।  এটা যে কোনও সাধারণ বিষয় নয়। কারণ এভাবে দেশের সব রাজ্যে মক ড্রিল করার কথা সচরাচর বলা হয় না কেন্দ্রের তরফে। ১৯৭১-এ ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে এমন মহড়া বা মক ড্রিল হয়েছিল রাজ্যে রাজ্যে। এই প্রথম এমন মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামিকাল বুধবার এই মক ড্রিল হবে বলে ভারত সরকারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৭ মে দেশব্যাপী একটি মক ড্রিলের আগে দেশজুড়ে নাগরিক প্রতিরক্ষা প্রস্তুতি মূল্যায়ন ও সমন্বয়ের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের সভাপতিত্ব করছেন স্বরাষ্ট্র সচিব গোবিন্দ মোহন। এই বৈঠকে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা প্রধানরা উপস্থিত থাকছে, বিশেষ করে ২০১০ সালে তৈরি হওয়া ২৪৪টি অসামরিক প্রতিরক্ষা জেলার উপর নজর দেওয়া হচ্ছে।

রাজস্থান, পঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর-পূর্বের মতো সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে অবস্থিত এই জেলাগুলিকে বহু-বিপদ পরিস্থিতি অনুকরণ করে মহড়া পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, দেশের ২৪৪টি জেলায় মক ড্রিল হবে। গোটা বিষয়টি দেখবে রাজ্য প্রশাসন। নেহরু যুব কেন্দ্র সংগঠন, এনসিসি অংশ নেবে। এয়ার রেড সাইরেন বাজিয়ে পরীক্ষা করা হবে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে বাজবে এই অ্যালার্ম। স্কুল, অফিস, কমিউনিটি সেন্টারে হবে ওয়ার্কশপ। হামলা হলে, কাছাকাছি জায়গায় কি ভাবে আশ্রয় নেবে তা শেখানো হবে। হামলার মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে কাজ করা সহ প্রাথমিক চিকিৎসার পাঠও দেওয়া হবে। হঠাৎ ব্ল্যাকআউট বা অন্ধকার হয়ে যাবে শহর। নিভে যাবে সব আলো।

Advertisement

রাতের অন্ধকারে কোনও এয়ার স্ট্রাইক হলে, সেই কৌশল নেওয়া হবে। ৭১-এর যুদ্ধের সময় এই কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল। মিলিটারি বেস, পাওয়ার প্লান্ট বা গুরুত্বপূর্ণ ভবন এমনভাবে ঢাকা দেওয়া হবে, যাতে স্যাটেলাইয়ে ধরা না পড়ে? ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় শেখানো হবে, কীভাবে দ্রুত উদ্ধারকাজ করা হবে, কিভাবে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করা হবে, তা শেখানো হবে। পাকিস্তানকে জবাব দিতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ১১ দিন ধরেই একটানা সীমান্ত গুলিবর্ষণ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। এই পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রের তরফে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলার মোট ২৩টি জেলার ৩১ মক ড্রিল হবে বলে জানানো হয়েছে। মোট তিনটি বিভাগ, ক্যাটেগরি এক, দুই এবং তিনে ভাগ করে বলা হয়েছে, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, মালদহ, শিলিগুড়ি, গ্রেটার কলকাতা, দুর্গাপুর, হলদিয়া, হাসিমারা, খড়্গপুর, বার্নপুর-আসানসোল, ফরাক্কা, খেজুরিঘাট, চিত্তরঞ্জন, বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, রায়গঞ্জ, ইসলামপুর, দিনহাটা, মেখলিগঞ্জ, মাথাভাঙা, কালিম্পং, জলঢাকা, কার্শিয়াং, কোলাঘাট, বর্ধমান, বীরভূম, পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদে বুধবার এই  মহড়া হবে।

POST A COMMENT
Advertisement