ভারত সরকার অবিলম্বে গম রফতানি বন্ধ করার ঘোষণা করেছে। 'সীমাবদ্ধ' পণ্যের ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে গম রফতানিকে। এর একটি বড় কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম বৃদ্ধি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি করে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলির অভাবের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল ভারত
দেশে খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অভাবী উন্নয়নশীল ও প্রতিবেশী দেশগুলির (বিশেষ করে শ্রীলঙ্কা সঙ্কটের পরিপ্রেক্ষিতে) প্রতি যত্নবান হয়েই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকার তার আদেশে স্পষ্ট করেছে, ভারত সরকার যে সব দেশে অনুমতি দেবে সেসব দেশে গম রফতানি করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে সরকার উন্নয়নশীল দেশের সরকারের অনুরোধের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে যাতে সেখানেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'ভারত সরকার দেশ, প্রতিবেশী দেশ এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশগুলিতে খাদ্য নিরাপত্তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে যে সব দেশ বিশ্ববাজারে গমের দামের এই আকস্মিক পরিবর্তনের বিপরীত প্রভাব পড়েছে এবং তারা গমের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারছে না।'
সর্বত্রই বাড়ছে গমের দাম
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে বিশ্ববাজারে গমের দাম বেড়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন গমের প্রধান উৎপাদক এবং যুদ্ধ এই দেশগুলি থেকে সরবরাহ ব্যাহত করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে গমের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশীয় বাজারে গম ও আটার দামও বেড়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহে গরমের ফলন কম হয়েছে। ফলে সংকট উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে।
সরকারের খুচরো মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান দেখলে দেখা যাবে, এপ্রিল মাসে গম ও আটার ক্যাটাগরির মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯.৫৯%। এটি মার্চের ৭.৭৭% হারের চেয়ে বেশি। যদিও গমের সরকারি ক্রয় প্রায় ৫৫% হ্রাস পেয়েছে, কারণ গমের বাজার মূল্য বর্তমানে সরকারের ন্যূনতম সমর্থন মূল্য (MSP) থেকে বেশি। সরকার গমের এমএসপি নির্ধারণ করেছে প্রতি কুইন্টাল ২,০১৫ টাকা।