Rajnath Singh Brahmos: 'গোটা পাকিস্তান Brahmos-র রেঞ্জের মধ্য়ে, অপারেশন সিঁদুর ছিল ট্রেলার' দাবি রাজনাথ সিং

Rajnath Singh Brahmos: মাত্র পাঁচ মাসে এই ইউনিট তার প্রথম উৎপাদন সম্পন্ন করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। এই ইউনিটের লক্ষ্য প্রতি বছর ৮০ থেকে ১০০ ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করা। এটি উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরের ছয়টি নোডের একটী, যা লখনউতে বিশেষভাবে নির্মিত হয়েছে।

Advertisement
Rajnath Singh Brahmos: 'গোটা পাকিস্তান Brahmos-র রেঞ্জের মধ্য়ে, অপারেশন সিঁদুর ছিল ট্রেলার' দাবি রাজনাথ সিং

Rajnath Singh Brahmos: উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউতে নির্মিত ব্রহ্মোস এয়ারোস্পেস ইউনিট থেকে সুপারসনিক ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যাচকে রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সবুজ সংকেত দেখালেন। এই সময় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং পাকিস্তানকে সতর্কতাও দিয়েছেন। এটি সেই ইউনিট যার ভিত্তিপ্রস্তর ডিসেম্বর ২০২১-এ স্থাপন করা হয়েছিল এবং যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ১১ মে ২০২৫-এ করা হয়েছিল।

প্রতি বছরে ৮০ থেকে ১০০ ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন
মাত্র পাঁচ মাসে এই ইউনিট তার প্রথম উৎপাদন সম্পন্ন করেছে, যা ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের জন্য একটি নতুন মাইলফলক। এই ইউনিটের লক্ষ্য প্রতি বছর ৮০ থেকে ১০০ ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন করা। এটি উত্তরপ্রদেশ ডিফেন্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল করিডোরের ছয়টি নোডের একটী, যা লখনউতে বিশেষভাবে নির্মিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে রক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, 'ব্রহ্মোস এখন শুধুমাত্র একটি ক্ষেপণাস্ত্র নয়, বরং ভারতের বাড়তে থাকা দেশীয় সামরিক ক্ষমতার প্রতীক। এর মধ্যে প্রচলিত ওয়ারহেড, উন্নত গাইডেন্স সিস্টেম এবং সুপারসনিক গতি এমন একটি সংমিশ্রণ, যা এটিকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করে।' তিনি বলেছেন, ব্রহ্মোস এখন স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বিমানসেনার তিনটির পশ্চাদ্ধার। দেশের নাগরিকদের মনে ব্রহ্মোস নামের প্রতি একটি আস্থা ও গর্বের অনুভূতি জড়িয়ে আছে।

পাকিস্তানের পুরো জমি ব্রহ্মোসের পরিসরে: রক্ষামন্ত্রী
রাজনাথ সিং আরও বলেছেন, লখনউতে ব্রহ্মোস ইউনিটের প্রতিষ্ঠা এই সত্যের প্রমাণ যে ভারত শুধুমাত্র ভোক্তা নয়, বরং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে উৎপাদক দেশে পরিণত হয়েছে। অপারেশন সিন্দুরে ব্রহ্মোসের সফলতা প্রমাণ করেছে যে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র পরীক্ষা নয়, বরং প্রমাণিত শক্তির প্রমাণ। তিনি বলেছেন, 'অপারেশন সিন্দুর ছিল শুধুমাত্র ট্রেলার, পাকিস্তানের পুরো জমি ব্রহ্মোসের পরিসরে আছে।' তিনি আরও বলেন, এখন জয় ভারতের জন্য কোনো ঘটনা নয়, বরং এক অভ্যাস হয়ে উঠেছে, যা আমাদের আরও শক্তিশালী করতে হবে।

লখনউ হলো প্রযুক্তির শহর: মুখ্যমন্ত্রী যোগী
এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, লখনউতে ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্রের উৎপাদন শুধুমাত্র সামরিক সাফল্য নয়, বরং উত্তরপ্রদেশের শিল্পোন্নয়নের একটি উদাহরণ। তিনি বলেন, 'লখনউ এখন শুধুমাত্র সংস্কৃতির শহর নয়, প্রযুক্তির শহরও হয়ে উঠেছে। ব্রহ্মোস ইউনিট শুধু দেশের সুরক্ষা শক্তিশালী করেনি, বরং শত শত যুবককে কর্মসংস্থানও দিয়েছে।' যোগী জানান, ব্রহ্মোস ইউনিট থেকে ৪০ কোটি টাকার জিএসটির রাজস্ব এসেছে, এবং আগামী কয়েক বছরে এটি ২০০ কোটি টাকায় পৌঁছাতে পারে। এর ফলে আমরা বুঝতে পারছি কেন ভারতীয় ব্রহ্মোস থেকে শত্রুরা ঘাবড়ায়।

Advertisement

ব্রহ্মোসকে নিয়ে শত্রুরা কেন ভয় পায়

  • ব্রহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র শব্দের গতির থেকে ২.৮ থেকে ৩ গুণ দ্রুত (Mach 2.8–3) গতিতে উড়তে পারে।

  • এটি জমি, আকাশ এবং পানির তিন প্রকার প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।

  • এটি Fire and Forget প্রযুক্তি ভিত্তিক, অর্থাৎ উৎক্ষেপণের পর আর কোনও ইনপুটের প্রয়োজন হয় না।

  • এটি ২৯০ কিলোমিটার থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত করতে পারে, এবং নবীনতম সংস্করণ ৮০০ কিমি পর্যন্ত মার করতে সক্ষম।

  • এটি ২০০-৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের প্রচলিত বা নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করতে পারে।

  • এর স্টেলথ প্রযুক্তি শত্রুর রাডার থেকে পর্দা হয়ে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।

  • Su-30 MKI যোদ্ধা বিমানের থেকেও এটি উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।

ভারতের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে একটি বিদ্রোহী মুহূর্ত: প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতের প্রতিরক্ষার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। ব্রহ্মোসের প্রথম ব্যাচ লখনউ থেকে সরবরাহ হওয়া ভারতের স্বনির্ভরতা, বিজ্ঞানসম্মত ক্ষমতা এবং শিল্পের সক্ষমতার একটি স্পষ্ট প্রমাণ। এখন ভারত কেবল নিজের নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করবে না, বরং বন্ধু দেশগুলোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতাও শক্তিশালী করবে।

 

POST A COMMENT
Advertisement