তেজস জেটদ্য হিন্দুস্তান এরোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল) এবং আমেরিকার জিই এরোস্পেসের মধ্যে শুক্রবার একটি চুক্তি হল। এই চুক্তি অনুযায়ী ১১৩টি F404-GE-IN20 জেট ইঞ্জিন পাবে ভারত। আর এই ইঞ্জিন লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তেজসের জন্য কেনা হয়েছে বলেই খবর। যার ফলে বাড়বে ভারতের সামরিক ক্ষমতা। সেই দেখেই ভয়ে কাঁপছে পাকিস্তান।
এই চুক্তি অনুযায়ী ২০২৭ সাল থেকে ইঞ্জিন পেতে শুরু করবে ভারত। ২০৩২ সালের মধ্যে সবকটি ইঞ্জিন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হ্যালের তরফে জানান হয়েছে, ৯৭টি কমব্যাট একএয়ারক্রাফ্ট (এলসিএ) এমকে১এ প্রোগ্রামের অধীনে এই ইঞ্জিন এবং সাপোর্ট প্যাকেজ ব্যবহার হবে।
আসলে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রতিরক্ষা দফতর ৬২,৩৭০ কোটি টাকা একটি চুক্তি সেরে ফেলে হ্যাল-এর সঙ্গে। এক্ষেত্রে ৯৭টি তেজস তৈরি করার কন্ট্র্যাক্ট হয়। বায়ুসেনার হাতে সেরা অস্ত্র তুলে দেওয়ার জন্যই এই চুক্তি করে সরকার।
মনে রাখতে হবে, ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে উপস্থিত অনেক বিমানের বয়স হয়েছে। সেগুলি বদলে ফেলা প্রয়োজন। আর এই বিষয়টা অনুধাবন করেই মোদী সরকার ৯৭টি তেজস তৈরির বরাত দিয়েছে হ্যাল-এর কাছে। এই বিমানগুলি চলে এলেই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের ক্ষমতা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। যা শুনে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে পাকিস্তান।
তেজস নিয়ে দুই চার কথা
আসলে তেজস হল একটি সিঙ্গল ইঞ্জিন এয়ারক্রাফ্ট। এই যুদ্ধ বিমান খুব কঠিন পরিস্থিতিতেও অনায়াসে উড়ান ভরতে পারে। এটি আকাশ প্রতিরক্ষার অন্যতম সেরা অস্ত্র। পাশাপাশি সমুদ্রকে সুরক্ষা দিতেও এর কোনও জুড়ি নেই। পাশাপাশি শত্রুপক্ষের উপর হানা দেওয়ার কাজেও এটি সিদ্ধহস্ত। তাই আগামিদিনে যে পাকিস্তানের ভয় অনেকটা বাড়বে, এই নিয়ে কোনও প্রশ্নই ওঠে না। অপারেশন সিঁদুর ২.০ হলে কেঁদেও রক্ষা পাবে না প্রতিবেশী দেশ বলেই মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
আর সবথেকে বড় কথা। এটি ভারতে তৈরি হতে চলেছে। অক্টোবর ১৭ তে নাশিকে এই প্রথমবারের জন্য এই বিমানের এমকে১এ ভার্সন উড়ান দেয়। এই বিশেষ দিনে সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এই বিশেষ দিনেই তিনি হ্যাল-এর তেজস বানানোর থার্ড প্রোডাকশন লাইনেরও উদ্বোধন করেন।
যতদূর খবর, ২০৩৪ সালের মধ্যে ১৮০ তেজস থাকবে ভারতের হাতে। তারই ৯৭টির ইঞ্জিন কেনার জন্য আমেরিকার সংস্থার সঙ্গে হাত মেলাল ভারত। আর এই চুক্তিই ভারত-আমেরিকার কাছে আসার একটা ইঙ্গিত হতে পারে। যে কারণে শেহবাজ, মুনিরের রক্তচাপ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।