বাংলাদেশের হিন্দু নেতা ভবেশচন্দ্র রায়ের খুনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ভারতের। অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু তথা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন হওয়ার আর্জি জানাল বিদেশ মন্ত্রক।
শনিবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক বিবৃতিতে জানান, 'বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের নেতা শ্রী ভবেশচন্দ্র রায়ের অপহরণ ও খুনের মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে।'
'অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে হিন্দু সংখ্যালঘুদের সংগঠিত নিপীড়ণের যে ধারা তৈরি হয়েছে, এটিও তেমন। এর আগেও যদিও এই ধরনের ঘটনায় অভিযুক্তরা বিনা শাস্তিতেই ঘুরে বেড়াচ্ছে,' বলেন রণধীর জয়সওয়াল।
এদিন সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের অবস্থান আরও একবার মনে করিয়ে দেন রণধীর জয়সওয়াল। তিনি বলেন, 'আমরা এই ঘটনার নিন্দা জানাই। আরও একবার অন্তর্বর্তী সরকারকে হিন্দু সহ সকল সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দায়িত্ব পালনের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।'
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে হিন্দু নেতা ভবেশচন্দ্র রায়ের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, তাঁকে প্রথমে অপহরণ ও পরে পিটিয়ে খুন করা হয়। ৫৮ বছর বয়সী ওই হিন্দু নেতা দিনাজপুরের(উত্তর বাংলাদেশের) বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম 'দ্য ডেইলি স্টার'-এ এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। ভবেশচন্দ্র রায়ের স্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিকেল সাড়ে ৪টেয় তাঁর স্বামীকে কেউ ফোন করেন। ফোনের আধ ঘণ্টা পরেই ২টি মোটরসাইকেলে করে ৪ জন তাঁদের বাড়িতে আসে। এরপর ভবেশকে তারা তুলে নিয়ে যায়।
অভিযোগ, এরপর ভবেশকে নারাবাড়ি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রবল মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
অচৈতন্য অবস্থায় ভবেশচন্দ্র রায়কে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এরপর তাঁকে দিনাজপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্রের খবর, বিরল শাখার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন ভবেশচন্দ্র রায়। ঘটনার প্রসঙ্গে বিরল থানার ওসি আব্দুস সাবদুর জানান, 'মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।'