কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, বিজেপি যেখানেই সরকার গড়েছে, বিকাশ পৌঁছেছে। বাংলাতেও বিজেপি ক্ষমতায় এলে মোদীজির নেতৃত্বে বিকাশ পৌঁছবে। আমার অনুরোধ বাংলার মানুষের কাছে, বাংলার মানুষ কংগ্রেস, বামেদের সুযোগ দিয়েছেন। এবার বিজেপি-কে একবার সুযোগ দেবেন। আমরা সোনার বাংলা গড়ব।
,
বিহারের মতো কি বাংলাতেও বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ঘোষণা করব বিজেপি? অমিত শাহ জানালেন, খুব শীঘ্রই বিজেপি নির্বাচনী ইস্তেহার আসবে। তখন দেখতেই পাবেন।
সিএএ নিয়ে অমিত শাহ বললেন, সব কিছু মিটলে সিএএ লাগু করা হবে। তখন সব নথিপত্র খতিয়ে দেখে সিএএ লাগু হবে। আমি তো এটা আগেও বলেছি।
অমিত শাহ বললেন, বাংলায় কাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, তা নিয়ে এখনও আলোচনাই হয়নি। অনেকে আছেন। বাংলার ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এখনও বিষয়ে কিছু ঠিক করা হয়নি।
অমিত শাহ বললেন, বাংলার একসময় নিজেই দেশের মডেল ছিল। সেই বাংলাকে আবার ফিরিয়ে আনবো। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, হিংসা দূর করতেই হবে বাংলা থেকে।
অমিত শাহ বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নয়, সব জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীদের হারাবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে দাঁড়াবেন, সেখানেই হারানোর পূর্ণ চেষ্টা করব।
বাংলায় বিজেপির নেতা কে? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্রই মুখ্যমন্ত্রী হবেন। এবং তিনি বিজেপি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হবে। সব নির্বাচনের ফল বেরনোর পর জানিয়ে দেওয়া হবে।
সংসদে আলোচনা করতে চাইছে না সরকার। বিরোধীদের অভিযোগে অমিত শাহ বললেন, 'সব বিষয়ে আলোচনা হবে। এখন তো অধিবেশন চলছে। আলোচনা হবে।'
অমিত শাহের কথায়, 'আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলে দিতেই এসেছি। এবং একুশের নির্বাচনে এই সরকারকে উপড়ে ফেলবই।'
বাংলার জনতা কংগ্রেসকে সুযোগ দিয়েছে, ৩৪ বছর বামেদের সুযোগ দিয়েছে, এবার আমার বিশ্বাস, বিজেপি-কে সুযোগ দেবে বাংলার মানুষ।
গতবারের নির্বাচনে জনতা দোনামনায় ছিল, বিজেপি পারবে কি পারবে না। কিন্তু এবার জনতার পূর্ণ বিশ্বাস, বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসছে। আমি বলে দিচ্ছি, ২০০-র বেশি আসন নিয়ে বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় আসবে।
অমিত শাহ বললেন, দেখুন এপ্রিলের পরে সিএএ আমরা লাগু করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো করবেন না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আর তো থাকবে না। স্মরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে হবে।
অমিত শাহ বললেন, আমরা ধার্মিক ও ভাবাত্ম্যক ভাবনাও ভোটের যেমন ইস্যু, তেমনই বাংলার জিডিপি তলানিতে, বাংলায় বেকারত্বের হার, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, এই সবও বিজেপির ভোটে ইস্যু।
অমিত শাহ বললেন, আমি জানি না কেন দিদি জয় শ্রীরাম বললে রেগে যান। জয় শ্রীরাম কোনও ধর্মীয় স্লোগান নয়। এই স্লোগান পরিবর্তনের স্লোগান। আমরা সেই স্লোগানই দিই, যে স্লোগান জনতা স্বীকার করে।
অমিত শাহ বললেন, একুশের নির্বাচনে বাংলায় ২০০-র বেশি আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসছে বিজেপি।
আমরা কোনও দল বা নেতাকে পরিবর্তন করতে চাই না। আমরা চাইছি, রাজ্যের পরিবর্তন। বাংলার জনমানসের মধ্যে বিশ্বাস আনা। আমি জানি, বাংলার জনতা আমাদের পাশে আছে। কারণ, বাংলার জনতা চান না, এখন যেমন পরিস্থিতিতে আছেন, তেমনই আগামী ৫ বছর থাকবেন।
India Today Conclave 2021-এর মঞ্চে এবার আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কথা বলবেন, রাজ্য রাজনীতি থেকে নির্বাচন-- সব বিষয়ে।
মমতা বললেন, আমি রাজনীতিবিদ না হলে, গান করতাম, ছবি আঁকতাম। আমি এখনও পর্যন্ত ১০২টি বই প্রকাশ করেছি।
শরীরচর্চা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, আমি রোজ ১২ কিমি ট্রেডমিলে হাঁটি। ট্রেডমিলেই অনেক কাজ করি। ফোন করি, কাগজ পড়ি। বাজেটও আমি ট্রেডমিলে দৌড়তে দৌড়তেই বানিয়েছি।
বাম ও কংগ্রেসকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র কটাক্ষ, বিজেপি আর কংগ্রেস জোট হয়ে বিজেপি-কে সাহায্য করছে। কংগ্রেস ও বামেরা হল, বিজেপির বি টিম। এই তিন দলই হল, জগাই-মাধাই-গদাই।
মমতার কথায়, যারা বাইরে থেকে এসে বাংলায় গুন্ডামি করছে, তাদেরকে আমি বহিরাগত বলছি। দেশের লোককে কেন বহিরাগত বলব? আমার রাজ্যে অন্য ভাষা, অন্য রাজ্যের লোক শান্তি বাস করছেন। তাঁরা দেশবাসী। কিন্তু যারা বাইরে থেকে গুন্ডামি করছে, তারা বহিরাগত। বাইরে থেকে এসে বাংলাকে লুঠতে দেব না। বাঙালি বাংলা কন্ট্রোল করবে। দিল্লি কেন কন্ট্রোল করবে?
কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ মমতার, সবই তো বেচে দিল। ব্যাঙ্ক, রেল সব বিক্রি করছে। দুজন লোক মিলে দেশ চালাচ্ছে। কারও কথা শোনেও না। কাউকে কিছু বলতেও দেয় না। মুখ খুললেই ভয় দেখায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, আমি জীবন্ত লাশ হয়ে রাজনীতি করি। মরতে ভয় পাই না। প্রচুর মার খেয়েছি। কাউকে ভয় পাই না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, 'বিজেপি তো ওয়াশিংমেশিন। কালা আদমি যায়, সাদ হয়। যারা ছেড়ে গেছে, ভাল হয়েছে। কারণ বিজেপি ফোন করে তো ভয় দেখায়, পার্টিতে না এলে ডিভোর্স করিয়ে দেব। যারা গেছে, তারা বিজেপি-তে গিয়ে আরও মুখ কালো করেছে।'
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে কটাক্ষ মমতার, 'আজকের দিনে রাজ্যপালের সংজ্ঞাই বদলে গিয়েছে। ওঁকে বিজেপি বলবে, এইটা করে দাও। করতে হচ্ছে। কী আর করবে। আমরা ক্ষমা করে দিচ্ছি।'
কৃষক আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এই তিন কৃষি আইনই প্রত্যাহার করা উচিত। আমরা কৃষকদের সঙ্গে আছি। বাংলার কৃষকরা জানেন, তৃণমূল সরকার তাঁদের পাশে আছে।
মমতা বললেন, দুজন লোক দেশ চালাচ্ছে। সবাইকে বলছে, আমরা যা বলব, তাই করতে হবে। এই ধরনের রাজনীতিকে আমি সাপোর্ট করি না। ওঁদের উদ্দেশ্যই হল, সবাইকে ভয়ে রাখা। এরকম কেন্দ্রীয় সরকার আগে দেখিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, সরকারের অনুষ্ঠানে কেন অন্য স্লোগান হবে। নেতাজিকে অসম্মান করে স্লোগান দিচ্ছে। আরে না জানলে সবাইকে জিগ্গেস করো। রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে ভুল তথ্য বলছেন বিজেপি নেতারা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে নিশানা করে বললেন, 'গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে বিজেপি লড়াই করতে পারে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ এসে আমাকে ধমকাচ্ছেন, 'পারলে লড়াই করুক আমার সঙ্গে। গণতান্ত্রিক লড়াই হোক। সবাইকে খালি কেস দিচ্ছে। '
বিজেপি-কে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এটা বিজেপি বরাবর বিভাজনের রাজনীতি করে। এখানেও বিভাজন করছে, ও বাংলাদেশের বাঙালি, ও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি। বিজেপির কাজই হল, বিভাজনের রাজনীতি করে লড়াই বাঁধানো। সবাইতে সিবিআই, ইডির ভয় দেখায়। বাংলায় জাতি ইস্যু এর আগে কোনও ভোটে আসেনি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যার হিম্মত আছে, সে কাউকে ভয় পায় না। আমি স্ট্রিট ফাইটার। বাংলায় ভোটের আসল ইস্যু হল, ফ্রি রেশন, ফ্রি স্বাস্থ্য পরিষেবা, আরও অনেক সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প।
মহুয়া মৈত্রের বক্তব্যে দেশের প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বললেন, 'আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ যারা করছে, তারা আমার নাম নিতে কেন ভয় পায়? ভারতে লোকজন বিনা তথ্যেই অভিযোগ তোলেন। আইনে ভরসা নেই।'
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর কথায়, 'অসমে একটি বইয়ে বলা হয়েছে, এনআরসি হল বড় খেলা। এক রাজনীতিবিদ লিখেছেন। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বলা হচ্ছিল, আমরা তোমাদের রক্ষা করব, আমাদের ভোট দাও। আর এক দল বলছে, আমি অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াবো। আসলে এই হল খেলা।'
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর কথায়, আমি আগেও বলেছি, দর কষাকষি করে কোনও রায় দিইনি। আমি রাফাল, রাম জন্মভূমি রায় দিয়েছি আইন মেনে ও বিচার করে। আমি কখনও রাজ্যসভার সাংসদ হতে চাইনি।
বিচারপতি গগৈ-এর কথায়, 'অনেকে বলছেন, রাম জন্মভূমি রায় মোদী সরকারের বিরাট সাফল্য। কিন্তু একটা বিষয় তো বলতে হবে, আদালতের বিচার কোনও না কোনও পক্ষকে খুশি করে, আবার কোনও পক্ষকে দুঃখী করে। আরে বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করতে হবে।'
বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর কথায়, 'যে ভাবে সরকারি অফিসার নিয়োগ করা হয়, সেই ভাবে বিচারক নিয়োগ করা যায় না। একজন বিচারকের বিচারব্যবস্থার প্রতি কমিটমেন্ট থাকতে হবে। এটা ২৪ ঘণ্টার দায়িত্ব।'
দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর মতে, কেন বিচারক নিয়োগ হচ্ছে না বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে? বিচারকের পদ খালি অনেক রাজ্যে। এই সমস্যাগুলিকে দেখতে হবে। বিচারক নিয়োগ আর প্রশাসনিক আধিকারিক নিয়োগ এক নয়।
বিজেপি লোকসভা সাংসদ তাপির গাওয়ের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কিছু গোপন রাখেন না। স্বচ্ছতার সঙ্গে দেশবাসীকে জানান। প্যাংগং লেক, গালওয়ান ভ্যালি-- সব ক্ষেত্রেই মোদীজি কিছু গোপন রাখেন না। যা পরিস্থিতি, সোই বলেন। সেনাকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেনা স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় সীমান্ত শান্তি রক্ষার বিষয়ে।
জেনারেল বিক্রম সিংয়ের কথায়, 'এলএসি কিন্তু প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নয়। এই নিয়ে দু তরফের ধারণা আলাদা। আমাদের বুঝতে হবে, চিন আমাদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ফিঙ্গার ফোরের দিকে যাওয়ার চেষ্টাও করছিল। আমাদের সেনা রুখে দিয়েছে।'
শুধু অরুণাচলেই নয়, চিন তো দক্ষিণ চিন সাগরও কব্জা করার চেষ্টা করছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই। একবার ডোকলাম, একবার লাদাখ। গোটা বিশ্বেই জিনপিংয়ের নীতি নিয়ে সমালোচনা চলছে, বললেন জেনারেল বিক্রম সিং।
প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিংয়ের কথায়, লাইন অফ কন্ট্রোল ও লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল কিন্তু আলাদা। আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ হল, চিন ফিঙ্গার ফোরের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি কুর্নিশ করব, আমাদের সেনা ও রাজনীতিবিদদের নীতি ও ধৈর্যকে। চিন যে ভাবে সীমান্তে সমস্যা তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে, তা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে যুঝতে হচ্ছে ভারতকে।
ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে জেনারেল বিক্রম সিং বললেন, 'চিনের সীমান্তে ট্র্যাক রেকর্ড খুবই খারাপ। আসলে শি জিনপিং চাইছেন ভারত-চিন সীমান্তে উত্তপ্ত পরিস্থিতি থেকে তিনি রাজনৈতিক ফায়দা তুলবেন। তাই ভারতকে সজাগ থাকতে হবে। এবং লক্ষ্য রাখতে হবে, কোনও চিন সেনা যেন ভারতের টেরিটরিতে না প্রবেশ করতে পারে।'
সরকার ও ট্যুইটার সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ার সংঘাত প্রসঙ্গে অজিত মোহন বললেন, 'আমি জানিয়ে রাখি, বাকস্বাধীনতা থেকে আমরা কোম্পানি হিসেবে কিছু লাভ করি। আমরা ভারতে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারি বলেই, আমরা লাভবান।'
ফেসবুক ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহনের কথায়, 'সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে বাকস্বাধীন রাখা আমাদের কর্তব্য। একই সঙ্গে আমাদের কর্তব্য, কারও কোনও রকম যেন ক্ষতি না হয়। তাই আমরা কমিউনিটি স্ট্যান্ডারে অনেক কিছু যুক্ত করেছি। আরও বেশি মজবুত করেছি।'
অজিত মোহনের কথায়, হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে মানুষ নানা ভুল খবরে বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, হোয়াটসঅ্যাপের পলিসি যা পরিবর্তন করার ২০১৬-তে করা হয়েছিল। গ্রাহকদের তথ্য নিরাপত্তা নিয়ে কোনও রকম পলিসি পরিবর্তন করা হয়নি। কারও মেসেজ অন্য কেউ পড়তে পারে না হোয়াটসঅ্যাপে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নিয়ে অজিত মোহন জানালেন, হোয়াটসঅ্যাপ-এর প্রাইভেসি ও এনক্রিপশন পোক্ত। কেউ আপনার মেসেজ পড়তে পারে না। আমরা এ বিষয়ে একেবারে স্পষ্ট জানাচ্ছি। আমিও হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারী। অন্য কোনও কোম্পানি বাজারে আসতেই পারে, সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের কোনও প্রাইভেসি পলিসি পরিবর্তন হয়নি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে।
ফেসবুক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহনের কথায়, 'আমরা চাই না আমাদের প্ল্যাটফর্মের অপব্যবহার করা হোক। আমরা গত কয়েক বছরে এর জন্য প্রযুক্তিগত ভাবে অনেক খরচ করেনি। অনেক বেশি কড়া পদক্ষেপ করেছি। '
যাঁরাই ভারতের নীতি নিয়ে কথা বলছে, তাঁদের সংবিধানের সপ্তম পরিচ্ছেদটি মনে রাখা উচিত। তাঁর কথায়, 'রাজ্যগুলির আর্থিক বরাদ্দ পাচ্ছে ফাইনান্স কমিশন মাধ্যমে। কোভিড বাদ দিলে, কেন আপনি ভাবছেন, রাজ্যগুলির টাকাই ফাইন্যান্স কমিশন দিচ্ছে? '
বিবেক দেবরায়ের কথায়, ১৯৬০-এর দশক থেকেই পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের হার গড়পরতা। না খুব উন্নত, আবার একেবারে অবনতিও হয়নি।
আমি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে বলব, অন্যের দিকে আঙুল না তুলে নিজের দিকে তাকান। নিজেদের সমস্যাটা বুঝুন। বিধান রায়ের সময় পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে ছিল। অর্থনীতি, শিল্পায়ন সহ সব ক্ষেত্রে তারপর থেকে রাজ্যের অবস্থা গড়পরতা।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায় বললেন, বরাবরই রাজ্যগুলি একটি অভিযোগ করে, কেন্দ্রের বৈমাতৃসুলভ আচরণে উন্নয়ন হচ্ছে না।
বেসরকারিকরণ নিয়ে অমিত মিত্রের বক্তব্য, 'মোদী সরকার একটা বড় সমস্যা বুঝতে পারছে না, প্রতিষ্ঠানগুলিকে স্বাধীন ভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ব্যাঙ্ক আপনি বেসরকারিকরণ করছেন, তারপর তা ব্যর্থ হলে, আপনি সরকারি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা নিয়ে বেসরকারি ব্যাঙ্ককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ব্যাঙ্কগুলিকে আগে আর্থিক ভাবে পঙ্গু করে আপনারা সংযুক্তিকরণের পথে হাঁটছেন। আসলে মোদী সরকার সামাজিক বিভাজন ছাড়া কিছু বোঝে না।'
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানালেন, রাজ্য সরকার প্রতিটি মানুষকে ১০০ শতাংশ স্বাস্থ্যবিমা পরিষেবা দিচ্ছে। কেন্দ্রের থেকে একটি পয়সাও সাহায্য না নিয়ে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে নিশানা করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বলেন, রাজ্যপাল তাজপুর বন্দরের কথা বলছেন। আরে তাজপুর তো কেন্দ্রের প্রকল্প। উনি কেন্দ্রকে জিগ্গেস করুন, কেন দেরি হচ্ছে। তাজপুর বন্দর আমরা তৈরি করব।
অমিত মিত্র জানালেন, আজ ৪৪ হাজার কর্মী টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসে চাকরি করেন। টিসিএস কলকাতায় সবচেয়ে বড় অফিস সারা দেশে। দেশের ১৩ শতাংশ লোহা ও স্টিল পশ্চিমবঙ্গে উত্পন্ন হয়।
কেন্দ্রকে নিশানা করে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বললেন, কেন্দ্র বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা খরচ করছে। তার মধ্যে বেশির ভাগটাই প্রচারে খরচ হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করছেন।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, তিনি কেন হিন্দু পুরোহিত ও মোয়াজ্জেমদের ভাতা দিচ্ছেন। সংখ্যালঘুদের জন্য এই সরকার কিছু করেনি। দিলীপ ঘোষ ও বাবুল সুপ্রিয় আইকন আমার কাছে।
নুসরত বলেন, আমি এটা মনে করি না। সংখ্যালঘুরা এখন ভয় পাচ্ছে, বিজেপি সরকার আসলে ভয় পাচ্ছে তারা। আমার কাছে যে কেউ যুব আইকন রাজনীতিতে
নুসরত বলেন, কিছু একটা হলে গোটা সম্প্রদায়কে দোষী করতে পারেন না। একটা ছোট পোস্ট ঘিরে দাঙ্গাও হতে পারে। আমার নির্বাচনী কেন্দ্রে সেটা হয়েছে
অগ্নিমিত্রা পাল, যাদবপুরে একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছিল, একটি ব্যাঙ্গচিত্র আকার জন্য। বিরোধী কিছু লিখলে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে।
অগ্নিমিত্রা পাল, মুর্শিদাবাদ, মালদায় খুব কম হিন্দু আছে। লাভ জিহাদ বাড়ছে। যেটা চলছে সেটা খুব বাজে।
নুসরত বলেন, যদি কিছু হয়, তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমরা কি আমাদের বিচারব্যবস্থার উপর বিশ্বাস করি না। কিন্তু কাকে বিয়ে করব সেটা কেউ ঠিক করতে পারব না
নুসরত জাহান, যদি জয় শ্রী রাম রাজনৈতিক স্লোগান না হয়, তা হলে মা-মাটি মানুষও তৃণমূলের দলীয় স্লোগান নয়। এটা বাংলার মানুষের স্লোগান।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, রাম নাম আমরা হাজার হাজার বছর আমরা বলে আসছি। ২৩ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী নেতাজি সুভাযচন্দ্র বসুকে অপমান করার চেষ্টা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী একজন হিন্দু। জয় শ্রী রামে তার সমস্যা কী
নুসরত জাহান বলেন, উম্যান রির্জাভশন বিল কেন পাশ করা হয়নি। অগ্নিমিত্রা পল বলেন, কেন বাংলায় শিশুপাচারে এক নম্বর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাইকেল দিচ্ছে। সেই সাইকেল কেন বাংলায় তৈরি হচ্ছে। তিনি বিনিয়োগের কথা বলেন।
অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, ২০১৪ সালে আমি বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ২০১৯ সালে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসি। আমার আইকন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহিলাদের জন্য তার প্রকল্পগুলো বেশি আকর্ষিত। বিশেষ করে স্বচ্ছ ভারত, উজ্জ্বলা যোজনা ইত্যাদি। বাংলায় খুন ও ধর্ষণ হচ্ছে বিগত কিছু বছর ধরে। ফলে এই অবস্থায় বাংলার মানুষদের জন্য কিছু করা প্রয়োজন।
নুসরত জাহান বলেন, স্বাধীনতা আন্দোলন কিংবা অন্য আন্দোলন যুবদের যোগদান ছিল। তারা সিস্টেমকে চেঞ্জ করতে পেরেছিল। দেশে প্রচুর যুব সমাজের অংশ রাজনীতিতে আসতে চায়।
তথাগত রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাটাকে সরিয়েছে, বামেরা বাংলা থেকে ১৬ হাজার কোম্পানিকে সরিয়ে দিয়েছে
আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, কোন ধর্মগুরুকে রাজকোষ থেকে ভাতা দেওয়া উচিত নয়। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড মানুষকে বোকা বানানো জন্য তৈরি করা হচ্ছে।
তথাগত রায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজন তৈরি করেছে। বাঙালি বনাম অবাঙালি বিভাজন তৈরি করছে।
মহঃসেলিম বলেন, যুবকরা বেকার হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর তারা মন্দির নিয়ে কথা বলছে
মহঃ সেলিম বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভাজনের রাজনীতি করেছেন। কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ সব জায়গায় হয়েছে।
অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, কংগ্রেস ধর্মীয় ভেদাভেদ করে না। ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে সওয়াল করে এসেছে।
সিদ্দিকি বলেন, আমরা অনেকদিন ধরেই আমাদের দাবি করে এসেছি। ১৫ শতাংশ সংরক্ষণ, ফুরফুরা শরিফে রেল, বিশ্ব পর্যটনের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো তো আর পূরণ করা হয়নি। তাই আমরা অধিকার ছিনিয়ে নিতে এই দল তৈরি করেছি
বিশ্বজিৎ দেব বলেন, তৃণমূল সব সম্প্রদায়কে সমান চোখে দেখে। কেন নির্বাচনের আগেই আব্বাস সিদ্দিকি দল বানালেন। ৯৯ লাখ জাতিগত শংসাপত্র বিতরণ করা হয়েছে। কত কী করা হয়েছে। স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে।
সিদ্দিকি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কথা অনুযায়ী কাজ পূরণ করেনি। মুসলিম নয়, এসসি, এসটি ওবিসি সবার জন্য আমরা ভাবছি। যেখানে যেখানে মুসলিম সমাজের আধিক্য বেশি সেখানে হাসপাতাল-স্কুল নেই। তাদের সমাজবিরোধী বানানোর চেষ্টা চলছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬২৪ শিক্ষক রয়েছে। ওখানে মুসলিম কেবলমাত্র ২০ রয়েছে। ৩.২ শতাংশ মুসলিম চাকরি পেয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৮৯ শিক্ষক রয়েছে। সেখানে সংখ্যালঘু শিক্ষক ৯ শিক্ষক
তথাগত রায় বলেন, মুসলিমরা বাংলায় পিছিয়ে পড়ছে। কিছু রাজনৈতিক দল তাদের পিছিয়ে রাখতে চায়। সামনে আসতে দিতে চায় না। যাতে তারা পুরো কমিউটিকিকে হাতে রাখতে পারে। বিশেষ করে মহিলারা পিছিয়ে রয়েছে মুসলিম সমাজের
রাজ্যপাল বলেন, ১০ সালে বাংলাতে কী এসেছে। অমিত মিত্র যেদিন আমায় বলুক ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ এখানে হচ্ছে। আমি জানতে চাই রাজ্যের টাকা খরচ হচ্ছে, কে এই লাভ নিচ্ছে।
রাজ্যপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লাখ কৃষক সুবিধা পাচ্ছেন না। কেন অন্নদাতাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এটা হচ্ছে। আমি আশা করি। মানুষ ভয়ে এখানে কথা বলতে পারছে না।
রাজ্যপাল বলেন, আমি সংবিধানের লক্ষ্ণণ রেখা অতিক্রম করি না। আমি ভারতীয় সংবিধান ফলো করেই কাজ করছি। রাজনীতির অপরাধীকরণ করা হচ্ছে
রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী খুব অভিজ্ঞ সম্পন্ন রাজনীতিবিদ। কাউকে বহিরাগত বলা হলে আমি দুঃখ পাই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন নাইট উপাধি ত্যাগ করেছিলেন। কেন ক্ষুদিরাম বসু আত্মত্যাগ করেছিলেন। বহিরাগত ইস্যুটাই অসাংবিধানিক। একজন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর উচিত সংবিধান অনুযায়ী কাজ করা
রাজ্যপাল বলেন, ডায়মন্ডহারবারে আমাকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়নি। সেটা কি কারোর নিজস্ব জায়গা। রাজ্যপালকে সম্মান দেওয়া হবে না। সরকারি কর্মীরা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবে। এটা সত্যি খুব দুঃখজনক।
রাজ্যপাল বলেন, সংবাদমাধ্যম ভয় পেলে সেদিন খুব খারাপ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে খুব সম্মান দিই। আমরা অগ্ন্যুপাতের উপর দাঁড়িয়ে আছি।
রাজ্যপাল বলেন, আমি বাংলার মানুষকে হতাশায় থাকতে দিতে পারি না। কেউ কেউ আমায় বলছে, কেন এসব ইস্যু তুলছ। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচন গনতন্ত্রের লজ্জা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে হিংসা হয়েছে। ২০২১ বিধানসভা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে ভোট দিতে হবে।
রাজ্যপাল বলেন, সরকারি কর্মীদের রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে করা হচ্ছে। আমি সংবিধানের মধ্যে থেকেই কাজ করি। সংবিধান মেনেই নির্দেশ দিই। ১৩ জুলাই ২০১৯ আমি শপথ নিয়েছি। সেখানে আমি বলেছিল সংবিধান মেনেই সব কাজ করব সেইসঙ্গে বাংলার মানুষের হয়ে কাজ করব। এখানে প্রচুর ভয়ের পরিবেশ আছে। সোসাইটির সব জায়গায় ভয় আছে। ধনী থেকে দরিদ্র সবার কাছে ভয়ের পরিবেশ।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বলেন, রাজ্যের কোথায় ইনভেস্ট হচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ২ দিন আগে ঘোষণা হয়েছেে ফ্লাইওভােরের। ২০১৭ সালেও একই ঘোষণা হয়েছে।
কনক্লেভের শুরুতে সঙ্গীতশিল্পী পাপন
একের পর সুন্দর গান কনক্লেভ শুরু সঙ্গীতশিল্পী পাপনের গানে। কনক্লেভে এদিন উপস্থিত থাকবেন রাজনৈতিক থেকে শুরু করে অর্থনীতি জগতে বিশেষজ্ঞরা। এদিন পাপনের কন্ঠে ঝড়ে পড়ল একের পর এক সুন্দর গান
ওপেনিং নোটস: ব্রহ্মপুত্রের তীর থেকে বিহু টু বুলেয়া, উপস্থিত সঙ্গীত শিল্পী পাপন
বক্তাদের মধ্যে থআকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ নুসরত জাহান, বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, লোকসভা সাংসদ প্রদ্যুত্ বরদলুই, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়,
India Today Conclave-East 2021-এ বক্তাদের মধ্যে থআকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়, রাজ্যসভার সাংসদ ও তৃণমূল নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও পশ্চিমবঙ্গে দলের সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সাংসদ নুসরত জাহান, বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, লোকসভা সাংসদ প্রদ্যুত্ বরদলুই, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়, সিপিআইএম-এর সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইএম নেতা মহম্মদ সেলিম, কংগ্রেস বিধায়ক নিনং এরিং, বিজেপি সাংসদ তাপির গাও, ফেসবুক ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজিত মোহন, ভারতীয় সেনার প্রাক্তন প্রধান জেনারেল বিক্রম সিং, স্রেই ইনফ্রাস্টাকচার ফাইনান্স লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হেমন্ত কানোরিয়া, আম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হর্ষবর্ধন নেওটিয়া, ফিল্ম পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তী, প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় ও টোটা রায়চৌধুরী।
কনক্লেভের অতিথিরা
দেশের ও রাজ্যের একেবারে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ থাকছেন কনক্লেভ। থাকবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। বিধানসভা নির্বাচনের আগে পূর্ব ভারতের সবচেয়ে জলন্ত ইস্যুগুলি নিয়ে বিতর্ক ও বিশ্লেষণ হবে। এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন দেশবাসী।
বৃহস্পতিবার অর্থাত্ ১১ ফেব্রুয়ারি India Today Conclave East 2021-এর চতুর্থ এডিশন শুরু। দু'দিন ব্যাপী এই কনক্লেভ চলবে। ১১ ও ১২ ফ্রেবুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কলকাতায় আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল হোটেলে। পশ্চিমবঙ্গে আর কিছু দিন পরেই বিধানসভা নির্বাচন। তারপরেই বিধানসভা ভোট পড়শি রাজ্য অসমে। তাই একেবারে নির্বাচনের মুখে একেবারে সরগরম সময়ে India Today Conclave—East 2021 অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইন্ডিয়া টুডে-র কনক্লেভ মানেই চিন্তাশক্তি ও তার বিশ্লেষণের অনবদ্য প্ল্যাটফর্ম।