মহাকুম্ভে আসতে চেয়েছিলেন টেসলার প্রধান এলন মাস্কও। শুক্রবার ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে এমনটাই দাবি করলেন মহামণ্ডলেশ্বর নিরঞ্জনী আখড়ার পীঠাধীশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি। তাঁর বক্তব্য, এলন মাস্ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। আসতে চেয়েছিলেন মহাকুম্ভে। এমনকি তাঁবুতে থাকার ইচ্ছা প্রকাশও করেছিলেন।
২০২৫ সালের মহাকুম্ভের মহিমা এবং আধ্যাত্মিক আকর্ষণ কেবল দেশেই নয়, সারা বিশ্বের মানুষকে টেনেছে। টেসলার প্রধান এলন মাস্কও এই অনুষ্ঠানে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। দাবি স্বামী কৈলাশানন্দ গিরির। তাঁর কথায়,'টেসলা প্রধান ইলন মাস্কের কাছ থেকে আমি একটি বার্তা পেয়েছিলাম। তিনি মহাকুম্ভে আসতে চান এবং আমার শিবিরে থাকতে চান। স্টিভ জবসের স্ত্রী লরেন ওঁকে এ ব্যাপারে বলেছিল'।
প্রয়াগরাজে সঙ্গমে ডুব দিয়েছেন ৬৬ কোটি পুণ্যার্থী। সঙ্গম তীরে মিশে গিয়েছে আসমুদ্রহিমাচল। এ দিন মহাকুম্ভের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন মহামণ্ডলেশ্বর নিরঞ্জনী আখড়ার পীঠাধীশ্বর স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি। তাঁর কথায়,'এটা কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং ভারতের সংস্কৃতি, বিশ্বাস এবং ঐক্যের প্রতীক। মহাকুম্ভের আয়োজনে যে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে তা আশ্চর্যজনক। এবার মানুষের চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন এসেছে। যা আমরা সঙ্গমে অনুভব করেছি।'
মহাকুম্ভে বড় বড় ব্যক্তিত্বের আগ্রহ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক বিদেশি সেলিব্রিটি ভারতীয় সংস্কৃতি এবং সনাতন ঐতিহ্যে শামিল হয়েছেন বলে মনে করিয়ে দেন স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি। তাঁর কথায়,'সবচেয়ে পবিত্র জল হল যমুনা নদীর জল। গঙ্গাজল কেবল জল নয়, অমৃত । গঙ্গা খালি মুক্তিই দান করে না, জ্ঞান, ভক্তি এবং ত্যাগও প্রদান করে। সেই ব্যক্তি মোক্ষের অধিকারী হয়ে ওঠেন'। তিনি আরও বলেন,'কুম্ভের মাধ্যমে ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হয়েছে সমগ্র বিশ্ব। সনাতন ঐতিহ্যের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের আকাঙ্ক্ষা বেড়েছে মানুষের।
২০২৫ সালের মহাকুম্ভের জাঁকজমকপূর্ণ এবং সফল আয়োজনের কৃতিত্ব উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে দিয়েছেন স্বামী কৈলাশানন্দ গিরি। বলেন,'যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী না হলে এই অনুষ্ঠান এত ঐশ্বরিক এবং বিশাল স্তরে অনুষ্ঠিত হতে পারত না। ধর্ম যখন ক্ষমতার নিরাপত্তা পায়, তখন তার আয়োজন আরও বেড়ে যায়। মহাকুম্ভের এই রূপ যোগী সরকারের দক্ষ ব্যবস্থাপনার ফল।'