আড়াই বছর অতিক্রান্ত। তারপরও বিশ্ব থেকে নির্মূল হয়নি মারণ ভাইরাস করোনা। তবে করোনা একমাত্র নয়। আরও নতুন নতুন ভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যার জেরে নতুন করে মহামারীর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারতেও একাধিক ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। আক্রান্তও হয়েছেন কয়েকজন।
WHO-র মতে, বিশ্বের অনেক দেশেই এই সময়ে করোনা ছাড়াও আরও অনেক মারাত্মক রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের ২৭ দেশে প্রায় ৮০০জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। এ ছাড়া ৩৩টি দেশে শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের ৬৫০টি ঘটনা ঘটেছে। করোনা ছাড়াও ভারতেও ছড়িয়ে পড়ছে অন্য রোগ। বিশেষ করে কেরলে। সেখানে টমেটো ফ্লু, ওয়েস্ট নাইল ফিভার, সোয়াইন ফ্লু এবং নরোভাইরাসে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। বা কেউ কেউ মারা গেছে।
কোন কোন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে?
১. মাঙ্কিপক্স : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ২ জুন পর্যন্ত বিশ্বের ২৭টি দেশে ৭৮০ জন মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে এটা স্বস্তির বিষয় যে এখন পর্যন্ত কেউ এতে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়নি।
২. হেমোরেজিক ফিভার : এই রোগটি ইরাকে ছড়িয়ে পড়ছে। এর পুরো নাম ক্রিমিয়ান-কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার। ১ জানুয়ারি থেকে ২২ মে পর্যন্ত,২১২ জন সংক্রমিত। ৭ জন মারা গেছে।
৩. হেপাটাইটিস : বিশ্বের ৩৩ দেশে হেপাটাইটিসের ৬৫০ টি কেস রিপোর্ট হয়েছে। বর্তমানে এই রোগটি শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।
৪. সোয়াইন ফ্লু : ১১ মে, জার্মানিতে সোয়াইন ফ্লুর একটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছিল। নর্থ রাইন-ওয়েস্টফালিয়ায় এই ঘটনা সামনে এসেছে। তবে এরপর থেকে এখানে কারও সংক্রমণের খবর আসেনি। কেরলের কোঝিকোড়ে সোয়াইন ফ্লুতে ১২ বছরের এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।
৫. MERS: মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) এর প্রথম কেস ২০১২ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এটিও করোনা ভাইরাস পরিবারের একটি ভাইরাস। এর কারণে ৮৫০ জনেরও বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
ভারতে ছড়িয়ে পড়েছে এই সব ভাইরাস
১. ওয়েস্ট নাইল ফিভার : গত মাসে কেরলে ওয়েস্ট নাইল ফিভারে ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে৷ এর আগে ২০১৯ সালে একজন এই ভাইরাসের জেরে মারা গিয়েছিল।
২. টমেটো ফ্লু : গত মাসে কেরলে কোল্লাম জেলায় ৮০ জন শিশু টমেটো ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিল। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরে লাল দাগ তৈরি হয়। তাই একে টমেটো ফ্লু বলা হয়।
৩. নোরোভাইরাস : কেরলে নোরোভাইরাসের দুটি কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। তিরুবনন্তপুরমের দুই স্কুল শিশুর মধ্যে এই সংক্রমণ পাওয়া গেছে। বমি এবং ডায়রিয়া এর প্রধান লক্ষণ।
এছাড়াও ভারতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা গত দু একদিনে বাড়তে শুরু করেছে। যা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছ।