India-China : LAC-তে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন, কবে থেকে ডেপসাং ও ডেমচকে টহল দেবে সেনা?

দুই দেশের ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভারত ও চিন ফিজিক্যাল এবং এরিয়াল ভেরিফিকেশন করবে। বর্তমানে দুই দেশই পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করছে।

Advertisement
LAC-তে  ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন, কবে থেকে ডেপসাং ও ডেমচকে টহল দেবে সেনা? Representative Image
হাইলাইটস
  • LAC-তে ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন
  • কবে থেকে ডেপসাং ও ডেমচকে টহল দেবে সেনা?

পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ভারত-চিন (India-China) দুই দেশের তরফেই ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া (সেনা প্রত্যাহারের কাজ) শুরু হয়েছে। ডেপসাং ও ডেমচকের মতো এলাকায় ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করেছে দুই দেশই। সোমবারের মধ্যে ওই দুই এলাকা থেকে ভারত ও চিনের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে মনে করা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে সব ধরনের অবকাঠামোর অপসারণ এবং উভয় পক্ষের সৈন্য প্রত্যাহার। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। 

ওই দুই ক্ষেত্রেই ভারত ও চিন ২০২০ সালের এপ্রিলের আগের পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট। গালওয়ান ভ্যালি-সহ চারটি বাফার জোন নিয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি। ডেমচক এবং ডেপসাং এলাকায় উভয় দেশের সৈন্যদের টহল শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি বুঝে অবশিষ্ট বাফার জোনে টহলদারি শুরু হতে পারে। তখন নতুন করে আলোচনার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে সেই আলোচনার জন্য এখনও কোনও তারিখ নির্ধারণ করা হয়নি।

দুই দেশের ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভারত ও চিন ফিজিক্যাল এবং এরিয়াল ভেরিফিকেশন করবে। বর্তমানে দুই দেশই পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাসের ভিত্তিতে কাজ করছে। ডিসএনগেজমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কোন দিন কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে হটলাইনে কথা বলছেন স্থানীয় সামরিক কমান্ডাররা। দু’দেশের সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকও হয় দিনে এক বা দুবার।

ভারত গত ২১ অক্টোবর ঘোষণা করে, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল দেওয়া নিয়ে চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে চিনের সঙ্গে চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। ২৪ অক্টোবর দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, সমান ও পারস্পরিক নিরাপত্তার নীতির ভিত্তিতে 'স্থল পরিস্থিতি' উন্নত করতে দুই দেশ ঐকমত হয়েছে। 

পূর্ব লাদাখ সেক্টরে এলএসি-তে ভারত এবং চিনের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয় ২০২০ সাল থেকে। সেই সময় পিপলস লিবারেশন আর্মি একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা লঙ্ঘন করে। সেই কারণে ২০২০ সালের ১৫-১৬ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের সৈন্যদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ হয়। যাতে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। চিনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল দ্বিগুণ। তবে চিনের তরফে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা সামনে আনা হয়নি। এই ঘটনার পর দুই দেশের সম্পর্কে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। তারপরই এলাকার নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে যেখানে যেখানে অস্থায়ী তাঁবু গড়ে তোলা হয়। 

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement