ভারতীয় সেনাবাহিনী ক্রমাগত তার শক্তি বৃদ্ধি করছে। আজকের বিশ্বে যুদ্ধ আর পুরনো পদ্ধতিতে লড়াই করা হয় না। শত্রু সীমান্তে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হচ্ছে, যেমন দ্রুত আক্রমণ এবং নতুন প্রযুক্তি। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সেনাবাহিনী ২৫টি নতুন ভৈরব ব্যাটলিয়ন তৈরি করছে। এই ব্যাটালিয়নগুলি পদাতিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।
সেনার পদাতিক বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার বলেছেন যে সেনাবাহিনী তার ড্রোন ক্ষমতা বৃদ্ধি করছে। প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে অশনি প্লাটুন তৈরি করা হচ্ছে, যার সংখ্যা এখন ৩৮২। এই প্লাটুনগুলি ড্রোন ব্যবহার করে অনুসন্ধান, নজরদারি এবং আক্রমণ পরিচালনা করবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই ভৈরব ব্যাটালিয়ন এবং অশনি প্লাটুনগুলি কী, তারা কীভাবে কাজ করবে এবং কীভাবে তারা সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করবে।
ভৈরব ব্যাটালিয়নের বৈশিষ্ট্য
আকার এবং শক্তি: প্রতিটি ব্যাটালিয়নে মাত্র ২৫০ জন নির্বাচিত সেনা থাকবে। এই সেনাদের অভিজাত বলা হবে, যার অর্থ অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং সাহসী।
দ্রুত এবং মোবাইল: এই ব্যাটালিয়নগুলি হবে দ্রুত, মারাত্মক এবং অত্যন্ত মোবাইল। উচ্চ-চাপযুক্ত যুদ্ধে তারা দ্রুত আক্রমণ চালাতে সক্ষম হবে।
তাদের লক্ষ্য: তারা শত্রুর গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানগুলিতে গভীর আঘাত পরিচালনা করবে, যেমন বৃহৎ শত্রু লক্ষ্যবস্তুতে সরাসরি আঘাত করা।
মোট শক্তি: ২৫টি ব্যাটালিয়ন গঠন করা হবে। এর মধ্যে পাঁচটি ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে। আরও চারটি মোতায়েন পর্যায়ে রয়েছে। বাকি ১৬টি ১ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে গঠন শুরু হবে। ছয় মাসের মধ্যে সবগুলি প্রস্তুত থাকবে।
এই ব্যাটালিয়নগুলি কোথায় মোতায়েন করা হয়েছে?
৩টি কর্পস (ডিমাপুর) ১২টি কর্পস (যোধপুর) ১৪টি কর্পস (লেহ) ১৫টি কর্পস (শ্রীনগর) ১৬টি কর্পস (নাগরোটা)
এই অবস্থানগুলি ভারতের সীমান্তে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন লাদাখ, রাজস্থান এবং কাশ্মীর, যেখানে চিন এবং পাকিস্তানের হুমকি অব্যাহত রয়েছে। ভৈরব ব্যাটালিয়নগুলি এই অঞ্চলগুলিকে শক্তিশালী করবে। ভৈরব এবং পুরানো বিশেষ বাহিনীর মধ্যে পার্থক্য হল যে সেনাবাহিনীতে ইতিমধ্যেই ১০টি প্যারা স্পেশাল ফোর্স ব্যাটালিয়ন এবং পাঁচটি প্যারা এয়ারবর্ন ব্যাটালিয়ন রয়েছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নে ৬২০ জন সেনা থাকে। এই ব্যাটালিয়নগুলি বড় এবং আকাশ থেকে আক্রমণের জন্য প্রশিক্ষিত। কিন্তু ভৈরব ছোট এবং আরও চটপটে। এটি পদাতিক বাহিনীকে একটি বিশেষ বাহিনী ইউনিটের ক্ষমতা দেবে, সম্পূর্ণ সংস্কারের প্রয়োজন ছাড়াই।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল অজয় কুমার বলেছেন যে ভৈরব ব্যাটালিয়নগুলি নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। এই ব্যাটালিয়নগুলি সেনাবাহিনীকে আরও চটপটে, মারাত্মক এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী করে তুলবে।
অশনী প্লাটুন: এখন ড্রোন সম্পর্কে কথা বলা যাক। ড্রোন হল ছোট আকাশযান যা উড়ে যায় এবং নজরদারি বা আক্রমণ পরিচালনা করে। সেনাবাহিনী প্রতিটি পদাতিক ব্যাটালিয়নে একটি অশনী প্লাটুন গঠন করছে। এই প্লাটুনগুলিতে ড্রোন দিয়ে সজ্জিত থাকবে। এখনও পর্যন্ত এই ধরনের ৩৮২টি প্লাটুন গঠন করা হয়েছে।
অশনী প্লাটুন কী?
সৈনিক: প্রতিটি প্লাটুনে ২০-2২৫ জন বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত সেনা থাকবে।
সরঞ্জাম: এই সেনারা বিভিন্ন ধরনের ড্রোন পরিচালনা করবে। ড্রোনগুলি নজরদারি, নজরদারি, পুনরুদ্ধার (ISR) এবং যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা হবে।
কাজ: এগুলি প্লাটুন কমান্ডারদের রিয়েল-টাইম তথ্য প্রদান করবে, যেমন শত্রু কোথায় আছে এবং তারা কী পরিকল্পনা করছে। এটি সঠিক লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণকে সহজ করে তুলবে।