রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ইউপির কোসাম্বির এক পরিবার যুদ্ধগ্রস্ত ইউক্রেনের নিজের ছেলে ফিরে আসার জোর তোর খুশি পালন করছে। নিজের ছেলেকে সুস্থ সবল দেখে তারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছেন। লাড্ডু বিতরণ করে পরিচিতের মধ্যে তারা উৎসব পালন করে চলেছেন। সোহিনী কোতোয়ালি ক্ষেত্রের চক মানিকপুর সৈয়দ রাজেগাঁও এর বাসিন্দা প্রমোদ কুমার শুক্রবার রাতে ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি ইউক্রেনের খারকিভ শহরে থাকছিলেন এবং সেখানে বিএন করাজিন ইউনিভার্সিটিতে এমবিবিএস এর পড়াশোনা করেছিলেন।
প্রমোদের চেহারা দেখা গেল ঘরে ফেরার শান্তি
প্রমোদকুমার যাদবের বাড়িতে ফিরেছেন তার চেহারায় একটা অদ্ভুত শান্তি চোখে পড়েছে। তিনি তাঁর নিজের পরিবারের সঙ্গে আবার দেখা করতে পেরে প্রগলভ হয়ে পড়েছেন। সবাইকে জড়িয়ে ধরেছেন। আনন্দে কি করবেন তার কোন ঠিকানা নেই। প্রমোদ নিজের প্রিয়জনের সঙ্গে ইউক্রেনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রমোদ জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার এর কাছ থেকে কোনও রকম সাহায্য না পাওয়া যাওয়ায় সমস্ত ছাত্র নিজেরাই বেরিয়ে পড়ে ট্রেনে চড়ার পর ভারতীয়দের লাথি মেরে বার করে দেওয়া হচ্ছিল বলে তিনি দাবি করেন। সঙ্গে প্রমোদ কুমার ইউক্রেনের ৮০০ ছাত্র এখনও পর্যন্ত আটকে থাকার দুঃখ ব্যক্ত করেছেন। তিনি ভারত সরকারের কাছে সেখানে আটকে থাকা ছাত্রদের ফিরিয়ে আনার জন্য অনুরোধ করেন।
ভিডিও জারি করে সরকারের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন
২৪ ফেব্রুয়ারি প্রমোদ কুমার ইউক্রেনের প্রথম বিস্ফোরণের শব্দ শোনেন। এরপর তিনি নিজের সঙ্গে সহপাঠীদের সঙ্গে বাংকারে লুকিয়ে পড়েন সেখানে প্রবোধকুমার একটা ভিডিও বানিয়ে নিজের পরিবার কাছে মেসেজ পাঠান। সঙ্গে ভারতীয় সরকারের কাছে সাহায্য চান। প্রমোদকুমার ইউক্রেনের যে খারকিভে ছিলেন সেখানে সবচেয়ে বেশি রাশিয়ান হামলা হয়েছে। সবদিকে ধ্বংস এবং ত্রস্ত চেহারা। সবচেয়ে বেশি ইউক্রেনের লোকেরা খারকিভ ছেড়ে অন্যান্য দেশে গিয়ে শরণ নিয়েছেন।
অপারেশন গঙ্গা এর সাহায্যে দেশে পাঠানো হচ্ছে ভারতীয়দের
যুদ্ধগ্রস্ত ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের নিয়ে ভারত সরকার চিন্তিত। ভারত সরকারের সেখানে থাকা ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার জন্য, সম্পূর্ণ শক্তি লাগিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। ইউক্রেনে থাকা ভারতীয় লোকেদের ফিরিয়ে আনার জন্য অপারেশন গঙ্গা চালাচ্ছেন। যার সাহায্যে বহু বিমান ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত হাজারো ভারতীয় লোক এবং ছাত্ররা ইউক্রেনে আছেন এবং সেখান থেকে ফিরে এসেছেন।