Census 2025: ভারতে লোকসংখ্যা কত? গণনা শুরু করছে কেন্দ্র, লোকসভা সিটও বাড়তে পারে

আগামী বছরেই আদমশুমারি। দীর্ঘ চার বছর পর দেশে ফের জনগণনা হতে চলেছে। এমনই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকারি সূত্রের খবর, ২০২৫ সালে এই জনসংখ্যা গণনা শুরু হবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে। এরপরেই শুরু হবে ডিলিমিটেশনের(জনঘনত্বের ভিত্তিতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস) কাজ। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন হবে।

Advertisement
ভারতে লোকসংখ্যা কত? গণনা শুরু করছে কেন্দ্র, লোকসভা সিটও বাড়তে পারে

আগামী বছরেই আদমশুমারি। দীর্ঘ চার বছর পর দেশে ফের জনগণনা হতে চলেছে। এমনই পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় সরকারের। সরকারি সূত্রের খবর, ২০২৫ সালে এই জনসংখ্যা গণনা শুরু হবে। ২০২৬ সাল পর্যন্ত চলবে। এরপরেই শুরু হবে ডিলিমিটেশনের(জনঘনত্বের ভিত্তিতে লোকসভার আসন পুনর্বিন্যাস) কাজ। আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে সেই কাজ সম্পন্ন হবে।

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালের নির্ধারিত সময়ে জনগণনা করা যায়নি। তবে এবার, ৪ বছর বাদে এই প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। গণনার সময়ও এর ফলে পাল্টে যাচ্ছে। সাধারণত প্রতি দশ বছরে একবার এই গণনা করা হয়।, এর মাধ্যমে জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (NPR) আপডেট করা হয়। ধর্ম, সামাজিক শ্রেণি, জেনারেল, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি বিভাগের গণনার পাশাপাশি এবার আলাদা করে বিভিন্ন সামাজিক উপ-শ্রেণি বা সম্প্রদায়ের পরিসংখ্যানও নেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সামাজিক উপ-শ্রেণি বলতে কী বোঝানো হচ্ছে?

এখনও পর্যন্ত আদমশুমারিতে ধর্ম ও শ্রেণীই দেখা হয়। এছাড়াও, জেনারেল, তফসিলি জাতি এবং উপজাতি গণনা করা হয়। তবে এবার তাঁরা কোন সম্প্রদায়ের অনুসারী, সেটাও প্রশ্ন করা হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কর্ণাটকে, লিঙ্গায়ত সম্প্রদায় আছে। এঁরা জেনারেল কাস্টের মধ্যে পড়েন। এই লিঙ্গায়তরা নিজেদের একটি পৃথক সম্প্রদায় বলে মনে করেন। একইভাবে, বাল্মীকি, রবিদাসী ইত্য়াদি তফসিলি জাতিদের মধ্যেও বিভিন্ন সম্প্রদায় রয়েছে। অর্থাৎ, সরকার ধর্ম, শ্রেণী ও গোষ্ঠীর ভিত্তিতে আদমশুমারির দাবি বিবেচনা করছে।

উল্লেখ্য, এই আদমশুমারির জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেন্সাস কমিশনার মৃৎজয় কুমার নারায়ণের কার্যকাল ২০২৬ সালের অগাস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয়টি হল, জাতি ভিত্তিক জনগণনা নিয়ে বারবার দাবি তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তবে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। আগামী বছরের গণনার প্রক্রিয়ার বিবরণও প্রকাশ করা হয়নি।

২০২৮ সালের মধ্যে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ডিলিমিটেশনের কাজও সম্পন্ন করবে কেন্দ্র।

ডিলিমিটেশন কী?

ডিলিমিটেশনের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী এলাকাগুলির পুনর্বিন্যাস করা হয়। নির্দিষ্ট পর পর করা হয়। এর মাধ্যমে লোকসভা বা বিধানসভা আসনগুলির সংখ্যা ও সীমানা নির্ধারণ করা হয়। জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতিটি আসন থেকে থাকে সমান অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব থাকে, সেটা নিশ্চিত করাই এর লক্ষ্য। 

Advertisement

ভারতে ডিলিমিটেশন কমিশন এই কাজটি পরিচালনা করে।

ডিলিমিটেশনের উদ্দেশ্য ও প্রভাব

  1. জনসংখ্যার ভারসাম্য: বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে জনসংখ্যার তারতম্য থাকলে প্রতিনিধিদের সংখ্যা ভারসাম্যপূর্ণ রাখা যায় না। ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া সঠিক অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব সুনিশ্চিত করে।
  2. আসন বৃদ্ধি বা হ্রাস: ডিলিমিটেশন কেবল আসনের সীমানা নয়, আসনের সংখ্যা পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতেও সাহায্য করে। এর ফলে কোনও এলাকায় আসন কমতে বা বাড়তে পারে।
  3. ভোটারদের কাছে প্রতিনিধি আরও সহজে পৌঁছাতে পারেন: সঠিকভাবে সীমানা নির্ধারণের ফলে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনী এলাকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান। এটি ভোটারদের জন্যও সুবিধাজনক।

ভারতে সর্বশেষ ডিলিমিটেশন কমিশনের কাজ ২০০৮ সালে হয়েছিল। 

POST A COMMENT
Advertisement