টাকার পাহাড়ে বসে IndiGo-র দুই মালিক, তাঁরা কারা-কত টাকার মালিক?

এখনও দেশজুড়ে কয়েকশো বিমান বাতিল রয়েছে বা দেরি করে উড়ান নিচ্ছে। ফলে খবরের শিরোনামে ইন্ডিগো। অনেকেই জানতে চাইছেন, এই বিমান কোম্পানির মালিক কে বা কোন গ্রুপ?

Advertisement
টাকার পাহাড়ে বসে IndiGo-র দুই মালিক, তাঁরা কারা-কত টাকার মালিক?IndiGo Airline
হাইলাইটস
  • যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরেই আটকে থাকতে হচ্ছে।
  • টানা সপ্তম দিনেও বেহাল অবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি ইন্ডিগো।
  • দেশজুড়ে কয়েকশো বিমান বাতিল রয়েছে বা দেরি করে উড়ান নিচ্ছে।

গত কয়েকদিন ধরেই দেশজুড়ে বিপাকে পড়েছেন বহু বিমান যাত্রীরা। ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত হতেই যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিমানবন্দরেই আটকে থাকতে হচ্ছে। টানা সপ্তম দিনেও বেহাল অবস্থা কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি ইন্ডিগো। এখনও দেশজুড়ে কয়েকশো বিমান বাতিল রয়েছে বা দেরি করে উড়ান নিচ্ছে। ফলে খবরের শিরোনামে ইন্ডিগো। অনেকেই জানতে চাইছেন, এই বিমান কোম্পানির মালিক কে বা কোন গ্রুপ?

কী ভাবে পথ চলা শুরু করল IndiGo?

আসলে ২০০৬ সালে আকাশে উড়েছিল IndiGo। বর্তমানে ভারতীয় বিমান পরিবহনের বাজারে সবচেয়ে বেশি শেয়ার থাকা এই বিমান সংস্থাটির যাত্রা শুরু হয়েছিল দুই বন্ধুর হাত ধরেই। রাহুল ভাটিয়া এবং রাকেশ গাঙ্গওয়াল-একসঙ্গে ইন্ডিগোর শুরুটা করেছিলেন। এমন এক সময়ে এই এয়ারলাইন্স চালু হয়, যখন দেশের বিমান চলাচল খাত সংকটের মধ্যে  রয়েছে। মূলত রাকেশ গাঙ্গওয়ালের প্রচেষ্টায় এয়ারবাস থেকে ১০০টি বিমান ধার করে জন্ম হয় ইন্ডিগোর। 

ইন্ডিগোর মূল সংস্থা ইন্টারগ্লোব এভিয়েশন কিন্তু এই দুই বন্ধু মিলে শুরু করে দিয়েছিলেন ২০০৪ সালেই। কিন্তু, বিমান না থাকার দরুণ তারা নিজেদের বিমান নামাতে পারেননি। অবশেষে লিজে নেওয়া ১০০টি বিমান দিয়েই, ২০০৬ সালে শুরু হয় পরিষেবা। বর্তমানে ইন্ডিগোর মূল সংস্থাটি স্টক এক্সচেঞ্জেও লিস্টেড রয়েছে।

ইন্ডিগোর মালিকদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কত?

ইন্ডিগোর প্রতিষ্ঠাতাদের মোট সম্পত্তির পরিমাণ বিরাট।ফোর্বসের রিয়েল-টাইম বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, রাহুল ভাটিয়ার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮.১ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা।  অন্যদিকে, রাকেশ গাঙ্গওয়ালের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা।

ইন্ডিগোর সংকটের কারণ কী?

এই পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন DGCA-র নয়া নিয়মকে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পাইলট ও বিমানকর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় তাঁদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল DGCA। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল-

Advertisement

১) পাইলট ও বিমানকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার সাপ্তাহিক বিশ্রাম দিতেই হবে। আগে এই সময় ছিল ৩৬ ঘণ্টা। 
২) প্রতি সপ্তাহে রাতে মাত্র ২টি বিমান অবতরণ করতে পারবেন পাইলটরা। আগে এই সংখ্যা ছিল ৬টি।
৩) পাইলট ও বিমানকর্মীদের নাইট ডিউটি সপ্তাহে পরপর দু'দিন একবারই দেওয়া যাবে।
৪) পাইলটরা 'লিভ' বা 'ছুটি' নিলে তা সাপ্তাহিক বিশ্রামের আওতায় আসবে না। যদিও এই নিয়মটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই বিধি নির্দেশিকা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আনা হলেও, বিমান কোম্পানিগুলির বারংবারং অনুরোধে তা লাগু করা থেকে পিছিয়ে আসছিল DGCA। কিন্তু সম্প্রতি এই বিধি কার্যকর করার জন্য খোদ দিল্লি হাইকোর্ট  DGCA-কে নির্দেশ দেয়। এরপরই জুন ও নভেম্বর মাসে দুই দফায় এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে শুরু করে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কেন IndiGo-ই সবচেয়ে বেশি সমস্যায়?

দেশীয় আভ্যন্তরীণ উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে  ইন্ডিগো তুলনামূলক অনেকটাই সস্তা। ফলে এই এয়ারলাইন্সটির উপরে এমনিতেই যাত্রীচাপ বেশি থাকে। পরিসংখ্যান বলে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও একাধিক এয়ারলাইন্সের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিগো। দেশের প্রায় ৯০টি এয়ারপোর্টে পরিষেবা রয়েছে এই সংস্থার। এছাড়াও, ইন্ডিগোর প্রচুর সংখ্যক বিমান রাতে চলাচল করে। নয়া বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রাতের বিমান চলাচলেই। যার জেরে ভুগতে হচ্ছে IndiGo-কে। কারণ নিয়ম মেনে পরিষেবা দিতে যে পরিমাণে পাইলটের প্রয়োজন, তা এখনও ইন্ডিগোর কাছে নেই। ফলে বেঁধেছে বিপত্তি।

POST A COMMENT
Advertisement