Mamata on IndiGo Crisis: IndiGo সঙ্কট কেন? মমতা এবার মুখ খুললেন

এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। চূড়ান্ত অব্যবস্থা আকাশপথে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন হাজার হজার যাত্রী। আর এই গোটা ঘটনায় কেন্দ্রকেই নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'আগে থেকে পরিকল্পনা করলে এই সমস্যা এড়ানো যেতো, আমি বুঝতে পারছি না কেন্দ্র কী করছে, বিজেপি শুধু ক্ষমতা দখল করতে চায়।'

Advertisement
 IndiGo সঙ্কট কেন? মমতা এবার মুখ খুললেনIndiGo সংকটে কেন্দ্রকে নিশানা মমতার

এখনও স্বাভাবিক হয়নি ইন্ডিগোর  বিমান পরিষেবা।  চূড়ান্ত অব্যবস্থা আকাশপথে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন  হাজার হজার যাত্রী। আর এই গোটা ঘটনায় কেন্দ্রকেই নিশানা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, 'আগে থেকে  পরিকল্পনা করলে এই সমস্যা এড়ানো যেতো, আমি বুঝতে পারছি না কেন্দ্র কী করছে, বিজেপি শুধু ক্ষমতা দখল করতে চায়।'

আজ দু'দিনের কোচবিহার সফরে গেলেন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমান ওঠার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই ইন্ডিগো সঙ্কট এবং যাত্রী হেনস্তার ঘটনায় ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

বিগত এক সপ্তাহ ধরে ইন্ডিগো বিভ্রাট নিয়ে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইন্ডিগোর বিমান বাতিল জাতীয় বিপর্যয়। এরজন্য দায়ী কেন্দ্র। এভাবেই বিমানবন্দর থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সর চড়ান মমতা। 

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন রে দেশজুড়ে ইন্ডিগোরব্যাপক পরিষেবা বিপর্যয়ে নাজেহাল যাত্রীরা। পরিষেবা এবং যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দেশের বৃহত্তম বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় লক্ষ লক্ষ যাত্রী অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার নেপথ্যে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র একটি বিধিকে দায়ী করা হচ্ছে। বিমান পরিষেবায় নিরাপত্তা আরও মজবুত করতে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের কাজের সময় এবং বিধি নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল ডিজিসিএ। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই বিধিতে বলা হয়েছিল, প্রতি সপ্তাহে পাইলট এবং বিমানকর্মীদের বিশ্রামের জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে মাত্র ২টি বিমান রাতে অবতরণ করাতে পারবেন এক জন পাইলট (আগে সংখ্যাটা ছিল ৬)। তা ছাড়া ওই বিধিতে বলা হয়, পাইলট এবং বিমানকর্মীদের পর পর দু’দিন নাইট ডিউটি দেওয়া যাবে সপ্তাহে এক বারই। ২০২৪ সালের জুনেই এই বিধি কার্যকর করার কথা ছিল। কিন্তু বিমানসংস্থাগুলির অনুরোধে তা বার বার পিছিয়ে যায়। সম্প্রতি নতুন বিধি কার্যকর করার জন্য ডিজিসিএ-কে নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। জুন এবং নভেম্বরে দুই দফায় ধাপে ধাপে নির্দেশিকায় থাকা নিয়মাবলি কার্যকর করার পথে হাঁটে ডিজিসিএ। ইন্ডিগোর অনেক বিমানই রাতে অবতরণ করে। তাই নয়া বিধিতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এই বিমানসংস্থাই। নয়া বিধি মেনে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে যত সংখ্যক কর্মী এবং পাইলট প্রয়োজন, বর্তমানে তা ইন্ডিগোর নেই। পাইলট এবং কর্মী অপ্রতুলতার কথা স্বীকার করে ইতিমধ্যেই যাত্রীদের কাছে একাধিক বার ক্ষমাও চেয়েছে ইন্ডিগো।

 ইন্ডিগো  বিভ্রাটে ক্ষোভ প্রকাশ করে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন , কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে পাইলটদের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হওয়ায় পরিস্থিতি অচলাবস্থার রূপ নিয়েছে, আর তার জেরে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'যাত্রীদের হয়রানি হচ্ছে। পাইলটদের উপরে অতিরিক্ত চাপ দিলে সে বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কিন্তু কোনও নির্দেশ দেওয়ার আগে বিকল্প ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। সাধারণ মানুষের কথা ভাবা উচিত।' মমতার দাবি, আচমকা নিয়ম পরিবর্তন মানুষের স্বাভাবিক যাতায়াত পুরোপুরি বিঘ্নিত করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'তিন হাজারের টিকিটের দাম ৫০ হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। বর-কনে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছে না। এরকম অচলাবস্থা আমি কোনও দিন দেখিনি। এটা একটা বিপর্যয়।' তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্র কোনও বিকল্প ব্যবস্থা না করেই নির্দেশ জারি করেছে, যার ফলে হাজার হাজার যাত্রী গত সাত-আট দিন ধরে বিমানবন্দরে আটকে রয়েছেন। 'সাধারণ মানুষকে এভাবে হয়রানি করার অধিকার কে দিয়েছে?' প্রশ্ন তোলেন  মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'শুধু প্লেনের বদলে ট্রেনে যান বলে দিলেই হল না। ট্রেনেও তো টিকিট নেই। অন্তত এমন ব্যবস্থা করুন যাতে অর্ধেক উড়ান হলেও চালানো যায়। আমি জানি না ওরা কী করছে। দেশের বিষয়ে কোনও চিন্তা নেই। কীভাবে ভোট আর ইভিএম দখল করবে, তা নিয়েই বিজেপি সরকার ভাবিত। আমরা মানুষের কথা ভাবি।'

Advertisement

POST A COMMENT
Advertisement