মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে অন্যরকম ঘটনা। পহেলগাঁওয়ের ঘটনায় শোকাহত কুলকার্নি নগরের এক বাসিন্দা ফিরে এলেন হিন্দু ধর্মে। দরগা চত্বরে সুন্দরকাণ্ড পাঠও করেন।
গত ৪০ বছর ধরে সৈয়দ নিজামুদ্দিনের দরগায় কাজ করে আসছেন শ্যামলাল নিনোরি। গোয়ালিয়র তেল মিলের জমিতে নির্মিত এই দরগাটি। স্থানীয় লোকেরা মুসলিমরা তাঁর নাম রেখেছিলেন শাহাবুদ্দিন। শ্যামলালও নিজেকে শাহাবুদ্দিন হিসেবে ভাবতে শুরু করেন। শাহাবুদ্দিন এবং তাঁর পরিবার মুসলিমদের মতো রোজা রাখতেন, নমাজ পড়তেন এবং ইসলামের সকল ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসরণ করতেন। শুধু তাই নয়, তিনি দরগায় উরসের আয়োজনও করেছিলেন। পুণ্যার্থীদের খিচুড়িও খাওয়াতেন। তাঁকে 'দরগাওয়ালে বাবা' নামেও চেনেন লোকজন।
স্থানীয় কাউন্সিলর জীতু যাদবের উদ্যোগে হিন্দু ধর্মে ফিরে এলেন শ্যামলাল। জীতু যাদব জানান,'আগে পুরসভার কর্মী ছিলেন শ্যামলাল। সরকারি নথিতে নিজের নাম পরিবর্তন করেননি। কিন্তু গত ৪০ বছর ধরে মানুষ তাঁকে মুসলিম হিসেবেই দেখত। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় হিন্দুরা নিহত হওয়ার পর শ্যামলালের মন পরিবর্তন হয়'।
দরগায় কাওয়ালির পরিবর্তে সুন্দরকাণ্ড পাঠের আয়োজন করেন শ্যামলাল। পহেলগাঁও দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এই অনুষ্ঠানে কাউন্সিলর জীতু যাদব-সহ এলাকার মানুষরা উপস্থিত ছিলেন।
কয়েকদিন আগে এই দরগা সম্পর্কিত একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই ভিডিওয় কাউন্সিলর জীতু যাদবকে শ্যামলালকে অবৈধ দখল এবং অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তিরস্কার করতে দেখা গিয়েছিল। সেই কাউন্সিলরের কথাতেই শ্যামলাল ফিরে এলেন হিন্দু জীবনচর্চায়।