Assam Loughing Emoji Case: কারও কমেন্টে হাসির ইমোজি কি অপরাধ? বুলিং-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু!

Assam Loughing Emoji Case: এই বিষয়টি অসমের এক ঘটনার পর সামনে আসে, যেখানে এক ব্যক্তিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করার অভিযোগে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারে যদি কেউ অভিযোগ দায়ের করে।

Advertisement
কারও কমেন্টে হাসির ইমোজি দেওয়া কি অপরাধ? বুলিং-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু!হাসির ইমোজি কি অপরাধ? বুলিং-এর অভিযোগে তদন্ত শুরু!

Assam Loughing Emoji Case: সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং, বুলিং ও অপমানজনক আচরণ এখন সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, কিছু ইমোজির ব্যবহারের কারণে মানসিক কষ্টের অভিযোগ উঠে আসার পর পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে, হাসির ইমোজি বা অস্ত্রজাতীয় ইমোজি ব্যবহারের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।

এ প্রসঙ্গে কড়কড়ডুমা কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মনীষ ভদোরিয়ার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। তিনি জানান, ‘‘যদি কেউ শুধুমাত্র কোনও কমেন্টে হাসির ইমোজি রিঅ্যাক্ট করে, তাহলে সেটিকে আইনত অপরাধ হিসেবে ধরা যাবে না। তবে, যদি প্রমাণিত হয় যে কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় করছে বা মানহানি করছে, তাহলে সেটি অবশ্যই অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘ধরুন, একজন ব্যক্তি কারও মজা করল, আর তৃতীয় ব্যক্তি সেই পোস্টে হাসির ইমোজি দিল— তাহলে তাকে অপরাধী বলা যাবে না। তবে যদি এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে অপমান করার জন্য করা হয়, তাহলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে।’’

আইনি দৃষ্টিভঙ্গি: এই বিষয়টি অসমের এক ঘটনার পর সামনে আসে, যেখানে এক ব্যক্তিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করার অভিযোগে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ কারও বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারে যদি কেউ অভিযোগ দায়ের করে। তবে শুধু ইমোজি ব্যবহার করা বা কারও কমেন্টে রিঅ্যাক্ট করা আইনত অপরাধের মধ্যে পড়ে না।

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য বার্তা: বেআইনি কিছু না করলেও সামাজিক দায়িত্ব আমাদের সকলের আছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনভাবে এবং সংবেদনশীলভাবে ব্যবহার করাই উচিত। কারণ, কখনও কখনও নিরীহ একটি ইমোজিও কারও মানসিক কষ্টের কারণ হয়ে উঠতে পারে।

 

POST A COMMENT
Advertisement