মঙ্গলযান ২, কাল্পনিক ছবি, জেমিনিকবে মঙ্গলে পা দেবে ভারত? এই প্রশ্ন অনেক দিন ধরেই ঘুরছে ভারতবাসীর মনে। আর সেই কথাটা ঠিকই ধরে ফেলেছে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা ইসরো। তাই তো সংস্থার চেয়ারম্যান ডঃ ভি নারায়াণন অবশেষে মঙ্গলযান ২ নিয়ে ঘোষণা করে দিলেন। তিনি জানালেন, ২০২৩ সালে মঙ্গলযান পাড়ি দেবে মঙ্গলের উদ্দেশে। আর এই ঘোষণা এল প্রথম মঙ্গলযান উড়ে যাওয়ার ঠিক ১২ বছর পর। প্রসঙ্গত, মঙ্গলযান ২-এর মাধ্যমেই ভারত প্রথম মঙ্গলে পা ফেলতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও মাথায় রাখতে হবে মঙ্গলের কক্ষে পৌঁছে যাওয়ার কাজটা ভারত অনেক দিন আগেই সেরে ফেলেছে। ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সেই স্পেসক্রাফ্ট লঞ্চ করে ইসরো। সেটা মঙ্গলের কক্ষপথে জায়গাও করে নেয়। আর প্রথম চেষ্টায় এই কাজ করে তাঁরা তৈরি করে নতুন রেকর্ড। এর আগে কোনও দেশই সেটা পারেনি।
সেই স্পেসক্রাফট মঙ্গলের কক্ষে ৭ বছর ধরে কাজ করেছে। মঙ্গলের আবহাওয়া থেকে শুরু করে সেখানকার খনিজ পদার্থ সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠিয়েছে সেই যান। ঋদ্ধ হয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা।
তবে সেই যানের থেকেও বহুগুণে এগিয়ে থাকবে মঙ্গলযান ২। এটি শুধু মঙ্গলের কক্ষপথেই ঘুরতে থাকবে না। বরং এর একটি অংশ নেমে যাবে মঙ্গলের বুকে।
কী করতে চাইছে ইসরো?
এই মহাকাশযান তৈরির জন্যে উঠে পড়ে লেগে পড়েছে ইসরো। তারা এই যানে সমস্ত ধরনের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে বলেই খবর। এই যানের জন্য তৈরি করা হচ্ছে অ্যাডভান্স প্রোপালশন। পাশাপাশি অত্যাধুনিক নেভিগেশন এবং ল্যান্ডিং সিস্টেমও তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তি এমনভাবে তৈরি হবে যাতে তা মঙ্গলে ঠিকঠাক কাজ করতে পারে।
ইন্ডিয়া টুডে কী জানায়?
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া টুডেকে ইসরোর এক আধিকারিক জানান, 'মঙ্গলযান ২ মঙ্গলের কক্ষে ঘোরনোর জন্য তৈরি হয়নি। এর মাধ্যমে ভারত অন্য গ্রহে প্রথম সফট ল্যান্ডিং করবে।'
মঙ্গলযান ২-এর প্রাথমিক মিশন স্টাডি এবং ডিজাইনের কাজ ইতিমধ্যে ইসরো-এর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার এবং বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে শুরু হয়ে গিয়েছে।
এই মিশন সম্পূর্ণ হলে আমেরিকা, চিন ও রাশিয়ার দলে মিশে যাবে ভারত। কারণ, এই দেশগুলি ইতিমধ্যেই মঙ্গলে পা ফেলেছে। আর সেই দলেই জায়গা করে নিতে চলেছে ভারতে।