মহাকাশে ‘বাহুবলী’কে পাঠাল ISRO
ISRO Latest Launching News: ইসরো নিজের তৈরি বাহুবলী স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে। CMS-03 নামক এই উপগ্রহটি LVM3-M5 রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এর ভারী পেলোড ক্ষমতার জন্য এটিকে 'বাহুবলী' নামকরণ করা হয়েছে। ৪,৪১০ কেজি ওজনের এই উপগ্রহটি ভারতের মাটি থেকে জিওসিনক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটে (GTO) উৎক্ষেপণ করা সবচেয়ে ভারী উপগ্রহ।
২৪ ঘন্টার কাউন্টডাউনের পর, ৪৩.৫ মিটার লম্বা রকেটটি বিকেল ৫:২৬ মিনিটে চেন্নাই থেকে প্রায় ১৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। ইসরো এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রায় ১৬ থেকে ২০ মিনিটের উড্ডয়নের পর রকেটটি ১৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় উপগ্রহ থেকে আলাদা হয়ে যায়। ইসরো অনুসারে, LVM3 (লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩) একটি নতুন ভারী-লিফ্ট ভেহিকেল। এটি ৪,০০০ কেজি ওজনের মহাকাশযানকে GTO-তে সাশ্রয়ী মূল্যে স্থাপন করতে ব্যবহার করা হবে।
দুটি সলিড মোটর 'স্ট্র্যাপ-অন' (S200), একটি লিকুইড প্রোপেল্যান্ট কোর স্টেজ (L110) এবং একটি ক্রায়োজেনিক স্টেজ (C25) নিয়ে গঠিত এই তিন-স্তরের উৎক্ষেপণ যানটি ISRO-কে GTO-তে ৪,০০০ কেজি পর্যন্ত ওজনের ভারী যোগাযোগ উপগ্রহ উৎক্ষেপণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বনির্ভরতা প্রদান করছে। LVM3 - যা ISRO বিজ্ঞানীদের কাছে জিওসিনক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (GSLV) Mk3 নামেও পরিচিত।
🛰️ 𝐈𝐒𝐑𝐎 𝐋𝐕𝐌𝟑-𝐌𝟓 / 𝐂𝐌𝐒-𝟎𝟑 𝐋𝐚𝐮𝐧𝐜𝐡
— All India Radio News (@airnewsalerts) November 2, 2025
Liftoff! #LVM3M5 launches #CMS03 from Satish Dhawan Space Centre, Sriharikota, carrying India’s heaviest communication satellite to GTO.#ISRO @isro #SpaceMission #IndiaInSpace #Sriharikota pic.twitter.com/ySGxcOtkB6
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য CMS-03 (GSAT-7R) যোগাযোগ উপগ্রহ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। এই উপগ্রহটি এখন পর্যন্ত নৌবাহিনীর সবচেয়ে উন্নত উপগ্রহ। এটি নৌবাহিনীর মহাকাশ-ভিত্তিক যোগাযোগ এবং সামুদ্রিক ক্ষেত্র সচেতনতা ক্ষমতাকে শক্তিশালী করবে।
ভারত কেন এই অভিযান শুরু করল?
ISRO-এর মতে, এই মিশনের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ভারতের প্রত্যন্ত এবং সামুদ্রিক অঞ্চলে উন্নত যোগাযোগ পরিষেবা প্রদান করা। CMS-03 উপগ্রহটি ভারতের ডিজিটাল নেটওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করবে, প্রতিরক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং বDসামরিক যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে। এই উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ভারতের স্বনির্ভরতা নীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। ভারী উপগ্রহের জন্য দেশকে আর বিদেশী উৎক্ষেপণ পরিষেবার উপর নির্ভর করতে হবে না।