ইতিহাস গড়ল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)। আরও উন্নত ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ স্যাটেলাইট পাঠানো হল তাদের তরফে। রাত ১০ টা নাগাদ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস রিসার্চ সেন্টার এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। এই লঞ্চিংকে স্প্যাডেক্স মিশন (স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট) বলা হচ্ছে। এই পদক্ষেপকে ভারতের মহাকাশ কর্মসূচিতে 'একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক' বলে বর্ণনা করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ইসরোর এই মিশনের সাফল্য ভারতীয় মহাকাশ স্টেশন (BSS) নির্মাণ এবং চন্দ্রযান-৪ মিশনের সাফল্য নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণেই এই উৎক্ষেপণকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।
এই মিশনে দুটি স্যাটেলাইট রয়েছে। প্রথমটি হল চেজার এবং দ্বিতীয়টি হল টার্গেট। চেজার স্যাটেলাইট টার্গেট ধরবে। যা দিয়ে ডকিং করা হবে। এর বাইরে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হতে পারে। স্যাটেলাইট থেকে। স্যাটেলাইটে একটি রোবোটিক বাহু রাখা হয়েছে। সেটি একটি হুকের মাধ্যমে লক্ষ্যকে নিজের দিকে টেনে নেবে। অর্থাৎ টেথারড পদ্ধতিতে।
এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যতে ইসরোর মহাকাশ গবেষণার পথ আরও সহজ হবে। কক্ষপথে সার্ভিসিং এবং রিফুয়েলিংয়ের বিকল্পও খুলে যাবে। পিএসএলভি রকেটে দুটি মহাকাশযান-- মহাকাশযান A (SDX01) এবং মহাকাশযান B (SDX02) একটি কক্ষপথে স্থাপন করা হবে যা তাদের একে অপরের থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে রাখবে। পরে, ISRO সদর দফতরের বিজ্ঞানীরা তাদের ৩ মিটারের কাছাকাছি আনার চেষ্টা করবেন যা পরবর্তীতে তাদের পৃথিবীর উপরে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় একত্রে মিলিত হতে পরিচালিত করবে।
ইসরো জানিয়েছে,তাদের লক্ষ্য চন্দ্রযান-4 এর চাঁদের পৃষ্ঠ থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে আনা । এই উদ্দেশ্যে দু’টি রকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মডিউল মহাকাশে পাঠানো হতে পারে । এগুলিকে পর্যায়ক্রমে পৃথিবী এবং চাঁদের কক্ষপথে ডকিং করা হবে ৷