Chandrayaan 3 Landing: বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতেই করতালিতে ফেটে পড়লেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা, দেখুন সেই মুহূর্ত

প্রথমে রাফ ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে চন্দ্রযানের গতি কমানো হয়। প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে গতি কমানো হয়। সেই সময়ে ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তুঙ্গে উৎকন্ঠা। স্ক্রিনে চোখ বিজ্ঞানীদের। অবতরণের ১৩ মিনিট আগে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসে চন্দ্রযান-৩।  

Advertisement
বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতেই করতালিতে ফেটে পড়লেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা, দেখুন সেই মুহূর্তকরতালি বিজ্ঞানীদের
হাইলাইটস
  • প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে গতি কমানো হয়। সেই সময়ে ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তুঙ্গে উৎকন্ঠা। স্ক্রিনে চোখ বিজ্ঞানীদের। 
  • শেষ কয়েক মিনিট। একেবারে যেন পিন ড্রপ সাইলেন্স। 
  • সন্ধ্যা ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারত। এরপরেই করতালিতে ফেটে পড়ে ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। করমর্দন, আলিঙ্গনের মাধ্যমে অভিনন্দন জানাতে থাকেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

অবশেষে মিলল সাফল্য। চাঁদের মাটি ছুঁল চন্দ্রযান-৩। ইতিহাস গড়ল ISRO। পরিকল্পনামাফিক, বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের মাটি ছুঁল ভারত।

প্রথমে রাফ ব্রেকিংয়ের মাধ্যমে চন্দ্রযানের গতি কমানো হয়। প্রায় ৭-৮ মিনিট ধরে গতি কমানো হয়। সেই সময়ে ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে তুঙ্গে উৎকন্ঠা। স্ক্রিনে চোখ বিজ্ঞানীদের। অবতরণের ১৩ মিনিট আগে প্রায় ২৪ কিলোমিটার উচ্চতায় নেমে আসে চন্দ্রযান-৩।  
 

টানটান উত্তেজনা
টানটান উত্তেজনা

৮০০ নিউটনের ৪টি থ্রোটল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ল্যান্ডার মডিউলের অনুভূমিক গতি কমানো হয়। 

সন্ধ্যা ৫.৫৮ নাগাদ ল্যান্ডার ১ কিলোমিটারের কাছে এসে যায়। শুরু হয় ভার্টিকাল ডিসেন্ট ফেজ। ইসরোর বিজ্ঞানীদের চোখে মুখে উত্তেজনা। 

আর তারপরেই শেষ কয়েক মিনিট। একেবারে যেন পিন ড্রপ সাইলেন্স। 
 

উৎকণ্ঠার সেই মুহূর্ত
উৎকণ্ঠার সেই মুহূর্ত

ধীরে ধীরে ৩৫০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত নামে ল্যান্ডার। সেখানে ২০-২২ সেকেন্ড হোভার বা এক স্থানে ভাসমান হয়ে থাকে ল্যান্ডার। 

এরপর ১৫০ মিটার থেকে ২টি থ্রাস্টার জ্বলে ওঠে। একেবারে ধীরে ধীরে নেমে আসে চন্দ্রযান-৩। সন্ধ্যা ৬.০৪ নাগাদ চাঁদের মাটি স্পর্শ করে ভারত।

এরপরেই করতালিতে ফেটে পড়ে ইসরোর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। করমর্দন, আলিঙ্গনের মাধ্যমে অভিনন্দন জানাতে থাকেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
 

করতালিতে ফেটে পড়লেন সকলে
করতালিতে ফেটে পড়লেন সকলে

মাসের পর মাসের অক্লান্ত পরিশ্রম। রাত জাগা টেনশন। সেই সবই যেন সফল হল আজ। 

আগের বার মন ভেঙেছিল দেশবাসীর। চন্দ্রযান-২-এর ল্যান্ডার সফলভাবে চন্দ্র পৃষ্ঠ স্পর্শ করতে পারেনি। ২.১ কিলোমিটারের কাছাকাছি উচ্চতায় এসে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের সেই রাত এখনও অনেকের স্মৃতিতে অটুট। 

এবারেও তাই ল্যান্ডিং নিয়ে এবারে বাড়তি উৎকণ্ঠা ছিল সকলের। সতর্ক ছিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরাও। তবে শেষ পর্যন্ত সফলভাবেই চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩। গত ১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ মিনিট নাগাদ লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ রকেটে চড়ে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চন্দ্রযান।

POST A COMMENT
Advertisement