হঠাৎ পদত্যাগ। তারপর থেকেই তুঙ্গে জল্পনা। ৫৩ দিন পর অবশেষে দেখা মিলল প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের। ইস্তফার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তিনি। শুক্রবার নতুন উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন। রাষ্ট্রপতি ভবনের সেই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের হেভিওয়েট মন্ত্রীরা ছিলেন। তাঁদের মাঝে হাসিমুখেই দেখা গেল ধনখড়কে।
ধনখড়ের পদত্যাগ
গত ২০২২ সালের অগাস্ট থেকে ১৪তম উপরাষ্ট্রপতির দায়িত্বে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। প্রায় ৫৩ দিন আগে হঠাৎ পদত্যাগ করেন। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে লেখা এক চিঠিতে তিনি জানান, স্বাস্থ্যগত কারণে পদত্যাগ করছেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিজেকে সময় দিতে চান। তাঁর এই আকষ্মিক সরে দাঁড়ানো ঘিরে শুরু হয় জল্পনা।
কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষক দাবি করেন, এই পদত্যাগের পিছনে দলের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতিরও কোনও ভূমিকা থাকতে পারে। তবে ধনখড় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্যই স্বাস্থ্যের প্রতি মনোযোগী হওয়া। তিনি রাষ্ট্রপতি মুর্মুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মন্ত্রিসভার সহায়তার জন্যও ধন্যবাদ জানান।
ভারতের ১৫তম উপরাষ্ট্রপতি সিপি রাধাকৃষ্ণন
শুক্রবার নয়া উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন তামিলনাড়ুর প্রবীণ বিজেপি নেতা সিপি রাধাকৃষ্ণন। তিনি দুইবারের লোকসভা সাংসদও ছিলেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
শপথ গ্রহণে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, সিনিয়র কেবিনেট মন্ত্রী এবং বিরোধী দলের নেতারা।
নিয়ম মেনে নির্বাচন
ধনখড়ের পদত্যাগের পর নির্বাচন কমিশন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা করে। শাসক এনডিএ জোটের একক সমর্থনে সিপি রাধাকৃষ্ণন মনোনীত হন এবং সামান্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ভোটে জেতেন। এরপর শুক্রবার শপথ নিলেন তিনি।