দেশের রাজনীতিতে এখন হট টপিক উপরাষ্ট্রপতি পদে জগদীপ ধনখড়ের ইস্তফা। গত সোমবার রাতে হঠাত্ই উপরাষ্ট্রপতি পদে ইস্তফা দিয়ে দেন ধনখড়। কারণ হিসেবে জানান, শারীরিক অসুস্থতা। তারপর থেকেই ওই ইস্তফা নিয়ে নানা জল্পনা-আলোচনা চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, জগদীপ ধনখড়কে নাকি হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
ধনখড়কে নিয়ে কল্যাণের বিস্ফোরক দাবি
ধনখড়ের পদত্যাগ ইস্যুতে খুব বেশি মুখ না খুললেও অসুস্থা তত্ত্ব সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার নবান্নে মমতা বলেন, 'উনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। এর বেশি কিছু এখনই বলব না।' দলনেত্রীর এই বক্তব্যের পরের দিনই অর্থাত্ আজ, বুধবার কল্যাণ একেবারে নিজস্ব স্টাইলে ধনখড়ের পদত্যাগ নিয়ে মন্তব্য করে বসলেন।
শ্রীরামপুরের সাংসদের মুখে ধনখড়ের প্রশংসা
কল্যাণের কথায়, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা না শোনায় ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়েছে জগদীপ ধনখড়কে। উনি সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেন। মোদী তো চান না কেউ সংবিধান অনুযায়ী কাজ করুক। ৫০ জনকে রাজনাথ সিংয়ের ঘরে বসিয়ে রেখেছিল ইমপিচমেন্ট মোশনে সই করানোর জন্য। এখন শুনছি রাজনাথ সিংকে সাইডলাইন করার জন্য এই হুমকি দেওয়া হয়েছে। তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি করা হবে।'
বস্তুত, লোকসভা ভোটের আগে সংসদের বাইরে এই জগদীপ ধনখড়ের মিমিক্রি করেই বিতর্ক তৈরি করেছিলেন কল্যাণ। কল্যাণের সেই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন ধনখড়। সেই সময় রাহুল গান্ধী মজা নিচ্ছিলেন বলে, তাঁর নাম করেও ভর্ত্সনা করেছিলেন ধনখড়। সেই কল্যাণ আজ হঠাত্ বলছেন, জগদীপ ধনখড় সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেন।
কী ঘটেছিল সে দিন মিটিংয়ে
সোমবার রাতে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছিলেন জগদীপ ধনখড়। মঙ্গলবারই তাঁর ইস্তফা গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। মঙ্গলবারই কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজ্যসভায় বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির মিটিংয়ে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। রমেশের দাবি, ওই মিটিংয়ে জেপি নাড্ডা, কিরেন রিজিজু ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় ফের মিটিং রাখা হয়েছিল। পরের মিটিংয়ে যোগ দেন অনেকেই। কিন্তু নাড্ডা এবং রিজিজু আসেননি। জগদীপ ধনখড় নিজেও জানতেন না যে, ওই ২ মন্ত্রী আসবেন না।