সোমবার রাতে আচমকাই দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন জগদীপ ধনখড়। স্বাস্থ্যের কারণ দেখিয়ে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তা নিয়ে চর্চাও অব্যাহত। বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অভিযোগ, সরকারের চাপে পড়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন ধনখড়। এরইমধ্যে জানা যাচ্ছে, তিনি উপরাষ্ট্রপতির বাসভবন শিগগিরই খালি করবেন।
সূত্রের খবর, উপরাষ্ট্রপতির পদ থেকে যেদিন পদত্যাগ করেন সেদিন থেকেই তল্পিতল্পা গোটাতে শুরু করেছিলেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয় মঙ্গলবার।
সূত্রের এও দাবি, কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সময় পাননি। পদত্যাগের পর থেকে রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তিনি। শরদ পাওয়ারের মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের সঙ্গেও দেখা করতে চাননি তিনি।
সরকারি প্রোটোকল অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার পর উপরাষ্ট্রপতিকে টাইপ এইট ক্যাটাগরির সরকারি বাংলা দেওয়া হয়। ধনখড়ের মেয়াদ ২০২৭ পর্যন্ত ছিল। তার আগেই পদত্যাগ করেছেন তিনি। সেক্ষেত্রে তাঁকে সরকারি বাংলো দেওয়া হবে নাকি বেসরকারি কোনও জায়গায় থাকবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এখন কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন ধনখড় ?
দেশের উপরাষ্ট্রপতি পদ ছাড়ার পরেও অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাবেন ধনখড়। সেই তালিকায় রয়েছে পেনশন, বাসস্থান এবং অন্য সুবিধা। তিনি সর্বক্ষণের কর্মী পাবেন। যার মধ্যে দুইজন সহকারী এবং দুইজন পিয়ন। এই কর্মীরা তাঁকে অফিসিয়াল কাজে সহায়তা করবেন। প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির নিয়মিত চেকআপের জন্য একজন ডাক্তারও নিযুক্ত করা হয়। অফিসের খরচের জন্য আলাদাভাবে ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হয়। বাড়ির জল ও বিদ্যুৎও বিনামূল্যে পান প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। একইসঙ্গে প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি তাঁর সঙ্গী বা একজন আত্মীয়ের সঙ্গে দেশের যে কোনও জায়গায় বিনামূল্যে বিমান বা রেল ভ্রমণের সুবিধা পেয়ে থাকেন।
প্রসঙ্গত, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ছিল সংসদের বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটির বৈঠক। অধিবেশনে কখন, কী নিয়ে আলোচনা হবে, সেই বিষয়েই আলোচনা হয় এই বৈঠকে। সেখানে হাজির ছিলেন ধনখড়। এরপর বিকেল ৪ টেয় ফের বৈঠক বসে। তবে আসেননি নাড্ডা ও রিজিজু। ফলে বাতিল হয়ে যায়। এরপর রাতে রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে পদত্যাগের কথা জানান ধনখড়। কংগ্রেসের অভিযোগ, বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টের মধ্যে কিছু ঘটেছে। সেজন্যই ধনখড় পদত্যাগ করেছেন।