মহারাষ্ট্রের জলগাঁও পুষ্পক এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা ঘটেছে। কর্ণাটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় পুষ্পক এক্সপ্রেস থেকে নামার যাত্রীরা।রেললাইনে নেমে দাঁড়ানো যাত্রীদের উপর দিয়ে চলে যায় অন্য একটি ট্রেন। মহারাষ্ট্রের এই ঘটনায় অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পুষ্পক এক্সপ্রেসের যাত্রীদের ধাক্কা দিয়েছে কর্নাটক এক্সপ্রেস। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে দুর্ঘটনায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। ঘটনাস্থলে রেল আধিকারিকেরা পৌঁছেছেন। উদ্ধারকাজ চলছে।
লখনউ থেকে মুম্বাইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসে বি ৪ বগিতে হঠাৎ স্পার্কিং হলে ট্রেনটি থেমে যায়। এ সময় ট্রেনে আগুন লেগেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কে কয়েকজন যাত্রী প্রাণ বাঁচাতে ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়েন। বিপদের আশঙ্কায় ট্র্যাকে নামা যাত্রীরা তখন বুঝতে পারেননি যে, একই সময়ে মনমাদ থেকে ভুসাওয়ালের দিকে আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেস বিপরীত দিকের ট্র্যাকে ছুটে আসছে। কর্ণাটক এক্সপ্রেস ওই যাত্রীদের পিষ্ট করে, যা প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৮ থেকে ১০ জনের মৃত্যু হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত মৃতের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই জেলা প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে এবং মৃতদেহগুলিকে শনাক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার কারণ বিশ্লেষণ করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ভারতের রেল নিরাপত্তার প্রতি বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছে। ট্রেনে আগুন লেগেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়া এবং যাত্রীদের ট্রেন থেকে লাফানোর ঘটনায় প্রয়োজনীয় সচেতনতা এবং সতর্কতার অভাব স্পষ্ট। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে বারবার সতর্কতার পরামর্শ দেওয়া হলেও এমন ঘটনা থেকে রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।