জম্মু বিমানবন্দরের পাশে বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পরপর দুটি বিস্ফোরণকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। ৫ মিনিটের মধ্যে ঘটেছে দুটি বিস্ফোরণ। আজতকের কাছে ঘটনায় ড্রোন হামলার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন জম্মুকাশ্মীরের ডিজিপি দিলবাগ সিং। তিনি বলেন, ঘটনার ষড়যন্ত্র সীমান্তের ওপারে করা হয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত করা হয়েছে জম্মুকাশ্মীরেই। এর আগে বায়ুসেনার কর্মীরাও ড্রোন থেকে বিস্ফোরক পড়তে দেখেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ২ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের জম্মুর বায়ুসেনার ঘাঁটি সংলগ্ন এলাকা থেকেই গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বায়ুসেনার ঘাঁটিতে চলছে তল্লাশি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এনাইএ ও এনএসজি।
গতকাল গভীর রাতে পরপর দুটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জম্মুর বায়ুসেনার ঘাঁটি। প্রথম বিস্ফোরণটি ঘটে রাত ১টা ৩৭ মিনিটে এবং পরেরটি ১টা ৪২ মিনিটে। তবে বিস্ফোরণে হতাহতের কোনও খবর নেই। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়ে প্রথম বিস্ফোরণটি ছাদে এবং দ্বিতীয়টি মাটিতে হয়েছে। বিস্ফোরণে শুধুমাত্র ছাদের কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঘটনায় জঙ্গি হামলার তত্ত্বও উঠে আসছে। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে এনআইও এবং এনএসজির টিম। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সিআরপিএফ-এর ডিআইজি এবং স্পেশাল ফোর্সের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ঘটনায় আইইডি বিস্ফোরণ ঘটান হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই বিস্ফোরণের পরেই আম্বালা, পাঠানকোট এবং অবন্তিপুরায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জম্মুকাশ্মীরের ডিআইডি আজতককে ড্রোন হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "ড্রোনকেই আইইডি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। কারণ ঘটনাস্থলে ড্রোনের কিছু অংশ পাওয়া গিয়েছে। যার থেকে মনে করা হচ্ছে ড্রোনটিকেই বোমা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।" তিনি আরও বলেন," এর চক্রান্ত সীমান্তের ওপারে হয়েছে, তবে যারা বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছে তারা এপারেই রয়েছে।" ডিজিপি বলেন, নিশানায় ছিলেন বায়ুসেনার জওয়ানরা। তাঁর কথায়," নাগরিকরা নয়, বায়ুসেনার জওয়ানরা নিশানায় ছিলেন। যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে তার পাশেই বায়ুসেনার জওয়ানদের বিশ্রামাগার। আর বিস্ফোরণটাও এমন সময় হয়েছে, যখন সমস্ত বিমানের উড়ান বন্ধ থাকে।" হামলা যে জম্মু থেকেই চালান হয়েছে, এমনটা আগে সূত্র মারফতও দাবি করা হয়েছিল।