জন সূরজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের আমরণ অনশনের আজ সপ্তম দিন। মঙ্গলবার আমরণ অনশন ও ঠান্ডা লাগার কারণে প্রশান্ত কিশোরের স্বাস্থ্যের অবনতি হয় এবং তাঁকে পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশান্ত কিশোর বর্তমানে আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন। যদিও তিনি এখনও আমরণ অনশনে অনড় এবং কিছু খাননি।
প্রশান্ত কিশোরের চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে ডাঃ রবিশঙ্কর। তিনি আমরণ অনশন শেষ করার জন্য প্রশান্ত কিশোরকে অনুরোধ করেন। যদিও সেই অনুরোধ রাখেননি প্রাক্তন ভোটকুশলী। রবিশঙ্কর জানান যে বর্তমানে প্রশান্ত কিশোরকে IV এর মাধ্যমে পুষ্টিযুক্ত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে এবং এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে না। ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন যে বর্তমানে প্রশান্ত কিশোরের অবস্থা স্থিতিশীল তবে উদ্বেগজনক।
ডক্টর রবিশঙ্কর বলেন, 'এরপর কী হবে তা বলা কঠিন। আমরা তাঁকে খাবার খেতে বলছি কিন্তু সে তাঁর সিদ্ধান্তে অটল। এই মুহূর্তে আমরা আইভির মাধ্যমে পুষ্টি ও ওষুধ দিচ্ছি। বর্তমানে পরিস্থিতি ঠিক আছে, কিন্তু আমরা বারবার তাঁকে খাবার খেতে বলছি, যাতে আমাদের কাজ সহজ হয়। তাঁকে দুটি নতুন ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, যদি তাঁর স্বাস্থ্য ভাল থাকে তাহলে আইসিইউ থেকে বের করে আনা হবে।'
সোমবার ভোর ৪টেয় গান্ধী ময়দান থেকে প্রশান্ত কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর তাঁকে এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হয়। পাটনা পুলিশ বিক্ষোভ সরিয়ে দিয়েছে গান্ধী ময়দান থেকে। পুলিশ যখন মাঠে তখন পিকে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে বিক্ষোভস্থলে ঘুমিয়ে ছিলেন। এরপর আদালত প্রশান্ত কিশোরকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিলেও তিনি তা গ্রহণ করেননি। শেষ পর্যন্ত আদালত কোনও শর্ত ছাড়াই জামিন মঞ্জুর করলে সবাই নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যান। এর আগেও আদালত কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে প্রশান্ত কিশোরকে জামিন দিলেও সে শর্ত মানতে নারাজ ছিলেন প্রশান্ত কিশোর এবং তিনি জেলে যাওয়ার পথ বেছে নেন। জেল থেকেই অনশন চলবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।