দীর্ঘদিনের সম্পর্ক, তিক্ত পরিণতি
প্রায় ২০ বছর আগে মীনুর সঙ্গে ইরফানের পরিচয়। তখন মীনু বিউটি পার্লারে কাজ শিখছিলেন। এবং ইরফানের সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। ২০১২ সালে মীনুর বিয়ে হলেও মাত্র ছ’মাসের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি ভগবন্তপুরায় আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। এই সময় থেকেই ইরফানের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন।
কিন্তু ইরফান ইতিমধ্যেই বিবাহিত ছিলেন। সম্প্রতি তার দ্বিতীয় বিয়ে হলে সম্পর্কে ভাঙন ধরে। পরিবার জানিয়েছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করেছিলেন ইরফান, আর তাতেই মানসিক চাপে পড়েন মীনু।
পরিবারের দাবি, খুনের ছক
মৃতার ভাই রাকেশ ও শ্যালক শ্রীরাম অভিযোগ করেন, মীনুর মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঝুলন্ত অবস্থায় থাকার পরও তার পা মাটিতে ঠেকানো ছিল। ইরফান পুলিশকে না জানিয়েই মৃতদেহ দাহ করার চেষ্টা করেন। তাঁদের দাবি, মীনুকে খুন করে আত্মহত্যার বলা হচ্ছে।
পুলিশের বক্তব্য
সদর বাজার থানার ইনচার্জ প্রকাশ সিং বলেন, 'প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।' তবে আরও বলেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।