
Deoghar Accident: চলতি জুলাই মাসে ঝাড়খণ্ডের বাবা বৈদ্যনাথ ধামে চলমান কাঁওয়ার যাত্রার সময় মর্মান্তিক ঘটনা। ভয়াবহ পথদুর্ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। দেওঘর-বাসুকিনাথ প্রধান সড়কের জামুনিয়া চকের কাছে, কাঁওয়ার ভর্তি একটি বাস এবং একটি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
দেওঘরে বড় দুর্ঘটনা
খবর অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন ভক্ত মারা গেছেন এবং কয়েক ডজন ভক্ত আহত হয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন
সাংসদ নিশিকান্ত দুবে ট্যুইট করেছেন, 'শ্রাবণ মাসে আমার লোকসভা দেওঘরে কাঁওয়ার যাত্রার সময় বাস ও ট্রাক দুর্ঘটনায় ১৮ জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। বাবা বৈদ্যনাথ তাঁদের পরিবারকে এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন।'
मेरे लोकसभा के देवघर में श्रावण मास में कांवर यात्रा के दौरान बस और ट्रक के दुर्घटनाग्रस्त होने के कारण 18 श्रद्धालुओं की मौत हो गई है । बाबा बैद्यनाथ जी उनके परिजनों को दुख सहने की शक्ति प्रदान करें
— Dr Nishikant Dubey (@nishikant_dubey) July 29, 2025
কাঁওয়ার বোঝাই বাস ও ট্রাকের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্সের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আহত সকলকে দেওঘরের বিভিন্ন হাসপাতাল এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। যেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ চলছে।
কাঁওয়াররা জল ঢালতে যাচ্ছিলেন
পুণ্যার্থীরা যখন বাবা বৈদ্যনাথ ধামের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন এই দুর্ঘটনা ঘটে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।
জানা যাচ্ছে, দেওঘর জেলার মোহনপুর থানা এলাকার জামুনিয়া মোড়ের কাছে গোড্ডা দেওঘর প্রধান সড়কে Jh15H 6357 নম্বরের একটি বাস উল্টে যায়। বাসটি দেওঘরের সুরেন্দ্র নাথ ঝা-এর নামে নিবন্ধিত। কাঁওয়ার যাত্রার পুণ্যার্থীরা এতে ভ্রমণ করছিলেন। কাঁওয়ারিয়াদের বহনকারী বাসটি একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটালে ঘটনাস্থলেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। এক ডজনেরও বেশি ভক্ত আহত হন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন মোহনপুর থানার ইনচার্জ প্রিয়রঞ্জনকে ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত করেন, এরপর প্রিয়রঞ্জন কুমার একটি দল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং মোহনপুর ব্লক উন্নয়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করেন এবং সকলে মিলে আহতদের অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে মোহনপুর সিএইচসিতে নিয়ে যান। মোহনপুর সিএইচসি থেকে তাদের দেওঘর সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।