যোধপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ হিন্দি দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় নকল করতে গিয়ে ধরা পড়লেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর আঞ্চলিক পদাধিকারী পুনম ভাটি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ক্ষোভের সুর চড়েছে ছাত্র রাজনীতিতে। জাতীয় ছাত্র ইউনিয়ন (এনএসইউআই) ভাটির পদত্যাগ দাবি করেছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে।
সোমবার জয় নারায়ণ ব্যাস বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলাকালীন মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করার সময় ভাটিকে একজন তত্ত্বাবধায়ক শিক্ষক হাতে-নাতে ধরে ফেলেন। সঙ্গে থাকা আরও এক ছাত্রকেও পরীক্ষার নিয়ন্ত্রণ কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় এবং ভাটির উত্তরপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়।
ঘটনার পর এনএসইউআই যোধপুর জেলা সভাপতি বাবলু সোলাঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে বিক্ষোভের ডাক দেন। তিনি দাবি করেন, "ভাটিকে অবিলম্বে তার পদ থেকে অপসারণ করতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিরপেক্ষভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।"
এদিকে, অভিযোগ উঠেছে যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনাটি প্রকাশ্যে না এনে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এই নিয়ে ছাত্র মহল এবং জনমানসে ক্ষোভ বাড়ছে।
রাজনৈতিক মহলেও বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় লোকতান্ত্রিক পার্টির নেতা হনুমান বেনিওয়াল সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, "প্রথমে আইনমন্ত্রী যোগরাম প্যাটেলের নাতনি যোধপুরের এমবিএম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতারণা করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন, আর এখন এবিভিপির পুনম ভাটি নকল করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন। তখন বিজেপি ঘটনাটি চাপা দিতে চেয়েছিল, এখন তাদের অবস্থান কী হবে?"
প্রসঙ্গত, জয়সলমীরের বাসিন্দা পুনম ভাটি গত বছর জাতীয় পরিষেবা প্রকল্প (এনএসএস)-এর হয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে রাজস্থানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এই ঘটনার পর তাঁর ভাবমূর্তি প্রশ্নের মুখে পড়েছে।