Journalist killed in UP: বাইক থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে পর পর ৩ গুলি, উত্তপ্রদেশের সাংবাদিক খুনে চাঞ্চল্য

উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার বিকেলে লখনউ-দিল্লি জাতীয় মহাসড়কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সাংবাদিক রাঘবেন্দ্র বাজপেয়ী স্থানীয় একটি হিন্দি দৈনিকের সংবাদদাতা এবং আরটিআই কর্মী ছিলেন।

Advertisement
বাইক থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে পর পর ৩ গুলি, উত্তপ্রদেশের সাংবাদিক খুনে চাঞ্চল্য
হাইলাইটস
  • উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
  • শনিবার বিকেলে লখনউ-দিল্লি জাতীয় মহাসড়কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরে এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করার ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। শনিবার বিকেলে লখনউ-দিল্লি জাতীয় মহাসড়কে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত সাংবাদিক রাঘবেন্দ্র বাজপেয়ী স্থানীয় একটি হিন্দি দৈনিকের সংবাদদাতা এবং আরটিআই কর্মী ছিলেন।

হত্যার পদ্ধতি: দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হামলা?
প্রথমে এটিকে একটি দুর্ঘটনা বলে মনে করা হলেও পরে জানা যায়, আততায়ীরা প্রথমে তাঁর বাইকে ধাক্কা দেয় এবং পরে তাঁকে তিনবার গুলি করে। জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার শরীরে গুলির চিহ্ন পাওয়ার পর নিশ্চিত হয় যে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

কীভাবে ঘটল এই হামলা?
শনিবার বিকেলে একটি ফোন কল পাওয়ার পর রাঘবেন্দ্র বাজপেয়ী বাড়ি থেকে বের হন। কিছুক্ষণের মধ্যেই, বিকেল ৩:১৫ নাগাদ, মহাসড়কের পাশে আততায়ীরা তার বাইককে ধাক্কা দেয়। এরপর তাকে পরপর তিনবার গুলি করা হয়, ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

হত্যার উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট
পুলিশ এখনও হত্যার মূল উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে পারেনি। তবে সন্দেহ করা হচ্ছে, তিনি কোনও সংবেদনশীল তথ্য ফাঁস করতে পারেন। যা কিছু অপরাধীদের বিপদে ফেলতে পারত। তাঁর আরটিআই কার্যকলাপও হত্যার সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।

পরিবারের অভিযোগের অপেক্ষায় পুলিশ
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের পরিবারের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাওয়ার পরই মামলা রুজু করা হবে।

তদন্তে নেমেছে পুলিশ
এই হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্তের জন্য চারটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে: মাহোলি থানার পুলিশ দল, ইমালিয়া থানার পুলিশ দল, কোতোয়ালি থানার পুলিশ দল, নজরদারি এবং এসওজি (স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ) দল। এই দলগুলোর প্রধান লক্ষ্য অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, খুব শিগগিরই দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

সাংবাদিকদের জন্য ফের আতঙ্ক
এই হত্যাকাণ্ড উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন তুলে দিল। বিগত বছরগুলিতে বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।

Advertisement

 

POST A COMMENT
Advertisement