Kalyan Banerjee vs Amit Shah: রবিবারই বঙ্গ সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সাংগঠনিক সভা করেন। সেখানে ২৬-এর নির্বাচনের রণকৌশল ছকে দেন। আর সেই মঞ্চ থেকেই রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। এরপর সোমবার অমিত শাহের বিরুদ্ধে পাল্টা সুর চড়ালেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহকে রীতিমতো 'গোপাল ঠাকুর' বলে কটাক্ষ করলেন।
'অপারেশন সিঁদুর করতে হল কেন?'
রবিবার সাংগঠনিক সভার মঞ্চে অমিত শাহ বলেন, 'বাংলায় যাঁরা অপারেশন সিঁদুরের বিরোধিতা, সমালোচনা করেছেন, বাংলার মা-বোনেরা তাঁদের নির্বাচনে বুঝিয়ে দেবেন সিঁদুরের দাম কী।' সেই প্রেক্ষিতে কল্যাণ বলেন, 'পহেলগাঁওয়ে যেটা হয়েছে তার দোষ অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীর।' আরও বলেন, 'ছেলেখেলা নাকি? বাইরে থেকে জঙ্গিরা এল, ইন্টেলিজেন্স কোনও খবর পেল না। জঙ্গিরা হেঁটে চলে গেল। অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদী কী ঘুমোচ্ছিলেন? কী করছিল তাঁদের বিএসএফ, সিআইএসএফ?'
কল্যাণ আরও বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গে তো একটা ঢিল পড়লেই ১৫টা বিএসএফ, ১০টা সিআইএসএফ এসে যায়। ভোট হলে ১,৫০০ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে পারে।'
তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'অপারেশন সিঁদুর করতে হল কেন? পহেলগাঁওতে যে ব্যর্থতা, তা ঢাকতে, মানুষের নজর অন্য়দিকে ঘুরিয়ে দিতেই এগুলো করা হল।'
কল্যাণ বন্দ্য়োপাধ্যায় জানান, পহেলগাঁও হামলা নিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশনেরও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
'গোপাল ঠাকুর'
এরপরেই তীব্র আক্রমণ হেনে কল্যাণ বলেন, 'সবচেয়ে বড় অপদার্থ হল অমিত শাহ। গোপাল ঠাকুর সেজে আসছেন। উনি ব্যর্থতা ঢাকতে অপারেশন সিঁদুর বলছেন। এরপর অপারেশন বাংলাও বলছেন।'
অনুপ্রবেশ ইস্যুতে
রবিবার অমিত শাহ অনুপ্রবেশ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে পারছে না কেন, তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তার প্রত্যুত্তরে শাহের দাবি, রাজ্য সরকার জমি দিচ্ছে না বলেই সীমান্তে সমস্ত জায়গায় কাঁটাতার দেওয়া এবং অনুপ্রবেশ রোখা যাচ্ছে না। এর পিছনেও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি আছে বলে তিনি দাবি করেন।
এদিন শাহের এই দাবির প্রেক্ষিতে কল্যাণ বলেন, 'নিজের দোষ, নিজের গাফিলতি সমস্ত অন্যের উপর ফেলে। যদি বাংলাদেশ থেকেই আসে, তাহলে সেটা বিএসএফ-এর ফল্ট।'
রিগিং
রবিবারের সভায় রিগিং রোখা নিয়েও হুঙ্কার দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার প্রেক্ষিতে কল্যাণের পাল্টা কটাক্ষ, 'অমিত শাহ নিজেই রিগিং মাস্টার। গুজরাতে কম রিগিং করেছে? ওর কাজ ছিল দিনের পর দিন আইনজীবীদের চেম্বারে বসে থাকা। পরে তো সরকারে এসেছে, কেসগুলো এদিক ওদিক করেছে।'