কর্নাটকের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হাম্পিতে এক ভয়াবহ অপরাধ ঘটেছে। এক ইজরায়েলি পর্যটকসহ দুই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছে এবং তাঁদের সাথে থাকা তিন পুরুষ বন্ধুকে মারধর করে খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে নিখোঁজ এক পর্যটকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণ
পুলিশের সূত্র অনুযায়ী, এই ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে সানাপুর লেকের কাছে। অপরাধীরা প্রথমে পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে এবং পরে হঠাৎ আক্রমণ চালায়। আক্রান্তদের মধ্যে ২৭ বছর বয়সী ইজরায়েলি পর্যটক এবং অন্যজন ২৯ বছর বয়সী হোমস্টে অপারেটর। আহত তিনজনের মধ্যে দুজন ভারতীয় এবং একজন মার্কিন পর্যটক। ওড়িশার এক পর্যটকের মৃতদেহ তুঙ্গভদ্রা খালে পাওয়া গেছে।
কীভাবে হামলা হয়?
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনজন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে এসে পর্যটকদের কাছে একটি পেট্রোল পাম্পের সন্ধান চায়। হোমস্টে অপারেটর জানায় যে কাছাকাছি কোনও পেট্রোল পাম্প নেই। এরপর অভিযুক্তরা টাকা দাবি করে এবং পর্যটকরা দিতে না চাইলে হামলা শুরু হয়। পর্যটকদের মধ্যে তিন পুরুষকে খালে ফেলে দেওয়া হয়। এরপর দুই মহিলাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। আহত পর্যটকদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল।
পুলিশি তদন্ত ও অভিযুক্তদের খোঁজ
এই ভয়াবহ ঘটনার তদন্তের জন্য কর্ণাটক পুলিশ একটি বিশেষ দল গঠন করেছে। অভিযুক্তদের দ্রুত শনাক্ত করতে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। ডগ স্কোয়াড এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালাচ্ছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
হাম্পির মতো একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ পর্যটকদের জন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে এবং স্থানীয় প্রশাসন পর্যটন এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এই ঘটনা ভারতের পর্যটন শিল্পের ভাবমূর্তির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। এখন দেখার বিষয়, কত দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা যায়।