
Karnataka Congress Chaos: কর্নাটকের কংগ্রেস সরকারে ক্ষমতার ভাগাভাগি ও নেতৃত্ব পরিবর্তনের গুঞ্জন এখন স্পষ্ট। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এহং এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, দুজনকে কেন্দ্র করে এখন চালু হয়েছে এক ঠান্ডা যুদ্ধ। গত বৃহস্পতিবার, দু’জনের মুখপাত্রিক বক্তব্য ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট থেকে স্পষ্ট হয়ে যায়, সরকার-মধ্যবর্তী সেই দবদবার কারণ এখন “পাওয়ার শেয়ারিং ফর্মুলা” নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা।
রাজনৈতিক মহল মনে করছিল, শিবকুমারের ইঙ্গিতের কোনও জবাব মিলবে না। কিন্তু, সিদ্দরমাইয়া অতীতে নয়, বর্তমান কাজেই বিশ্বাসযোগ্যতা দাবি করে এক পোস্টে বর্ণনা দিলেন, সরকার প্রতিশ্রুতিতে নয়, কাজের গতি ও অর্জনের মাধ্যমে চলে। নাম না নিয়েই তিনি স্পষ্ট বার্তা দিলেন, “বাচন (প্রচার) নয়, কাজের ভিত্তিতেই সরকার চলছে।”
তিনি তার শাসকালে চালু হওয়া গুরুত্বপূর্ণ যোজনাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। তার মধ্যে রয়েছে , ‘শক্তি’ যোজনা: নারীদের জন্য ফ্রি বাস যাত্রা; ‘গৃহলক্ষ্মী’ যোজনা: ১.২৪ কোটি মহিলা-ভূমিখাত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা; ‘যুব ন্যূতি’: ৩ লক্ষের বেশি যুবকের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা; ‘অন্ন ভাগ্য ২.০’: ৪.০৮ কোটি মানুষকে খাদ্য সুরক্ষা; ‘গৃহ জ্যোতি’: ১.৬৪ কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ।
২০১৩-১৮ সালের আগের শাসনকালে তিনি দাবি করেন, মোট ১৬৫ প্রতিশ্রুতির মধ্যে ১৫৭ পুরন হয়েছে, প্রায় ৯৫%। এবং এবারও ৫৯৩ প্রতিশ্রুতির মধ্যে ইতিমধ্যেই ২৪৩ সম্পন্ন হয়েছে, বাকিটাও শীঘ্রই করা হবে।
এই পোস্টকে, রাজ্য কংগ্রেস হিংসায় নয়; বরং সরকারি কাজকে সামনে রেখে শিবকুমারের ‘শব্দের শক্তি’ ও প্রতিশ্রুতির গুরুত্ব দেওয়ার পর্যালোচনার জবাব বলা হচ্ছে। শিবকুমার পূর্বে বলেছিলেন, আসল শক্তি মঠে নয়, প্রতিশ্রুতি পূরণে, এবং যারা এই নীতি মেনে চলবে, তাঁরাই চালিয়ে যাবে দলকে; অন্যরা না।
এমন সময়ে যখন কংগ্রেসের রাজ্য শাসক দল এই বছরের ২০ নভেম্বর মধ্যবর্তী অর্ধেক শাসনাবধি পার করেছে, তখন থেকেই শক্তি ভাগাভাগি ও রোটেশন ভিত্তিক নেতৃত্বের গুঞ্জন জোরালো হয়েছে। ২.৫ + ২.৫ বছর, মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পরিবর্তনের প্রস্তাব উঠে আসায় শিবকুমার সমর্থকদের মধ্য থেকে পরিবর্তনের দাবি উঠেছে। যদিও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বা কংগ্রেস এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই রোটেশন ফর্মুলা মেনে নেয়নি, কিন্তু দলজুড়ে অস্বস্তি থাকছেই।