প্রকাশিত হতে চলেছে কর্নাটকের নির্বাচনের ফলাফল৷ ক্ষমতাসীন বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না বলেই অধিকাংশ বুথফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত। তার মধ্যে কয়েকটিতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, এ বার সেখানে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা গঠিত হতে চলেছে। সে ক্ষেত্রে ‘নির্ণায়ক’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেবগৌড়ার দল জেডিএস-এর ভূমিকা। আবার অন্য সমীক্ষার ইঙ্গিত, ২২৪ আসনের কর্নাটক বিধানসভায় গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ‘জাদু সংখ্যা’ ১১৩ ছুঁয়ে ফেলবে কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ৮টা থেকে রাজ্যের ৩৬টি গণনা কেন্দ্রে শুরু হবে ইভিএম-বন্দি জনমত গোনার কাজ। গত বুধবার (১০ মে) বিধানসভা ভোটে মোট ৭৩.২ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিজেপি বলছে, এই প্রথমবার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে দল। তবে অধিকাংশ এক্সিট পোলের (Exit Poll) ইঙ্গিত, ত্রিশঙ্কু হতে চলেছে দক্ষিণের এই রাজ্যটির বিধানসভা। আর সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে সরকার গড়বে এইচ ডি কুমারস্বামীর দল। যিনি ঠিক একইভাবে এর আগে বার দুই মুখ্যমন্ত্রীও হয়ে গিয়েছেন। ফের কিংমেকার হওয়ার জন্য মুখিয়ে তিনি।
২০১৮ বিধানসভা নির্বাচনেও ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। সেবারে অনেক কম শক্তি থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের সমর্থনে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন কুমারস্বামী। এবারেও কি তিনি তেমন কোনও পরিকল্পনা করে রেখেছেন? জেডিএস সূত্রের দাবি, কুমারস্বামী (HD Kumarswamy) এখন বেঙ্গালুরুতে নেই। তিনি চিকিৎসা করাতে গিয়েছেন বিদেশে। গত আড়াই দশক ধরেই ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে চলেছে কর্নাটক। ক্ষমতাসীন বিজেপি, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জেডিএস-এর মধ্যে। এ বারেও তেমনটাই হওয়ার সম্ভবনা।
গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাই, বিজোপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সিটি রবি, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডিকে শিবকুমার এবং তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (কংগ্রেস), জগদীশ শেট্টার (কংগ্রেস) এবং এইচডি কুমারস্বামী (জেডি-এস)।
২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে ১০৪টি আসনে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস ৮০ এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার জেডি(এস) ৩৭টিতে জেতে। শতাংশের হিসাবে প্রথম স্থানে ছিল কংগ্রেস। প্রাপ্ত ভোট ছিল ৩৮.১৪ শতাংশ। বিজেপি ৩৬.৩৫, জেডিএস ১৮.৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। এর পর কংগ্রেসের সঙ্গে ভোট পরবর্তী সমঝোতা করে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন দেবগৌড়া-পুত্র কুমারস্বামী। কিন্তু ২০১৯-এর জুলাই মাসে দু’দলের দেড় ডজন বিধায়ক ভাঙিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল বিজেপি।
আরও পড়ুন-কর্ণাটকে হারলে ২০২৪ সালে বিজেপি কী কী অসুবিধায় পড়তে পারে?